
চট্টগ্রামে অস্থির হয়ে উঠেছে ভোজ্য তেলের বাজার। পণ্যটির সরকার নির্ধারিত দাম বৃদ্ধির দাবিতে মিল মালিকরা সরবরাহ বন্ধ করে দিলে কয়েক মাস ধরেই অস্থির হয়ে উঠে এই তেলের বাজার। এদিকে মিল মালিকদের সঙ্গে সরকারের সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের বৈঠকেও অস্থিরতা কাটানো যায়নি। তবে দ্রুত অস্থিরতা কাটবে বলে জানিয়েছিল সরকার ও ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর দুই নম্বর গেট কর্ণফুলী কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী মো. হোসাইন বলেন, দাম বৃদ্ধির পর থেকে এখনও কোন ডিলার অর্ডার নেয়নি। সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। আমরা পুরনো তেলই বিক্রি করছি। একই কথা বলেন ওই এলাকার ব্যবসায়ী মো. ইয়াকুব। তবে ডিলার পর্যায়ে সরবরাহ স্বাভাবিক হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডিলাররা।
দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের তেল ব্যবসায়ী মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সরবরাহ আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে। পাইকারিতে পাম তেল ও সয়াবিন তেলের দামও কমে আসছে। সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কয়েকদিন সময় লাগবে বলছেন ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা।
জানতে চাইলে টিকে গ্রুপের পরিচালক তারিক আহমেদ বলেন, ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে মিল থেকে ডিলার হয়ে ব্যবসায়ীদের কাছে যায়। মিলে পরিশোধনের জন্যও সময় লাগে। এখন সরবরাহে আর কোন বাধা নেই, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, সরকার নির্ধারিত নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৭৫ টাকায়, যা এতদিন ছিল ১৬৭ টাকা। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৪৯ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়াবে ১৫৭ টাকা। খোলা পাম তেলের লিটারও ১৪৯ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫৭ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া বোতলজাত পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৮১৮ টাকা।
তবে এখনো দাম বৃদ্ধির পরও নতুন করে সয়াবিন তেলের পুরোপুরি সরবরাহ পাননি ব্যবসায়ীরা। পুরনো মূল্যের বোতলজাত সয়াবিন তেল কিছুটা বেশি দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল অলিগলিতে ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হলেও নগরীর বড় বাজারগুলোতে ১৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে বোতলজাত দুই লিটার ৩৪০, তিন লিটার ৫১০ এবং পাঁচ লিটার ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।