আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

রায়পুরায় টেঁটা নিয়ে গ্রামবাসীর সংঘর্ষ, ১০ জন আহত

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ প্রতিনিধি নরসিংদী-

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার কালিকাপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই বংশের মধ্যে টেঁটা সংঘর্ষ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের নজির মিয়ার পক্ষের লোকদের সাথে নান্নু মিয়ার পক্ষের লোকেরা সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় দুই পক্ষের অন্তত ১০-১২ জন আহত হয়েছে।

নজির পক্ষের আহতরা হলেন, কালিকাপুর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন(২৫), মৃত সাদত আলীর ছেলে আশরাফ আলী (৪৫), মৃত মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৫) ও ছায়দুল ইসলাম(২৫) এবং শুক্কুর আলীর স্ত্রী আমেনা বেগম (৬০), বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী সখিনা বেগম।

অন্যদিকে নান্নু মিয়ার পক্ষের আহতরা হলেন, মস্তু মিয়ার ছেলে মোখলেস (৫০), আলী আজমের ছেলে নাজীর হোসেন, মৃত আবু রশিদ মিয়ার ছেলো আবুল হোসেন(৪৫), মৃত কালু মিয়ার ছেলে লাক মিয়া (৪২)। আহতরা প্রত্যেকেই কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা। আতরা রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন এবং কয়েকজন এলাকা থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১ বছর আগে নজীর মিয়া একই এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে মনু মিয়ার কাছ থেকে একটি জমি ক্রয় করে। একই জমি অন্য আরেক জনকে কিনে দিতে চান নান্নু মিয়া মেম্বার। এই ঘটনার জেরেই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে এলাকায় কয়েক দফায় সালিশ ও হয়। পরে সোমবার সকালে এ নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এতে উভয় পক্ষের ১০-১২ জন গুরুতর আহত হয়।

এ বিষয়ে নান্নু মিয়ার পক্ষের আহত নাজীর হোসেন বলেন, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে নজির মিয়ার লোকজন আমাদের বাড়িঘর ঘেরাও করে। তাদের হাতে পিস্তল সহ ককটেল, টেটা ছিলো। আবুল হোসেন ও লাক মিয়া নামে দুইজন দায়ের কোপে আহত হয়েছে।

অন্যদিকে নজির মিয়ার পক্ষে আহত মকবুল হোসেন বলেন, জায়গা সম্পর্কিত বিষয়ে সন্ধ্যায় একটি মিটিং বসানো হয়। সোমবার সকালে বিভিন্ন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকেরা হামলা চালায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ লোকের আঘাতে চোখের পাশের একটি হাড় ভেঙ্গে গেছে। চিকিৎসকরা দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার মুঠোফোনে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ধাওয়া পালটা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে শুনেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় সোমবার বেলা ৪টা পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ