আজঃ বুধবার ১৯ মার্চ, ২০২৫

জনগণের নৈতিকতা কীভাবে গণতান্ত্রিক নীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে?

মোঃ ইয়াসির আরাফাত

গণতন্ত্র হল জনগণের শাসন। এই সরকার পদ্ধতিতে জনগণই সর্বেসর্বা। এটি একটি নির্দিষ্ট দেশের সরকারের সাথে জনগণের সম্মতি এবং চুক্তির একটি ব্যবস্থা। প্রকৃতপক্ষে, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে একটি দেশের সরকার সাধারণ জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন বহন করে। জনগণের নৈতিকতা প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থায় সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিভিন্ন মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং অধিকার রক্ষা করে এমন আইন মেনে চলার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক নীতিগুলোকে সমর্থন করে। একটি নৈতিকভাবে সচেতন সমাজ নেতাদের কাছ থেকে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা দাবি করে, একই সাথে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং প্রক্রিয়াগুলোকে শক্তিশালী করে।

তাই সরকারের কোনো শাখা যদি জনগণের আস্থা হারিয়ে অন্যায় ও বৈষম্যে ভরে যায়, জনগণকে তখন কথা বলতে হবে। বৃহত্তর বা জাতীয় যৌক্তিক স্বার্থের জন্য তাদের সব অনিয়ম রুখে দাঁড়াতে হবে এবং সরকারকে জবাবদিহি করতে হবে। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নীতিগুলো প্রায়শই বাঁধাগ্রস্ত হয়, কারণ এদেশের মানুষ মনে করেন যে, এই দেশের নাগরিক হিসাবে তাদের দায়িত্ব কেবল তাদের জন্য একজন নেতা বেছে নেওয়ার মাধ্যমেই (ভোট প্রদান) শেষ হয়ে যায়। কিন্তু, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নীতি প্রতিষ্ঠার জন্য এটা কি যথেষ্ট?

আমার মতে, গণতন্ত্র শব্দটি হচ্ছে চারটি ধাপের একটি চুক্তি যার মধ্যে রয়েছে:
১. জনগণ-জনগণ চুক্তি,
২.জনগণ-প্রতিনিধি চুক্তি,
৩. প্রতিনিধি-জনগণ এবং
৪. প্রতিনিধি-প্রতিনিধি চুক্তি।

প্রথম ধাপটি বৃহত্তর জনস্বার্থে একজন উপযুক্ত ও যোগ্য ব্যক্তিকে বেছে নিতে জনগণের ঐক্য নির্দেশ করে। দ্বিতীয় ধাপে, একজন ব্যক্তিকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে বেছে নেওয়ার এবং দায়িত্ব প্রদানের জন্য জনগণের ঘোষণা প্রকাশ করা হয়। তৃতীয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি হল একজন প্রতিনিধি বা নেতার প্রতিটি জাতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য জনগণের কাছে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার প্রমাণ। সবশেষে, চতুর্থ ধাপটি সর্বাধিক সংখ্যক মানুষের সর্বোচ্চ পরিমাণে সুখের জন্য বিভিন্ন প্রতিনিধি বা নেতাদের মধ্যে সমন্বয়ের প্রতীক। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নীতিগুলো উল্লিখিত কোনো চুক্তির প্রকৃত বাস্তবায়ন না থাকার জন্য প্রশ্নবিদ্ধ। যেহেতু, “জনগণ-জনগণ” এবং “জনগণ-প্রতিনিধি” গণতন্ত্রের প্রাথমিক ধাপ, তাই এদেশের নাগরিকদের তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হতে হবে, যিনি জনগণের জিজ্ঞাসা ছাড়াই জবাবদিহিতা ও দায়িত্ব নিশ্চিত করবেন। অন্যথায়, পথভ্রষ্ট হয়ে বা ভুলভাবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা যেকোনোভাবে জনগণকে দমন ও বৈষম্যের দ্বারা শোষণের চেষ্টা করবে।

এই দেশের মানুষ একজন সফল প্রার্থীর কৃতিত্ব নিতে ভালোবাসে যিনি নিয়ম-কানুন মেনে কাজ করেন, কিন্তু যোগ্য নয় এমন একজনকে নির্বাচন করার দায়ভার নিতে তারা প্রস্তুত নয়। ফলস্বরূপ, দুর্নীতি ও অসঙ্গতি দেখা দেয়। এমনকি তারা প্রতিনিধিকে তার কর্ম ও সিদ্ধান্তের জন্য জবাবদিহি করতে ভয় পায়। জনগণকে জানতে হবে প্রতিনিধি বিশেষ কিছু নয়। তিনি কেবল জনসেবা ও জনগণের প্রয়োজনীয়তা সমন্বয় ও বিতরণের জন্য কাজ করছেন, তাদের প্রতিনিধি হিসাবে জনগণের প্রয়োজন অনুসারে নীতি প্রণয়ন করছেন। এরই সাথে, অধিকার ও সমতার বিচ্যুতি ঘটলে তাকে অপসারণ করতে হবে ও আইনগতভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যা জনগণ কর্তৃক নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সম্পন্ন হবে।

বাংলাদেশে আরেকটি গণতন্ত্র হত্যার প্রক্রিয়া হল আর্থিক সেবা বিতরণের নির্বাচনী প্রচারণা এবং মানুষকে আকাশ-কুসুম স্বপ্ন দেখানো যা অসাধু প্রার্থীরা নির্বাচনের কিছু সময় পূর্বে একটি দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা অর্জনের জন্য করে থাকেন। এটাতে জনগণও সাই দেয়। বিভিন্ন নেতার কাছে সাময়িক নানা পদের খাবার ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে তারাও সন্তুষ্ট থাকে। একজন প্রার্থী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা সত্ত্বেও জনসাধারণ এসব নেতা দ্বারা প্রতিশ্রুত সাময়িক আর্থিক সহায়তা এবং লোভনীয় সুবিধার প্রলোভনে তাদের যাবতীয় অতীত ইতিহাস ও কর্মকাণ্ড ভুলে গেলেও নির্বাচিত হয়ে তাদের কথার বাস্তবায়নে ভিন্ন প্রেক্ষাপট লক্ষ্য করা যায়।

সুতরাং, গনতান্ত্রিক এই দেশে সঠিক লোকের পাশাপাশি ভুল ব্যক্তিকে নির্বাচন করার জন্যেও কিন্তু জনগণই দায়ী। তারা যেন কোনো ভণ্ডামি দ্বারা সম্মোহিত না হয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যে সঠিক ও প্রকৃত প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য বিভিন্ন শ্রেণি, চিন্তা ও মতাদর্শের মানুষকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের জনগণকে একটি বিশেষ দলের যেকোনো ধরনের কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পরমতসহিষ্ণুতা বাড়াতে হবে এবং অন্যের যৌক্তিক কথা বা দাবি সহজে মেনে নেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে, নিজের ভুল স্বীকার করার ক্ষমতা থাকতে হবে। যে ব্যক্তি নিজের চিন্তা-চেতনা ও কর্মকাণ্ডের ভুল যত সহজে উপলব্ধি ও স্বীকার করতে পারে, সে ততটা বেশি ভালো মানুষ। জনসাধারণকে অবশ্যই একজন ব্যক্তিকে তার নেতৃত্ব এবং ব্যক্তিত্বের গুণাবলী দ্বারা বিচার করতে হবে, দলীয়ভাবে নয়। একটি দলের আনুগত্যের ফলে তৈরি হয় সীমাবদ্ধতা, পছন্দের দলের অযোগ্য ও অসৎ প্রার্থীর গণ্ডি পেরিয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে ভোট দিতে না পারার সীমাবদ্ধতা!

এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয় ও কার্যাবলীর কঠোর ও নির্ভুল মনিটরিং প্রক্রিয়া, প্রার্থীদের শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা বৃদ্ধি, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা নিয়ন্ত্রণ, নির্বাচন ও গণতন্ত্র সম্পর্কিত বিষয় সম্পর্কে জনসচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রতিষ্ঠা করা, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা ও প্রতিটি ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নীতি প্রতিষ্ঠা করতে পারে। শুধু তাই নয়, জনপ্রতিনিধিদের উপযুক্ত পরিমাণে বেতন দিতে হবে যাতে জনসম্পদ থেকে চুরির প্রলোভন সৃষ্টি না হয়।

জনগণই গণতন্ত্রের প্রাণ। তারা একটি দেশের সরকার গঠনে রাষ্ট্রের প্রতিবিম্ব। “জনগণের নৈতিকতা, দায়িত্বশীল আচরণ, ন্যায়বিচার এবং স্বচ্ছতা”, এই নীতিগুলোর প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা দ্বারা একটি গনতান্ত্রিক জাতি ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। জনগণের ন্যায়বিচার রাষ্ট্রের ন্যায়বিচারে পরিণত হয় এবং জনগণের অন্যায় ও অনৈতিকতা রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা ও অসঙ্গতি আনে। তাই, বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে একটি গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় জনগণকে অবশ্যই গণতন্ত্রের প্রকৃত অর্থ ও মূলনীতি জানতে হবে। প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে রাজধানী পর্যন্ত গণতন্ত্রের উপযুক্ত শিক্ষাকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে প্রসারিত করতে হবে। অন্যথায়, জনগণ অসঙ্গতি ও অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সর্বদা নীরব থাকবে এবং সরকারকে জবাবদিহি করতে এগিয়ে আসবে না, যতক্ষণ না তাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে যায়। সরকারকে এই গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিটি ক্ষুদ্র অপকর্মেরও জবাব দিতে হবে! এজন্য জনগণকে প্রথমে ন্যায়পরায়ণ ও যুক্তিবাদী হতে হবে এবং ফলস্বরূপ প্রতিটি ব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু হয়ে উঠবে।

শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
ই-মেইল: s2211143179@ru.ac.bd

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদ বলেছেন, খুনি হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদের সহযোগী এই প্রেতাত্মারা দেশ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। এটি শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব নয়, বরং দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পাঁচলাইশ থানা যুবদলের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে মুরাদপুরস্থ আপন গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অসহায় ও নিম্ন আয়ের লোকজনের মধ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি সবসময় দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করে এসেছে। এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তিনি আমৃত্যু কষ্ট করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের হারানো ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, যাতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করা যায়।

পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী সাকির সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, রাজন খান, ওমর ফারুক, প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন মুকুল, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. সাহেদ, জহিরুল ইসলাম জহির, সহ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ কামাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য প্রফেসর সাইদুল হক সিকদার, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিদোয়ান হোসেন জনি, শাহিদুল ইসলাম মাসুম, এনামুল হক চৌধুরী কামাল, শহিদুল ইসলাম কুট্টি, মিল্লাত হোসেন, হুমায়ূন আহমেদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. জাবেদ হোসেন, মোহাম্মদ নাসির, আরিফুল ইসলাম ইলু, মো. হাসান তোফা, কোরবান আলী রহিম, মাইনুদ্দিন মামুন, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ ইউনুস, মো. মোরশেদ, সোলায়মান হোসেন মনা, জাবেদ হোসেন, মোহাম্মদ হানিফ, তোফাজ্জল হোসেন, খোকন মোল্লা, আবুল বাশার, জসিম উদ্দিন তালুকদার, মো. ফারুক, নুরুল হক, মো. সুমন, হানিফ রানা, রাসেল আহমেদ, মাসুদ রানা, জীবন মিয়া, মোহাম্মদ জাহিদ, সানি আহমেদ, মোহাম্মদ হোসাইন, মো. মাসুদ, মোহাম্মদ জসিম, মাইনুদ্দিন, রাজু রায়হানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা যুবদলের উদ্যোগে পরিছন্নতার কার্যক্রম।

আমার ঠাকুরগাঁও আমার অহংকার আমার দায়িত্ব রাখবো পরিষ্কার এই স্লোগান কে সামনে রেখে ও মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার স্বার্থে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার উদ্যোগে পৌরবাসীর মাঝে জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিছন্নতার কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার দুপুরে জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে তারা বের হয়ে চৌরাস্তা, স্বর্ণ পট্টি, আমতলা হয়ে কয়েকটি সড়ক পরিষ্কার করে পুনরায় একই স্থানে এসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কার্যক্রম শেষ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু হানিফ মুক্তা, সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান জাহিদ, সদর উপজেলা যুবদলের সভাপতি রেজাউল করিম লিটন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা ডানো, পৌর যুব দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম সহ যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ