আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

জাপান থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বা অস্ত্র কিনতে চুক্তি করতে যাচ্ছে ঢাকা।

নিজস্ব প্রতিবেদক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

জাপান থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বা অস্ত্র কিনতে চুক্তি করতে যাচ্ছে ঢাকা। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বলে জানা গেছে।জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব পাঠিয়েছে জাপান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জাপানের পাঠানো প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করে চুক্তিটির ওপর মতামত দেওয়াসহ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য জননিরাপত্তা বিভাগ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগকে অনুরোধ করে চিঠি পাঠিয়েছে— যার একটি অনুলিপি দেখেছে গণমাধ্যম।বাংলাদেশের আর্থিক সংগতি বাড়তে থাকায় অস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহী দেশের সংখ্যাও বাড়ছে।

এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনাপত্তি দিয়েছে। বাংলাদেশের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে চুক্তির খসড়া সংশোধন করে পাঠিয়েছে জাপান।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে— যা দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যেও বিদ্যমান।

দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমন্বিত অংশীদারিত্বকে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার লক্ষ্যে ২০২৩ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের সময় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি দুই দেশের মধ্যকার সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।

কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশে সমরাস্ত্র বিক্রির আগ্রহ প্রকাশ করছে জাপানের সামরিক সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই মধ্যে জাপানের একাধিক সামরিক সরঞ্জাম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ঘুরে গেছেন। গত জুনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষর করতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করে জাপান।

যুক্তরাষ্ট্রও বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষায়িত প্রতিরক্ষা চুক্তি জিসোমিয়া (দ্য জেনারেল সিকিউরিটি অফ মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্ট) ও আকসা (অ্যাকুইজিশন ক্রস-সার্ভিসিং অ্যাগ্রিমেন্ট) সইয়ের বিষয়ে আলোচনা করছে। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত জিসোমিয়া সইয়ে আগ্রহের কথা জানিয়েছে।বাংলাদেশের অস্ত্রের প্রধান সরবরাহকারী চীন ও রাশিয়া। প্রতিবেশী ভারত থেকেও বাংলাদেশ অস্ত্র আমদানি করে থাকে। ইতোমধ্যে ইতালি, তুরস্ক, সুইডেন, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ থেকে অস্ত্র বিক্রি করার প্রস্তাব আসছে।জাপান থেকে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বা অস্ত্র কিনতে চুক্তি করতে যাচ্ছে ঢাকা। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন বলে জানা গেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ