আজঃ শনিবার ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫

বদিউল আলম স্মৃতি বিদ্যাপীঠ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

রামু গর্জনিয়ার পূর্ব জুমছড়ি বদিউল আলম স্মৃতি বিদ্যাপীঠ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাসেম ও প্রধান শিক্ষক আজিজ মওলার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক অপপ্রচার ও হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্বজন’রা।
গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) বেলা ১১ টার সময় অত্র
বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মানববন্ধন করেন তারা। শিক্ষার্থীরা বলেন, কয়েকজন ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও আমাদের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অপপ্রচারকারীদের শাস্তি দাবি করেন তারা।

বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা জানান, “বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আবুল কাসেম তার পিতার নামে এই বিদ্যালয়টি স্থাপন করাতে কিছু কুচক্রী মহল তা সহ্য করতে পারছেন না। প্রতিষ্ঠাতা তার পৈতৃক সম্পত্তিতে বিদ্যালয়টি নির্মাণ করেন। যাতে এই গর্জনিয়ার পূর্ব জুমছড়ির ছেলেমেয়েরা শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হয়। অন্য বিদ্যালয় গুলো এখান থেকে একটু দূরে হওয়ায় এই বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন আবুল কাসেম। তিনি তার পিতার নামানুসারে এই বিদ্যালয়ের নাম রাখেন। এটি নিয়েই মূলত একটি মহলের সাথে বেশকিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো।

স্বজন’রা জানান, গত মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) মো: আয়ুব, কুতুব উদ্দিন, জিয়াউর রহমান,
জয়নাল আবেদীন, আবুল কাসেম, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মো: জুনায়েদ, হাসান,মোহাম্মদ আলী ও তার সহযোগীরা বিদ্যালয়ের মান ক্ষুন্ন করার জন্য আবুল কাসেম ও আজিজ মওলার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মানববন্ধন করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। সাথে সাথে এ অপপ্রচারের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

আবু তাহের নামে এক স্থানীয় জানান, “মেম্বার কাশেম তাদের মানববন্ধনে বলেন আমার জায়গা জমি দখল করে আজিজ মওলা বিদ্যালয় নির্মাণ করেছেন। আসলে আমার জায়গা কেউ দখল করেনি। আমার খতিয়ানভুক্ত জায়গা আমার ভোগ দখলেই আছে।”

এনিয়ে গর্জনিয়া ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল কাসেমে’র সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামের চকবাজারে আগুনে পুড়ল ভাঙারির দোকান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার এলাকায় আগুনে পুড়ে গেছে একটি ভাঙারির দোকান। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে তেলিপট্টি রোডে এ ঘটনা ঘটে।আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানানো হয়, সকালে ওই দোকানে আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে ১১টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক আবদুল মান্নান জানান, তেলিপট্টিতে একতলা একটি ভবনের নিচতলায় ওই ভাঙারির দোকানে আগুন লাগে। এ ঘটনায় কেউ আহত হননি। কীভাবে আগুন লেগেছে, ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ কত, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

শহিদ ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকায়।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দেশে অবতরণ করেছে শহিদ ওসমান হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইট।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ