আজঃ সোমবার ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

জাপান থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বা অস্ত্র কিনতে চুক্তি করতে যাচ্ছে ঢাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাপান থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বা অস্ত্র কিনতে চুক্তি করতে যাচ্ছে ঢাকা। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বলে জানা গেছে।জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব পাঠিয়েছে জাপান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জাপানের পাঠানো প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে চুক্তিটির ওপর মতামত দেওয়াসহ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে অনুরোধ করে চিঠি পাঠিয়েছে— যার একটি অনুলিপি দেখেছে গণমাধ্যম।বাংলাদেশের আর্থিক সংগতি বাড়তে থাকায় অস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে।

এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনাপত্তি দিয়েছে। বাংলাদেশের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তির খসড়া সংশোধন করে পাঠিয়েছে জাপান।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে— যা দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যেও বিদ্যমান।

দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমন্বিত অংশীদারিত্বকে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।

কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে সমরাস্ত্র বিক্রির আগ্রহ প্রকাশ করছে জাপানের সামরিক সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে জাপানের একাধিক সামরিক সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। গত জুনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করে জাপান।

যুক্তরাষ্ট্রও বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি জিসোমিয়া (দ্য জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) ও আকসা (অ্যাকুইজিশন ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) সইয়ের বিষয়ে আলোচনা করছে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত জিসোমিয়া সইয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।বাংলাদেশের অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী চীন ও রাশিয়া। প্রতিবেশী ভারত থেকেও বাংলাদেশ অস্ত্র আমদানি করে থাকে। ইতোমধ্যে ইতালি, তুরস্ক, সুইডেন, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র বিক্রি করার প্রস্তাব আসছে।জাপান থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বা অস্ত্র কিনতে চুক্তি করতে যাচ্ছে ঢাকা। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

স্ত্রী অগ্নিদগ্ধ আর স্বামী পলাতক

রাজশাহী নগরিতে একটি বাড়ীথেকে হেলেনা আক্তার (৩৫) নামের এক নারীর অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে নময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে।

ওই নারী নগরের চন্দ্রিমা থানার নামো ভদ্রা রেললাইনের পাশে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। তার স্বামীর নাম আলমগীর হোসেন রয়েল। তিনি হেলেনাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন। ঘটনার পরথেকেতার স্বামী আলমগীরকে খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ। হেলেনা দুবছর আগে
সৌদী আরবে ছিলেন।

নিহতের মা ও ভাইয়ের দাবি, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় হেলেনাকে হত্যা করা হয়েছে।
চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ মতিয়ার রহমান বলেন, ‘সকাল ৯টার দিকে এক লোক থানায় ফোন করে ঘরে আগুনে পোড়া লাশ পড়ে থাকার কথা জানান। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।’
তিনি জানান, ঘরে তেমন আসবাবপত্র নেই। মেঝেতেই ঘুমাতেন ওই নারী। আগুনে পুরো শরীর ঝলসে গেছে। পাশে শুধু একটা মশারিতে পোড়া চিহ্ন দেখা গেছে। আর
কিছু পোড়েনি।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হেলেনার আগের স্বামীর একজন ছেলে আছে। সে মাদ্রাসায় আবাসিক থাকে। দ্বিতীয় স্বামীকে নিয়ে হেলেনা একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন। যে ঘরে তারা থাকতেন তার পাশের ঘরে আরেক প্রতিবন্ধী নারী থাকেন।
প্রতিবেশি ঐনারী পুলিশকে জানিয়েছেন, আগুন লাগলে হেলেনার চিৎকার করার কথা।তিনি রাতে কোনো চিৎকার শোনেননি।

পুলিশ জানায়,তবে মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে।’

আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেলেনার স্বামী আলমগীরকে খুঁজছি। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই মনে করা হচ্ছে তিনি পালিয়েছেন। তাকে খোঁজা হচ্ছে।

চট্টগ্রামে ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি, ১৬৭২টি খালি সিলিন্ডার জব্দ

চট্টগ্রামে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি করার একটি গুদামে অভিযান চালিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এসময় সেখান থেকে ১৬৭২টি খালি সিলিন্ডার জব্দ করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার ফুলতলা এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে একটি গুদামে এ অভিযান চালানো হয়।

জানা গেছে, গুদামটি মেসার্স নুসরাত এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি টিম গিয়ে ওই গুদামটি ঘিরে ফেলে। পরে চন্দনাইশ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমার নেতৃত্বে গুদামে অভিযান চালানো হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ডিপ্লোমেসি চাকমা জানিয়েছেন, গুদামটিকে ক্রস ফিলিং স্টেশন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল। বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাস ভর্তি করা হয়। এরপর সেগুলো আরও ঝুঁকি নিয়ে পিকআপ ভ্যানে করে চট্টগ্রামের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা হয়। অভিযানে গুদামটিতে কাউকে পাওয়া যায়নি। ১৬৭২টি গ্যাস সিলিন্ডার এবং একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়েছে। লাইসেন্সবিহীন অবৈধ গুদামটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ