আজঃ সোমবার ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সাংবাদিক রঞ্জু

বদিউজ্জামান রাজাবাবু চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

দেশের মিডিয়াকর্মীদের আস্থার প্রতিষ্ঠান ৪৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন ‘জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকায় পুরানা পল্টনে সংস্থার অফিসে আলোচনা সভা শেষে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট ‘জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়। ‘জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি (২০২৫-২০২৬ মেয়াদে) ঘোষণা করেন ‘জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’ (গভঃ রেজিস্ট্রেশন নং-৪৬/২৪) এর চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ নূর ইসলাম।

‘জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ‘দৈনিক চাঁপাই দর্পণ’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক, চ্যানেল আই’র চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ‘জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র রাজশাহী বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু কে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

শনিবার বিকেলে ‘জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র বিভিন্ন কার্যক্রম বিষয়ে আলোচনা সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ‘জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ নূর ইসলাম। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ট্রাস্ট এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা অনুষ্ঠানে বলা হয়, নতুনভাবে নতুন আঙ্গিকে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা পূর্ণরূপে নবীন প্রবীণ একদল মেধাবী সাংবাদিকদের নিয়ে, সংস্থার যৌবনের পূর্ণ রুপে অগ্রযাত্রা শুরু করলো, সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকদের সমন্বয়ে এই কমিটি করা হয়, সাংবাদিকদের কল্যাণের স্বার্থে সংস্থার যৌবনের পূর্ণ রুপে অগ্রযাত্রা শুরু করলো জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ট্রাস্ট, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী সময়কালীন প্রতিষ্ঠিত ৪৩ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা তার ঐতিহ্যের পূর্ণরূপ ফিরে পেলো ট্রাস্ট গঠনের মাধ্যমে, তৃণমূলের সংবাদ কর্মীদের প্রাণের সংগঠন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।

ধারা ৫ এর (খ) প্রদত্ত ক্ষমতা বলে স্থায়ী পরিষদ এর সর্বসম্মতিক্রমে সংগঠনের চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নূর ইসলাম স্বাক্ষরিত জাতীয় সাংবাদিক জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ট্রাস্ট এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা (২০২৫-২০২৬) (গভঃ রেজিস্ট্রেশন নং -৪৬/২৪) করা হয়। জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার লোগো যুক্ত প্যাডে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার ট্রাস্ট এর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা ২০২৫/২০২৬, গভঃ রেজিস্ট্রেশন নং-৪৬/২৪, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের (১০১) সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় নিজস্ব হল রুম ১২ পুরানা পল্টন এল, মল্লিক কমপ্লেক্স,( লিফটের -৭) ঢাকা-১০০০, এ আলোচনা সভা হয়। আলোচনা সভায় বিশেষ আলোচনা করেন সংস্থার নবনির্বাচিত মহাসচিব লায়ন মোঃ হেলাল উদ্দিন হিলু। অনুষ্ঠান স ালনা করেন সংস্থার দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রেজাউল ইসলাম (লাকি)। বক্তব্য রাখেন সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান-মোঃ রেজাউল হাবিব রেজা, এ্যাড. মোঃ আলতাফ হোসেন, লায়ন এ বি এম সোবহান হাওলাদার, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া, আশরাফুল ইসলাম রঞ্জুসহ অন্যরা। ট্রাস্ট গঠনের পরে স্থায়ী পরিষদের প্রথম সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় স্থায়ী পরিষদের সদস্যদের সর্ব সম্মতিতে আগামী ২০২৫-২০২৬ সাল, দুই বছরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠিত তাহাদের নাম ও পদবী নিম্নে প্রদত্ত হইলো।

চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ নূর ইসলাম। ভাইস চেয়ারম্যান-মোঃ রেজাউল হাবিব রেজা, এ্যাড. মোঃ আলতাফ হোসেন, এইচ.এম দুলাল, মোঃ খায়রুল ইসলাম, সৈয়দ ওমর ফারুক, লায়ন এ বি এম সোবহান হাওলাদার, মোঃ আশরাফ সরকার, মোঃ দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া, খন্দকার মাসুদুর রহমান দিপু, আশরাফুল ইসলাম রঞ্জু, মোঃ মুছা খান রানা। মহাসচিব-মোঃ লায়ন হেলাল উদ্দিন হিলু। যুগ্ন মহাসচিব-মোঃ মনির হোসেন, মোঃ সাহাদাত হোসেন শাওন, প্রিয়াংকা ইসলাম, মোঃ হাসান আলি, মোঃ রুহুল আমিন, শাহজালাল উজ্জল ভূঁইয়া, লায়ন সাব্বির আহমেদ হাজরা। সাংগঠনিক সম্পাদক-মোঃ রেজাউল ইসলাম (লাকী)।

সহ সাংগঠনিক সম্পাদক-মোঃ শফিকুল ইসলাম স্বপন, মোঃ সাজ্জাদ আহমেদ খোকন। মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ আতাউর রহমান, মোঃ হান্নান শাহ, মোঃ রিপন মিয়া, মোঃ রমজান আলী, রাজিয়া সুলতানা তূর্না, নাহিদা আক্তার পপি। অর্থ সম্পাদক- মুফতী শেখ আজিমুদ্দীন। সহ অর্থ সম্পাদক-লায়ন শরিফুল ইসলাম। দপ্তর সম্পাদক-মোঃ মাহমদুল ইসলাম নয়ন। সহ দপ্তর সম্পাদক-মোঃ সাইদুল ইসলাম। প্রচার সম্পাদক-আরাফাত ইয়াসিন। সহ প্রচার সম্পাদক-মো: গোলাম রাব্বানী। তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক-কাশফিয়া আক্তার শিবা। গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক-মোঃ আবু হানিফ সিদ্দিকী। আইন সম্পাদক-এ্যাড. সেলিনা আক্তার। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক-এ্যাড. মো: মাসুম বিল্লাহ। প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক-মো: আতিকুজ্জামান পিন্টু। সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক-মো: রাজিব তালুকদার। ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক-মোঃ আবুল বাশার। শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক- ইঞ্জি. আশফাক আহমেদ চৌধুরী। যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক-মো: মিজানুর রহমান। সহ যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক-মোঃ শাহ আলম সিকদার। মানবধিকার বিষয়ক সম্পাদক-মোঃ বাবুল মিয়া। সহ মানবধিকার বিষয়ক সম্পাদক-মো: তারেক রিপন।

মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা-শাহানাজ শানু। সহ-মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা-ফাতেমা আক্তার মাহমুদা ইভা। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক-মো: মোশারফ হোসেন। সহ- আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক-লায়ন রিমঝিম। সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক-মো: স্বপন মিয়া। সহ-সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক-ইমারত হোসেন ইমন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক-মোরশেধ আলী মারুফ। চিকিৎসা বিষয়ক সম্পাদক-মো: হাফিজুল ইসলাম তালুকদা। পর্যটন বিষয়ক সম্পাদক-আসাদুল্লাহ আমিন। ত্রাণ ও দূর্যোগ পুনর্বাসন সম্পাদক-মো: শহীদুল ইসলাম আলম। সহ-ত্রাণ ও দূর্যোগ পুনর্বাসন সম্পাদক-মো: শাকিল আহমেদ। সাহিত্য ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক-মারিয়া আক্তার, কৃষি ও মৎস বিষয়ক সম্পাদক-মো: সাইদুর রহমান সহিদ, যোগাযোগ ও গণ পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক-এইচ.এম আমজাদ হোসেন মোল্লা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এসএম আকাশ, আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক-শারমিন আক্তার, সহ আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক-আব্দুল আজিজ, নির্বাহী সদস্য-এম.এ সায়েম মাসুম, নাদিকুর রহমান বিজয়, শেখ রুবিনা, এম.এ আরিফ, মোঃ আলতাফ হোসেন অমি, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ মাহমুদুল হাসান বাবু, মেহেদি হাসান, লিও মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ আমিনুল ইসলাম, ফরিদা পারভিন ববি, সুমি রহমান।

সংগঠনের নানা দিক আলোচনা করেন লায়ন নুর ইসলামসহ, সংগঠনের স্থায়ী পরিষদের সম্মানিত সদস্যগণ, সভায় ভবিষ্যতে সংগঠনের দিক নিদের্শন তুলে ধরা হয়। সভা শেষে সদ্য প্রয়াত প্রবীণ সাংবাদিক আলতাফ সাহেবের রুহের মাগফেরাতের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। সভায় ‘জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা’র সারা দেশের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত।

চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সভা জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে পরিষদের সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলেওয়াত করেন-অর্থ সম্পাদক আবু হানিফ বুলবুল। সাধারণ সম্পাদক আবু ছায়েদ এর সঞ্চালনায় অত্যন্ত সৌহাদ্যপূর্ণ পরিবেশে প্রানবন্ত আলোচনার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় সভায় অর্থ সম্পাদক আহমদ কবির পরিষদের আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন। সভায় সর্বসম্মতভাবে অক্টোবর/২৪ হতে সেপ্টেম্বর/২৫ পর্যন্ত আয়-ব্যয়ের হিসাব উত্থাপন, গঠনতন্ত্র সংশোধনের উপ-কমিটি কর্তৃক দাখিলী খসড়া প্রতিবেদনএবং অবসরকালীন সম্মানী ভাতা পুনঃ নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

পরবর্তীতে সভায় পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মোঃ সাইফুদ্দিন পারভেজ, মহানগর দায়রা জজ আদালতের নাজির নেছার আহম্মদ, সহ-সভাপতি- এস.এম. মোরশেদ, সহ-সভাপতি- মোঃ ইলিয়াছ, সহ-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, মহানগর দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার ফারুকুল আলম ও পেশকার ওমর ফারুক প্রমুখ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচকবৃন্দ
সংগঠনের গৃহীত বিষয়গুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনান্তে আগামীদিনে আরও ভালো কিছু করার ইচ্ছাপোষণ করেন।

বাংলাদেশ প্রেসক্লাব,ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাংগঠনিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত।

ময়মনসিংহে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, জেলা শাখার উদ্যোগে জজ কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংগঠনিক উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সভাপতি শামীম তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক মীর মো: খালেদ হাসানের সঞ্চালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল-ময়মনসিংহ জেলা শাখার সম্মেলন, প্রতিটি উপজেলা সম্মেলন ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন ইত্যাদি।
আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সজীব রাজভর বিপীন,জেলা কমিটির সিনিয়র সহ- সভাপতি আ: হান্নান আল আজাদ,জেলা শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম,মিজানুর রহমান সোহাগ,অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম,সভাপতি,ময়মনসিংহ মহানগর শাখা,মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রাসেল ফকির,ত্রিশাল শাখার সভাপতি সাংবাদিক ফারুক আহমেদ,শ্যামগন্জ শাখার সভাপতি রফিকুল হাসান আজমী (মিথুন),ময়মনসিংহ সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মীর মো: শওকত আহসান (মীর বাবুল),সাংবাদিক ওবায়দুল ইসলাম সাগর,আহ্বায়ক, কেন্দুয়া,নেত্রকোণা,সাংবাদিক রাজু,সাংবাদিক রেজাউল ইসলাম,সাংবাদিক ফারহানা নুপুর,শেফালী হামিদ,ঈশ্বরগন্জ শাখা,সাংবাদিক সোহেল রাজ,সাংবাদিক ইকবাল হোসেন,সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম,মোমিন তালুকদার, সাংবাদিক সোহাগ আকন্দ প্রমুখ।

উক্ত আলোচনা সভায়,বাংলাদেশ প্রেসক্লাব, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শামীম তালুকদার বলেন,বিশিষ্ট সাংবাদিক ফরিদ খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে থেকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে।সংগঠনের মূল লক্ষ্য -‘জনস্বার্থে সাংবাদিকতা,সাংবাদিকতায় নিরাপত্তা। ‘গভ: রেজি : সাংবাদিক সংগঠন বাংলাদেশ প্রেসক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা সাংবাদিক ফরিদ খান।সংগঠনের গভ: রেজি: নং -৯৮৭৩৬/১২।সমগ্র দেশে সাতশত এর অধিক শাখা কমিটি রয়েছে উক্ত সংগঠনের।

পরিশেষে বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সাংবাদিক ফরিদ খানের সুস্বাস্হ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে আলোচনা সভার সভাপতি শামীম তালুকদার সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ