আজঃ শুক্রবার ১৪ মার্চ, ২০২৫

লোডিং ঠিকাদার রীট করে সার সরবরাহের বিঘ্ন করেছেন।

সরবরাহে অসন্তোষ, ডিলারদের  সার উত্তোলন বন্ধের হুমকি 

সার উত্তোলন বন্ধের হুমকি

৮ জেলায় ৮১২ ডিলার একমত পোষণ

সরবরাহে অসন্তোষ, ডিলারদের

  1. সার উত্তোলন বন্ধের হুমক

 ছবি-১

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা লিমিটেডের (সিইউএফএল) সার সরবরাহ নিয়ে ডিলারদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করায় তারা সার উত্তোলন বন্ধের হুমকি দিয়েছেন। ৮ জেলায় ৮১২ ডিলার এ বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। চলতি মাসের প্রথম থেকে প্রতি ট্রাকে ১৫ টনের স্থলে ১০ টন করে সার সরবরাহ দেওয়ায় এ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহাবুবুল আলম খান জানিয়েছেন  ১৫ টন সার সরবরাহ দেওয়া না হলে আগামী ১ নভেম্বর থেকে সার উত্তোলন বন্ধ করে দেবে।

তিনি বলেন, ডিলাররা সার উত্তোলন বন্ধ করার কারণে ৮ জেলায় ইউরিয়া সারের সংকট সৃষ্টি হলে তার দায়ভার কোনো ডিলার বহন করবে না। এ ব্যাপারে ৮ অক্টোবর সিইউএফএল’এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বরাবর আবেদনও করা হয়। যার অনুলিপি বিসিআইসি চেয়ারম্যানকেও দেওয়া হয়। কিন্তু বিসিআইসি’র চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

ডিলাররা সার উত্তোলন বন্ধ করে দিলে কৃষিতে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কৃষি অধিপ্তরের উপ-পরিচালক মো.আবদুস সোবহান জানান, চলতি আমন মৌসুমে তেমন প্রভাব পড়বে না। তবে বোরো মৌসুমে প্রভাব পড়ার আশংকা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডিলারদের বিষয়টি অবহিত হওয়ার পর বিসিএসআইকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডিলারদের আগে থেকেই সিইউএফএল থেকে প্রতি ট্রাকে ১৫ মে. টন করে ইউরিয়া সার সরবরাহ দেওয়া হতো। কিন্তু ১ অক্টোবর থেকে প্রতি ট্রাকে ১০ মে. টন করে ইউরিয়া সার সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। যদি প্রতি ট্রাকে ১০ মে. টন সার দেওয়া হয়, তাহলে বাকি ৫ মে.টন সারের জন্য ডিলারদেরকে আলাদাভাবে সরবরাহ খরচ দিতে হয়। বস্তার মধ্যে বারবার হুক (ছিদ্র হয়ে যায়) মারা হয়। এতে ডিলারদের সার উত্তোলন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সরকারের নির্ধারিত দামে সার বিক্রি করে ডিলাররা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ কারণে ভবিষ্যতে ডিলাররা সার উত্তোলন করতে অনীহা প্রকাশ করবে। যদি ডিলাররা সার উত্তোলন বন্ধ করে দেয় তাহলে চট্টগ্রামসহ নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি, বান্দরবান ও কক্সবাজার জেলায় ইউরিয়া সারের সংকট সৃষ্টি হবে। এ আট জেলায় বছরে আনুমানিক সারের চাহিদা রয়েছে সাড়ে তিন লাখ টন।

জানা গেছে, সিইউএফএলএ দৈনিক ইউরিয়া সার উৎপাদন হয় ১১শ মেট্টিকটন। চট্টগ্রাম বিভাগের ৮ জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষীপুরে আনুমানিক ২ লাখ টন সার ডিলারদের কাছে সরবরাহ করা হয়। ৮ জেলায় ডিলারের সংখ্যা ৮১২। ডিলাররা প্রতি টন ১২৫০ টাকা সিইউএফএলকে পরিশোধ করে প্রতি টন ১৩৫০ টাকা দরে কৃষকদের কাছে বিক্রি করেন। এদিকে সিইউএফএল থেকে লক্ষীপুর একটি ট্রাকের ভাড়া ২২ হাজার টাকা। অন্যদিকে সিইউএফএল থেকে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পরিবহন ভাড়া প্রতি ট্রাক ৯ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে ১৫ টনের স্থলে ১০ টন সার পরিবহনের একই ভাড়া গুনতে হয় ডিলারদের। ফলে ডিলাররা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবার কারণে সার উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ ব্যাপারে সিইউএফএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, লোডিং ঠিকাদার টেন্ডারের নিয়ম অনুযায়ী ১৫ টন হিসেবে  ১ লক্ষ টন লোডিং করেছে। বাকি আড়াই লক্ষ টন সার ১০ টন হিসেবে লোডিং করার কথা রয়েছে। এ হিসেবে সাড়ে ৩ লক্ষ  টন সার লোডিং করার কথা রয়েছে।  টেন্ডারের নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারকে লোডিং করতে হবে। রাতারাতি টেন্ডারের নিয়ম পাল্টে দেয়া সম্ভব নয়।লোডিং ঠিকাদার  ও  ডিলাররা ১৫  ও ১০ গাড়ি ভাড়া একই উল্লেখ করে সিইউএফএল কতৃপক্ষের কাছে জানালে, কতৃপক্ষ ১৫ টন করে নতুন একটি টেন্ডার

করার প্রক্রিয়া শুরু করেন।।লোডিং ঠিকাদার এনিয়ে একটি রীট করে জটিলতা সৃষ্টি করেন।  বর্তমানে ডিলারদের আবেদনের বিষয়টি বিবেচনা করে এ ব্যাপারে অতি সহসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।

 বর্তমান দেশের সার্বিক পরিস্থিতি এবং ডিলার-কৃষকদের কথা বিবেচনা করে সিইউএফএল থেকে প্রতি ট্রাকে ১০ মে.টনের পরিবর্তে প্রতি ট্রাকে ১৫ মে.টন করে ইউরিয়া সার দেওয়ার জন্য ২৭ অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে অবহিত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহী নিউ মার্কেটে পণ্য কিনে পুরষ্কার জিতে নিন

রাজশাহী নিউমার্কেট ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে পবিত্র ঈদুল ফিতুর ও নববর্ষ উপলক্ষে এই আয়োজন করা হয়েছে। মাত্র ৫০০ টাকার পন্য ক্রয় নিয়ে জিতে নিতে পারেন প্রথম পুরস্কার সুজুকি জিকসার মোটরসাইকেল। দ্বিতীয় পুরস্কার দুই পাল্লার ফ্রিজ। তৃতীয় পুরস্কার সোনার চেন। এছাড়াও রয়েছে মোট ১০১ টি পুরস্কার আগামী ১৮ই এপ্রিল রাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হবে। ঐ দিনই বিজয়ী কুপন নাম্বারের পুরস্কার দেওয়া হবে। অনেক পরে এরকম একটি আয়োজন করতে পেরে রাজশাহী নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি অত্যন্ত আনন্দিত।

সকল ক্রেতা সাধারনকে রাজশাহী নিউমার্কেটে ঈদুল ফিতর এবং নববর্ষের আনন্দ কে ভাগাভাগি করে নিতে উনাদের এই আয়োজন করেছেন। আগামীতে ক্রেতা সাধারণের জন্য আরও বড় আকারে এই ধরনের ব্যতিক্রম ধরণের উপহারের ব্যবস্থা করা হবে। এই ক্যম্পেইন চলাকালীন সময়ে নিউমার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতি, সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন

এনআইডি পরিষেবা নতুন কমিশনে স্থানান্তরের পরিকল্পনায় চট্টগ্রামে মানববন্ধন।

জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন হতে সংবিধিবদ্ধ নতুন কমিশনে স্থানান্তরের কূট পরিকল্পনার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লাভ লেইন মোড়ে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচীতে

আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচী পালনকালে নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় পরিচয় পত্রকে (এনআইডি) বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন থেকে নতুন একটি কমিশনে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা রাতের ভোটের আয়োজক ও কুশীলবদেও সাজানো একটি ষড়যন্ত্র ছিল। একই অবস্থা সামনের দিনগুলোকে আরও বেশি অস্থির করে তুলবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। নির্বাচন কমিশনে ৩৫টি বা তার বেশি তথ্য উপাত্ত বোনাস হিসেবে আসেনি। এটি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেও দিনরাত

পরিশ্রমের ফল। ভোটার তালিকা প্রণয়ন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। যদি সকল তথ্য ভান্ডারকে একসাথে করতে হয় এবং স্বাধীন কর্তৃপক্ষের অধীনে নিতে হয় তাহলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি সর্বোত্তম সাংবিধানিক ও শক্তিশালী জাতীয় প্লাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হওয়া অতি স্বাভাবিক।

কর্মসূচীতে বক্তারা আরও বলেন, এক বা একাধিক
নির্বাচন কমিশনার নিয়োগদান করে এনআইডিসহ অন্যান্য তথ্য ভান্ডারকে আরও সুসংগত করা যায়। নির্বাচন
কমিশনকে একই সময়ে বিদায় না দিয়ে প্রতি দুই বছর অন্তর অন্তর নিয়মতান্ত্রিকভাবে দুই জন করে নিয়োগ ও বিদায় নিলে তথ্য ভান্ডারসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আরও
সুশৃঙ্খলতায় আনা যায় এবং মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে সিনেটের মত জাতীয় অভিজ্ঞতা ও ধারাবাহিকতাও রক্ষা করা সম্ভব। এতে করে আমাদের ঘুণেধরা ও ক্ষয়িষ্ণু সহমর্মিতা রক্ষা করাসহ জাতীয় স্বার্থ ও সংহতি আরো উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক অতি মর্যাদা বিবেচনা করে তাকে কর্মহীন করা ও তার অর্জিত কর্মক্ষমতাকে কেড়ে নেয়ার অর্থ হলো ধর্মীয় গ্রন্থকে না পড়ে গিলাব বেঁধে উপরের থাকে তুলে রাখা একই অন্ধত্ব ও জাতীয় বিভ্রান্তি। অন্যথায় ডাল হৌসির নীতির মত এক ডিপার্টমেন্টের অর্জনকে অন্য ডিপার্টমেন্টে/কমিশনে নিয়ে গেলে বিভিন্ন বিভাগের

ইনোভেশনসহ জাতীয় উন্নয়নের মনোবল ধ্বংস হতে পারে। তাই জাতীয় পরিচয় পত্র (এনআইডি) পরিষেবা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার জোর দাবী জানান নির্বাচন কর্মকর্তারা।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ