আজঃ রবিবার ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় মানবাধিকার কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান

প্রেস রিলিজ

৭৬তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন-বাংলাদেশ’র আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সাংবাদিক মোঃ শাহ নেওয়াজ, নারী নেত্রী রোকসানা খানম মিথুয়া, লায়ন মোঃ ইলিয়াস সিরাজী, ড. এম.এ. জলিল, আমীর হোসেন খান, সাংবাদিক গোলাম মাওলা মুরাদ, প্রফেসর রাজীব নন্দী, তাহেরা আকতার শারমীন, এস.এম. কামরুল ইসলাম, সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম, নুরুল আবসার তৌহিদ, আওরঙ্গজেব খান সম্রাট

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে ৭৬তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন-বাংলাদেশ, এর কর্মীসমাবেশ এসএমএম আইএইচআরসি বাংলাদেশ’র পিস অ্যাম্বেসেডর ও ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর লায়ন মুহাম্মদ ইলিয়াস সিরাজী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কর্মী সমাবেশে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. এম এ জলিল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ও সিডিএ’র বোর্ড সদস্য সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ। সংগঠনের সমন্বয়কারী সৈয়দ মোস্তফা আলম মাসুম ও মানবাধিকার নেতা মোঃ আওরঙ্গজেব খান সম্রাট’র যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রাজীব নন্দী। বাংলাদেশের নারী নেত্রী ও মানবাধিকার সংগঠক রোকসানা খানম মিথুয়া, চট্টগ্রাম বিভাগের প্রবীন মানবাধিকার নেতা মুহাম্মদ আমির হোসেন খান, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য মুহাম্মদ গোলাম মওলা মুরাদ, পাহাড়তলী কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামল মজুমদার, সংগঠনের জোনাল কো-অডিনেটর মেজবাহ উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগের নেত্রী তাহেরা আকতার শারমীন, মানবাধিকার নেতা ও সাংবাদিক এস.এম কামরুল ইসলাম, ব্যাংকার মোবারক আহমদ, মঈনুদ্দীন আহমেদ, চট্টগ্রাম বারের এপিপি এডভোকেট আবু বক্কর তালুকদার, এপিপি এডভোকেট আয়েশা আক্তার শানজি, ইঞ্জিনিয়ার মাজেদুল আলম, মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, ইঞ্জিনিয়ার আবু তৈয়ব, মোঃ জসিম উদ্দিন, চট্টগ্রাম মহানগরের নুরুল আবসার তৌহিদ, ইঞ্জিনিয়ার রাজিব রায়, ডা. জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার অধ্যাপক খন্দকার আবু হানিফ, চৌধুরী মোঃ আব্দুল ওয়াহাব, বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমেদ মিয়া, ভোক্তা অধিকার বাংলাদেশের মহাসচিব রায়হান সবুজ, সংগঠনের নেতা ড. সাজ্জাদ হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার রক্ষায় সকল দেশপ্রেমিক মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের অতীতের সকল বৈষম্য দূর করার জন্য সকলকে সচেতন থাকতে হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাংবাদিক মোঃ শাহ নেওয়াজ বলেন, বাংলাদেশ একটি ফ্যাসিস্ট সরকার থেকে মুক্ত হলেও ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্ত্বরা এখনও বিভিন্নভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার মাধ্যমে পুনরায় মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। উদ্বোধকের বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম এ জলিল বলেন, বাংলাদেশে বিগত সাড়ে পনের বৎসর মানবাধিকার লংঘন যারা করেছে তাদেরকে বিচারের আওতায় এনে ভবিষ্যতে যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় আইন প্রণয়ন জরুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রোকসানা আক্তার মিথু বলেন, ১৫ বছরের বৈষম্য দূর করার জন্য আন্দোলন হয়েছে। আগামীতে যাতে এ ধরনের আন্দোলন করতে না হয় তার জন্য গণতন্ত্র রক্ষায় দেশপ্রেমিক জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে লায়ন মুহাম্মদ ইলিয়াস সিরাজী বলেন, আমাদের সংগঠন সারা বিশ্বে মানবাধিকার রক্ষায় পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশেও তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাজ্জাদ উদ্দিন, রাজনীতিবিদ মোঃ সাব্বির আহমদ, উত্তর জেলার সংগঠক ইউনুস মিয়া তালুকদার, বাবলু বড়ুয়া, সাংবাদিক ও মানবাধিকার নেতা রবিউল হোসেন সম্রাট, লায়ন রাজিব নাথ, ডা. দিলীপ বিশ্বাস, ডা. রাজু, মোঃ নুর নবী, সংগঠন মুহাম্মদ মহসিন, সাগর ইসলাম, মোঃ ইলিয়াস, নারী নেত্রী সকিনা বেগম, জোহরা বেগম, শারমীন সরকার, মনি আক্তার, নাজমা বেগম, রোকসানা চৌধুরী পপি, মুক্তি শেখ, আব্দুল কাদের রুবেল, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, মোঃ সেলিম মিয়া, মোঃ জসিম উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম বাছা, মোঃ সোহেল চৌধুরী, মীরজাদা এমদাদ হোসেন সোহেল, মাহবুব হাসান, মোঃ জুয়েল খান, জনি মজুমদার, সাইফুল ইসলাম, নাসরিন আক্তার, আফসানা আক্তার, মোঃ আলমগীর, মিনহাজুল আবেদীন সাজিদ, মোসলেম উদ্দিন ভূইয়া, হাজী নুরুল ইসলাম, মোঃ শাহজাহান, এড. কায়সার তালুকদার, ছাদেক হোসেন, আবু বেলাল, সোহেল খান, মোঃ এনাম হোসেন, মোঃ সোলায়মান, বদিউল আলম চেয়ারম্যান, মিজানুল হক, মাকসুদুর রহমান কমল, ফারজানা আক্তার, সানজিদা ইসলাম শান্তা, নুরুল আমিন আজাদ, মোঃ শাহাদাত হোসেন, আমিনুল ইসলাম পারভেজ, এস.এম. শাহেদুল আলম, মাহবুবুল আলম, মোঃ বখতেয়ার, মোঃ নুরুল আবসার, মোঃ দিদার উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ ইসফার উদ্দিন, সাজেদা আক্তার, মোঃ ইসফাক উদ্দিন, রুবি আক্তার, মোঃ তারেক, তাহমিনা চৌধুরী তাহা, শারমীন শিলা, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ মানাবিধকার নেত্রী।

 

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চাকুরী স্থায়ী হচ্ছেনা চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মচারীদের, কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

দীর্ঘদিন কাজ করার পরও চাকুরী স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগে কাফনের কাপড় পরে চট্টগ্রাম ওয়াসার সামনে বিক্ষোভ করেছেন দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন তারা।
আন্দোলনের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) শারমিন আলমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, মামলা থাকার পরও ওয়াসায় দৈনিক ভিত্তিতে কর্মরতদের স্থায়ী না করে উল্টো নতুন করে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন কাজ করার পরও তাদের স্থায়ী না করে নতুন করে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ পরিকল্পিত। এসময় তারা অনতিবিলম্বে স্থায়ী নিয়োগের দাবি জানান।

তারা আরও বলেন, ওয়াসার ক্রান্তিকালে আমাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আমাদের বৈধতা দেওয়ার পরে অন্যদের নিয়োগ দিতে হবে। মামলা চলমান থাকার পরও কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে বিজ্ঞপ্তি ছাড়ে। হাইকোর্টকে অমান্য করে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রতিবাদে আমরা এখানে মিলিত হয়েছি। বিগত বছরগুলোতেও আমরা বৈষম্যের শিকার ছিলাম এখনও বৈষম্যের শিকার। চট্টগ্রাম ওয়াসায় বিভিন্ন পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত আছেন দুই শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজিসংক্রান্ত নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। কারা চাঁদা নেন, তাদের নাম প্রকাশের জন্য উপদেষ্টার প্রতি দাবি জানিয়েছেন তিনি।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রেসক্লাবের কর্ণফুলী হলে এ অনুষ্ঠান হয়।গত সোমবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম বন্দরে প্রতিদিন দুই থেকে আড়াই কোটি টাকার চাঁদাবাজি হয় বলে অভিযোগ করেন। যদিও টাকার পরিমাণটি তিনি অনুমানের ভিত্তিতে বলেছেন বলে জানান। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক-বর্তমান কোনো মেয়রের নাম উল্লেখ না করে তিনি ‘মেয়র কম, বন্দররক্ষক বেশি’ এমন মন্তব্যও করেন, যা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘নৌপরিবহণ উপদেষ্টার বক্তব্যের পর কিছু পত্রিকা লিখেছে, মেয়ররা নাকি চাঁদার ভাগ পেতেন। আমি তা দেখেই তাৎক্ষণিক উনাকে ফোন করি। তিনি বললেন- অতীতে যারা মেয়র ছিলেন তারা জড়িত ছিলেন। আমি বললাম- তাহলে নাম বলুন, কারা তারা?’অতীতে কারা চাঁদা নিতো, সুনির্দিষ্ট করে বলতে না পারলে চট্টগ্রামে আসতে দেব না, এটা ফোনেই উনাকে বলেছি। আমি চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে সুনির্দিষ্ট নাম পেলে সেই চাঁদাবাজদের প্রতিহত করব। সেই সৎ সাহস আমার আছে।’

তিনি বলেন, ‘চাঁদাবাজি তো দূরের কথা, বন্দর নিয়ে আমি কখনো কাউকে ফোন বা তদবির করিনি। প্রতিদিন যদি দুই-আড়াই কোটি টাকা চাঁদা ওঠে, মাসে ৬০ কোটি, বছরে ৭২০ কোটি টাকা হয়। অথচ সিটি করপোরেশনকে ন্যায্য ২০০ কোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া হয় না। বন্দরের ভারী মালবাহী ট্রাক-ট্রেইলারের চাপ সড়কের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে। আমার রাস্তাগুলো ৭-৮ টন বহনক্ষম। সেখানে ২০-৪০ টনের গাড়ি চলছে। প্রতি বছর ৪০০-৫০০ কোটি টাকা শুধু রাস্তায় খরচ করতে হয়। ন্যায্য ট্যাক্স না দিয়ে উলটো চাঁদাবাজির অভিযোগ করা হচ্ছে, যা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।’সাংবাদিকদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘সাংবাদিকতা হবে বস্তুনিষ্ঠ। যে সাংবাদিকতায় মানুষের চরিত্রহনন হয়, তার দায় সাংবাদিকদেরও নিতে হয়। প্রেসক্লাবের উচিত অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।’

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি’র সভাপতিত্বে ও সদস্য গোলাম মওলা মুরাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নগর জামায়াতের সেক্রেটারি নুরুল আমীন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, জামায়াত নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ, ডা. এ কে এম ফজলুল হক, এনসিপি নেত্রী সাগুফতা বুশরা মিশমা এবং প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি মনসুর, জ্যেষ্ঠ্য সাংবাদিক শামসুল হক হায়দরী, কাজী আবুল মনসুর, মুস্তফা নঈম, সালেহ নোমান, শেখর ত্রিপাঠি, জালাল উদ্দিন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শহিদুল ইসলাম, ফারুক আব্দুল্লাহ, ফারুক মুনির, মুজাহিদুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন, মোস্তফা কামাল পাশা, ফরিদ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম, লতিফা আনসারি রুনা, সোহাগ কুমার বিশ্বাস, ইবেন মীর, শরিফুল রুকন, মাহফুজুর রহমান, সরোজ আহমেদ, নুরুল আমিন মিন্টু, শাহাদাত হোসেন আবু সায়েম, জহুরুল আলম, আজিজা হক পায়েল, কিরণ শর্মা, আফসানা নুর নওশীন, অভীক ওসমান ও গিয়াস উদ্দিন বক্তব্য দেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের নতুন ব্যবস্থাপনা কমিটি:
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার আবাসিক সম্পাদক জাহিদুল করিম কচি এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন বৈশাখী টিভির ব্যুরো প্রধান গোলাম মাওলা মুরাদ।বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার সাইফুল্লাহ চৌধুরী এ কমিটি ঘোষণা করেন।—

কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতি মুস্তফা নঈম, সহ-সভাপতি ডেইজি মওদুদ, যুগ্ম সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ, অর্থ সম্পাদক আবুল হাসনাত, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রূপম চক্রবর্তী, ক্রীড়া সম্পাদক রুবেল খান, গ্রন্থাগার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক হাসান মুকুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক আবদুল্লাহ নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া কমিটিতে কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সালেহ নোমান, রফিকুল ইসলাম সেলিম, সাইফুল ইসলাম শিল্পী এবং আরিচ আহমেদ শাহ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ