
বিগত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী সরকারের অপশাসনে ক্ষতিগ্রস্থ ও বন্ধ হয়ে যাওয়া শিল্প ও কারখানা দ্রুত চালু করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামে। আজ বিকেলে জামাল খান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সাধারণ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা তাদের নয় দফা দাবি তুলে ধরেন। বলেন, বিগত ১৫ বৎসর ভিন্ন মতাদর্শের কারনে ফ্যাসিবাদ সরকারের অন্যায় অত্যাচার ও নির্যাতনে প্রায় বন্ধ অবস্থায় ছিল দেশের অনেক শিল্প মালিক। দরবেশ বাবা খ্যাত সালমান এফ রহমান এবং ব্যাংক খেকো এস আলম সিন্ডিকেট এর ইশারা ছাড়া কেউ কোন ধরনের লোন সুবিধা পায়নি। তাদের অত্যাচারে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের হাজারও শিল্প কল কারখানা ও ব্যবসআ প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে এস আলম গ্রুপ ও তাদের দোসরদের কারনে চট্টগ্রামের প্রায় ৬ শতাধিক শিল্প কল কারকানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। হাজার হাজার শ্রমিক তাদের কর্মসংস্থান হারিয়েছে। এসব শিল্প কল কারখানার শ্রমিকেরা এখন পরিবারবর্গ নিয়ে মানবেতর দিন যাপন করতেছে। তাই আপনার মাধ্যমে সরকারের কাছে বন্ধ কারখানা দ্রুত চালু করে হাজার হাজার পরিবারের জীবন বাঁচানোর জন্য ৯ দফা দাবী তুলে ধরছি। ১। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধকালীন সময় বৈদেশিক বানিজ্যে ডলার সংকট ও অন্যান্য অসুবিধার কারনে এক বিপর্যয় নেমে আসে। এসময় ব্যংকিং সুবিধা স্বৈরাচার সরকারের গড়া সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রন করে তারা সুবিধা লুটে নেয়। তাদের সিন্ডিকেটের বাহিরে থাকা ব্যবসায়ী, শিল্পপতিরা ব্যবসায় সমতা রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়। ২। কভিড-১৯ এর সময় সময় ব্যবসায়িরা আর একটি বিপর্যয়ের মুখোমুখী হয়। এ সময় ও তথাকথিত অবৈধ সরকারের দোসররা একচেটিয়া এক তরফা ভাবে ব্যাবসা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে রাখে এবং ব্যাংকিং লোন নেওযার সুবিধা তারাই ভোগ করে। ৩। বিগত ১৫ বছরে অবৈধ স্বৈরাচারী সরকারের বৈষম্যের শিকার হয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শল্প কল কারখানা দ্রুত চালু করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ৪। ফ্যাসিবাদ সরকারের সিন্ডিকেটের লুটপাটে অংশ না নেওয়ায়, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বিভিন্ন হয়রানী মূলক মিলা দিয়ে খতিগ্রস্থ করা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল মুক্ত করতে হবে। পাশাপাশি অন্যায় ভাবে করা মামলা বাতিল রতে হবে। ৫। খতিগ্রস্থ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কারখানা পূর্নবাসনের লক্ষ্যে নতুন আর্থিক নীতি মালা গ্রহন করতে হবে। ৬। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানার সাথে জড়িত সকল কর্মকর্তা/কর্মচারীদের চাকুরী নিশ্চিত করে সকল সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তা দিতে হবে। ৭। অবৈধ ফ্যাসিবাদী সরকার বিশেষ ব্যবসায়ী ও গোষ্ঠীকে অন্যায় ভাবে সহযোগীতা করায় প্রকৃত ব্যবসায়ীরা হারিয়ে গেছে। সুতরাং স্বৈরাচারী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ফিরিয়ে আনতে হবে। ৮। ক্ষতিগ্রস্থ সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানা দ্রুত চালুর উদ্দেশ্যে কমিশণ গঠন করে পূর্ণবাসন নীতিমালা গ্রহন করতে হবে। ৯। সামগ্রীকভাবে দেশের আইন শৃঙ্খ পরিস্থিতি উন্নতির জন্য আর্থিক খাতের বিকল্প নাই, তাই আর্থিক খাত শক্তিশালী করার জন্য দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। অতএব, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ড সচল করার স্বার্থে ও বেকার জনগোষ্টির কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে আমাদের নৈতিক ও যুক্তিসংগত দাবীগুলো সুবিবেচনা করে তাহা অনুমোদন করার জন্য আপনার মাধ্যমে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উদেষ্টার নিকট সর্নিবদ্ধ অনুরোধ করছি। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শাহা আলম হাওলাদার সভাপতি মহানগর, হিউম্যান হলার এসোসিয়েশন, খুরশেদ আলম (ঝার গ্রুপ), শারুদ নিজাম ( মুখপাত্র বিপণী বিতান) , মুস্তফা কামাল, শ্রমিক প্রতিনিধি, সাহাব উদ্দিন হাসান বাবু ( চেয়ারম্যান, স্বাধীন), মুহাম্মদ কবির হোসেন ( সাধারণ সম্পাদক, নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন খুলশি). রুবেল হোসেন ( সভাপতি বাংলাদেশ নির্মাণ শ্রমিক ফেডারেশন), মনি আকতার ( গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রী) ছবির ক্যাপশান – বৈষম্য বিরোধী ব্যবসায়ী ও সাধারন শ্রমিক জনতা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন শাহা আলম হাওলাদার














