আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

কমিউনিটি পর্যায়ে চক্ষু চিকিৎসাসেবা আরো সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ-কর্মশালা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ‘বাংলাদেশে কমিউনিটি চক্ষু স্বাস্থ্যসেবায় এনজিও চক্ষু হাসপাতালের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে। দিনব্যাপী পাহাড়তলীস্থ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সিইআইটিসি) এর ইমরান সেমিনার হলে উক্ত কমিউনিটি চক্ষু স্বাস্থ্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় ১৪টি এনজিও চক্ষু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহন করেন। কর্মশালায় চক্ষু স্বাস্থ্যসেবা, হাসপাতাল নির্মাণ, দক্ষ চিকিৎসক, বিভিন্ন স্তরের প্রশিক্ষিত জনবলের বিষয়ে উপস্থাপন করেন কমিউনিটি অপথালমোলজির প্রবক্তা, সিইআইটিসি’র ম্যানেজিং ট্রাস্টি, আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন।
এর আগে হাসপাতালের এসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডা. মো. আমিনুর রহমানের কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে কর্মশালার সূচনা হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিইআইটিসি’র মেডিকেল ডিরেক্টর ও কর্মশালার আহবায়ক সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. রাজীব হোসেন। এছাড়া কর্মশালার তাৎপর্য, দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী ও আইসিও এর অধ্যপক ডা. মোহাম্মদ মুনিরুজ্জামান ওসমানী।
কর্মশালায় বাংলাদেশে বর্তমান চক্ষু চিকিৎসাসেবার অবস্থান এবং কার্যক্রম তুলে ধরেন ময়মনসিংহের ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সমন্বয়ক ও কর্মশালার প্রস্তুতি কমিটির সদস্য শরিফুজ্জামান পরাগ। এছাড়া ১৪টি এনজিও চক্ষু হাসপাতালের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কর্মশালার তাৎপর্য তুলে ধরেন। এরপর আইসিও এবং সিইআইটিসি’র নতুন ক্লিনিক্যাল একাডেমিক ভবন পরিদর্শন করেন। দুপুর আড়াইটায় কর্মশালার দ্বিতীয় পর্বে প্রতিনিধিগণ সন্বিলিতভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেন। কর্মশালায় কমিউনিটি পর্যায়ে চক্ষু চিকিৎসাসেবা আরো সম্প্যসারিত করার উদ্যোগ নেন। বক্তারা বলেন, ভবিষ্যতে মানসম্পন্ন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এনজিও হাসপাতাল এবং কমিউনিটি পর্যায়ে চিকিৎসেবা পৌঁছার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। কর্মশালার সমাপণী বক্তব্য রাখেন চক্ষু হাসপাতালের চীফ কনসালটেন্ট ডা. নাসিমুল গণি চৌধুরী।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ