আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের সার্বিক তত্বাবধানে দুই সাপ্তাহব্যাপী কার্যক্রম শেষে বিদায় নিল অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

  • পাহাড়তলীস্থ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (সিইআইটিসি) এর সার্বিক তত্বাবধানে চট্টগ্রামে ৫ম বারের মত আসা অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল দুই সাপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে বিদায় নিয়েছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ইমরান সেমিনার হলে ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠনে অংশগ্রহন করেন অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক, অপটোমট্রেস্টি, নার্স, টেকনিশিয়ান, কর্মকর্তাসহ ৫০ জন। উপস্থিত ছিলেন, সিইআইটিসি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন, অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক মরিস গ্যারি, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলমগীর, দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার প্রকাশক ও পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, আজীবন সদস্য, চিকিৎসক, অপটোমেট্রিস্ট, নার্স,কর্মকর্তাসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
    প্রারম্ভিক বক্তব্য রাখেন, উড়োজাহাজে স্থাপিত বিশ্বের একমাত্র সম্পূর্ণ স্বীকৃত চক্ষু চিকিৎসাশিক্ষা ও সার্জিক্যাল হাসপাতাল অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল কার্যক্রমের আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জমান ওসমানী। বক্তব্য রাখেন, আন্তর্জাতিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন, অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক মরিস গ্যারি, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক ক্যাপ্টেন শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলমগীর, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ প্রমূখ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিইআইটিসি’র মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. রাজীব হোসেন।
  • অনুষ্ঠানে অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালককে ক্রেষ্ট ও উপহার তুলে দেন ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন। অন্য ৪৯ জন অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, টেকিনিশিয়ান, কর্মকর্তাকে সিইআইটিসি’র পক্ষ থেকে উপহার তুলে দেয়া হয়।
    অনুষ্ঠান সিইআইটিসি’র প্রতিষ্ঠাতা ও ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন ভবিষ্যতে চক্ষু চিকিৎসা কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কার্যক্রম অব্যহত রাখার জন্য অরবিস কর্মকর্তাদের আহবান জানান। সিইআইটিসি’র প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেন বলেন, চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সব সময় এ ধরণের কার্যক্রমে অরবিসের সাথে কাজ করবে। তিনি অনুষ্ঠান সফল সমাপ্তির জন্য আয়োজকদের প্রশংসা করেন।
    অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতাল কার্যক্রমের আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মনিরুজ্জমান ওসমানী বলেন, অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পাশাপাশি হাসপাতাল ভিত্তিক বিভিন্ন ধরণের চক্ষু চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আরো জোরদার করলে একটা সম্বলিত ভালো ফলাফল আসবে।
    অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক মরিস গ্যারি বলেন, আমি অরবিস উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে পর পর কয়েকবার চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এসেছি। প্রতিবার লক্ষ্য করেছি হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের নেতৃত্বে সম্পূর্ণ টিম খুবই আন্তরিকতার সহিত যার যার দায়িত্ব পালন করেন। ফলে আমাদের পক্ষে খুব ভালো মানের একটা প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা সহজ হয়।
    চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক ক্যাপ্টেন শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমের পাশাপাশি এ ধরণের উন্নতমানের সামাজিক কার্যক্রমকে স্বাগত জানাই এবং সব ধরণের সহযোগিতা প্রদান করতে চেষ্টা করি। তিনি অরবিস আবারো বাংলাদেশে আসার আশা রাখেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ