আজঃ মঙ্গলবার ২৪ জুন, ২০২৫

রংপুর এসিআই মটরস লিমিটেড থেকে কিস্তিতে ট্রাক্টর কিনে প্রতারণায় পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন কৃষক আনারুল ইসলাম আঙ্গুর

লালমনিরহাট প্রতিনিধি।

লালমনিরহাট সদরের রাজপুর ইউনিয়নের খলাইঘাট এলাকার বাসিন্দা মৃত ফরমান আলীর ছেলে মো: আনারুল ইসলাম আঙ্গুর এসিআই মটরস লিমিটেড রংপুর অফিস থেকে ২৮/০৫/২০১৬ ইং তারিখে সোনালীকা D145RX(A) মডেলের একটি ট্রাক্টর কিস্তিতে ক্রয় করেন। ট্রাক্টরটির নির্ধারিত মূল্যে ছিল ১১,৫০,০০০ টাকা। সে অনুযায়ী ননজুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিবদ্ধ হয়ে রংপুর এসিআই মটরস হতে ট্রাক্টরটি কিনে নেন তিনি।এবং নিয়ম মেনে ১০,১০,৫০০ টা বিভিন্ন সময়ে কিস্তির টাকাও পরিশোধ করেন।

দীর্ঘ আশা ছিল ট্রাক্টরটি কিনে চাষাবাদ করে জীবনের ভাগ্য বদলের , কিন্তু তার সেই আশায় গুড়ে বালি হয়ে গেছে। আর্থিক অসুবিধার কারণে বাকী কিস্তির টাকা পরিশোধে বিলম্বিত হওয়ায় ১৬/১১/২০১৫ইং তারিখে রংপুর-কাউনিয়া মহাসড়ক হতে ট্রাক্টরটি আটকিয়ে রংপুর ধাপ অফিসে নিয়ে আসেন এসিআই মটরস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ। সেই সচল ক্রয়কৃত ট্রাক্টরটি পরবর্তীতে শর্তমোতাবেক বিলম্ব ফি-সহ বাকী পাওনা টাকা প্রদানে মো: আনারুল ইসলাম আঙ্গুর ট্রাক্টরটি ফেরত নিতে চাইলে এসিআই মটরস লিমিটেড ট্রাক্টরটি ফেরত দিতে অস্বীকার জানালে তিনি ১২/০৬/২০১৬, ২০/১২/২০১৬ ও ১৭/১০/২০১৭ইং তারিখে লিগ্যাল নোটিশ দিয়ে ট্রাক্টরটি ফেরত নিতে চান কিন্তু এসিআই মটরস লিমিটেড ট্রাক্টরটি ফেরত না দেয়ায় পরবর্তীতে আনারুল ইসলাম আঙ্গুর নিজেই বাদী হয়ে এসিআই মটরস-এর রংপুর অফিসের কর্মকর্তা মোঃআতিয়ার রহমান, রিজিওনাল সেলস্ অফিসার, মো: বাবুল হোসেন, রফিকুল ইসলামকে আসামী করে ৪০৬, ৪০৯ ও ৪২০ ধারায় রংপুরের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে বিগত ০৫/০৭/২০১৮ইং তারিখে মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-২০৩/১৯। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ আদালত আসামীগণের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন এবং আসামীগণ

জামিনপ্রাপ্ত হয়ে মামলা দীর্ঘায়িত করে দীর্ঘ বৎসর মামলা পরিচালনা করান। বিজ্ঞ আদালত গত ১৬/০৫/২০২৪ইং তারিখে মামলার বাদীকে ২,৭০,০০০ টাকা গ্রহণ সাপেক্ষে ট্রাক্টরটি ফেরত প্রদানের জন্য আদেশ প্রদান করেন। সে আদেশ অনুযায়ী আনারুল ইসলাম আংগুর বাকী টাকা প্রদান করতে ইচ্ছুক হন এবং এসিআই মটরস-এর রংপুর অফিস হতে ট্রাক্টরটি ফেরত নিতে গিয়ে দেখতে পায় যে, এসিআই মটরস-এর লোকজন ইতিমধ্যে উক্ত ট্রাক্টরের মূল টায়ার বদল করে পুরাতন অচল টায়ার লাগিয়ে রেখেছে। ট্রাক্টরের হাল যন্ত্র, ব্যাটারী এবং মূল্যবান যন্ত্রাংশ গুলো খুলে নিয়েছে। অর্থাৎ ট্রাক্টর নামের খোলসটি শুধু পড়ে রয়েছে বর্তমানে যা পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে।

দোকানে ভাংড়ি হিসাবে বিক্রয় করা হলে আনুমানিক মূল্য সর্বোচ্চ ১ (এক) লক্ষ টাকা হতে পারে বলে জানান ভুক্তভোগী।

এক মাত্র সম্বল টুকু হারিয়ে অসহায় কৃষক আনারুল ইসলাম আঙ্গুর ট্রাক্টরটি সাবেক অবস্থায় উদ্ধারে বার বার ব্যর্থ হয়ে রংপুরের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৯৮ অনুযায়ী গত ১৯/০৫/২০২৪ইং তারিখে

মামলা দায়ের করেন, মামলার নম্বর মিছ পিটিশন ৮৬/২৪ইং এবং বর্তমানে কোতয়ালী থানায় তদন্তাধীন অবস্থায় রয়েছে। কিস্তিতে ট্রাক্টর কিনে প্রতারণার স্বীকার হয়ে বছরের পর বছর হয়রানী ও আর্থিক ক্ষতির শিকার কৃষক পরিবারটি অর্থনৈতিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। বারবার বিচার চেয়েও কোন সঠিক বিচার মিলেনি । পরিশ্রমের টাকায় ক্রয় কৃত ট্রাক্টরটি সচল অবস্থায় ফিরে পাবে বলে আশায় রয়েছে অসহায় কৃষক আনারুল ইসলাম আঙ্গুর।

এসিআই মটরস-এর রংপুর অফিসের কর্মকর্তগণের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা অজুহাত দেখিয়ে বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তে বিষয়টি সুরাহা হবে নতুবা বাকি ২,৭৫,০০০ টাকা দিয়ে বর্তমান যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায় ট্রাক্টরটি ফেরত নিতে বলেন বর্তমান যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ টাকার নিচে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আনারুল ইসলাম আঙ্গুর ট্রাক্টরটি কিনে রংপুর এসিআই মোটরস এর ফাঁদে পড়ে এর পিছনে একেবারেই নিঃস্ব হয়ে গেছেন এবং তিনি কোন সুবিচার পাচ্ছেন না।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মাছের পোনা ছাড়লেন কর্নেল তানভীর হোসেন।

মাছের পোনা ছাড়লেন কর্নেল তানভীর হোসেন ।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে দুটি পুকুরে বিভিন্ন প্রজাণতির মাছের পোনা অবমুক্ত করেছেন, কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল তানভীর হোসেন। রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার ও কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি পরিদর্শন শেষে তিনি এ কার্যক্রমে অংশ নেন।

পুকুর দুটিতে রুই, কাতল, মৃগেল, সিলভার কার্প এবং পাঙ্গাসসহ নানা প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক জনাব কামাল হোসেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ শাহ আলম খান এবং কারা বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

পোনা অবমুক্ত শেষে কর্নেল তানভীর হোসেন বলেন, “স্থানীয় সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে আমরা সরকারের আয়ের নতুন পথ তৈরি করছি। এই পুকুরে উৎপাদিত মাছ বন্দীদের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হবে, যা সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ে সহায়ক হবে এবং কারাগারকে খাদ্যে স্বনির্ভর করে তুলবে।”
তিনি আরও বলেন, “কারাগার শুধু শাস্তির নয়, এটি সংশোধনের স্থান। এখানে উৎপাদনমুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বন্দীরা প্রশিক্ষণ পাচ্ছে, যা তাদের সামাজিক পুনর্বাসনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”

এ সময় রাজশাহী বিভাগের ডিআইজি প্রিজন জনাব কামাল হোসেন বলেন, “কারাগার ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও আত্মনির্ভরশীল করতে আমরা নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। মাছচাষসহ বিভিন্ন কৃষিকাজ, বৃক্ষরোপণ ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম এরই অংশ।”

কারাগার পরিদর্শনকালে কর্নেল তানভীর হোসেন একটি লিচু গাছ রোপণ করেন এবং বন্দী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি কারাগারের সার্বিক পরিবেশ, নিরাপত্তা ও উন্নয়ন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

কারা প্রশাসনের এই উদ্যোগ বন্দীদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার পাশাপাশি সরকারি ব্যয় কমাতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ভবিষ্যতেও আর অন্যান্য গঠনমূলক অনেক ভাল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে ।

লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৮৪৩ মেট্টিক টন চাহিদা-সরবরাহ দুইটাই স্বাভাবিক।

পশু কোরবানীকে সামনে রেখে প্রতি বছর ঈদুল আজহায় লবনের চাহিদা বাড়ে। বিশেষ করে কাঁচা চামড়ার আড়তদাররা ইতোমধ্যে লবন মজুদ করেছেন। এবার লবনের চাহিদা ও সরবরাহ দুইটিই বেশী থাকায় লবনের ঘাটতি হবেনা বলে জানা গেছে।

একই সাথে দামও রয়েছে নিয়ন্ত্রণে।এবার চাহিদা অনুযায়ী লবণের মজুদ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রয়েছে। তাছাড়া অপরিশোধিত লবণের মজুদও পর্যাপ্ত রয়েছে। এদিকে লবণের দামও রয়েছে নিয়ন্ত্রণে। সরকার এ বছর প্রতি কেজি লবণের দাম নির্ধারণ করেছে ১২-১৫ টাকা। তবে বিসিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাঠ পর্যায়ে এখন প্রতিমণ লবণ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে এ দর ছিল ২০০ টাকা।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, সদর, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও ও টেকনাফে ৫৯ হাজার ৯৯ একর এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী, আনোয়ারা ও পটিয়ায় ১০ হাজার ৮৯ একর জমিতে লবণ উৎপাদন হয়েছে। চাষির সংখ্যা ৪১ হাজার ৩৫৫ জন। গত বছর একই এলাকায় লবণ উৎপাদন হয় ৬৮ হাজার ৫০৫ একর জমিতে।

বাংলাদেশ লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি নূরুল কবীর বলেন, এবার লবণ সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। চামড়া ব্যবসায়ীরা গত মাস থেকেই লবণ নেওয়া শুরু করেছে। প্রায় ৩০ হাজার টনের মতো বিক্রি হয়েছে। চাহিদা বাড়লে অনেক সময় দামও কিছুটা বাড়ে। তবে এবার চাহিদা ও সরবরাহ-দুটোই ভালো রয়েছে। তাই ঈদের সময় লবণের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকবে। এ বছর চট্টগ্রামে প্রতি বস্তা (৭৪ কেজি) লবণ বিক্রি হচ্ছে ৮১০-৮৫০ টাকায়।

এদিকে লবণের দাম স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা। চট্টগ্রাম চামড়া আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন বলেন, লবণের দাম কমায় চামড়া কেনা ও সংরক্ষণে আমাদের সুবিধা হয়েছে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ লবণ কিনেছি। বাকি লবণ কেনার প্রক্রিয়া চলছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য মতে, চট্টগ্রাম জেলায় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে লবণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন। এবছর লবণ মজুদ আছে ৬ হাজার ৫৮২ মেট্রিক টন। এছাড়া অপরিশোধিত লবণের মজুদ রয়েছে ৬৬ হাজার মেট্রিক টন, যা দিয়ে সারাদেশের লবণের চাহিদার একটি বিরাট অংশ পূরণ করা যাবে।

বিসিক কক্সবাজার লবণ শিল্প উন্নয়ন কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদিত হয়েছে ২২ লাখ ৫১ হাজার ৬৫১ টন। গত ২০২৩-২৪ মৌসুমে লবণ উৎপাদিত হয়েছিল ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮৯০ টন। সরকারিভাবে এ বছর দেশে লবণের চাহিদা ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার টন।

বিসিক চট্টগ্রাম জেলার উপ মহাব্যবস্থাপক এস এম এম আলমগীর জানান, প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী চট্টগ্রামে যে পরিমাণ পশু কোরবানি হবে তার রেশিও অনুযায়ী লবণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। সে অনুযায়ী লবণের মজুদ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রয়েছে। ঘাটতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া অপরিশোধিত লবণের মজুদও পর্যাপ্ত রয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ