
নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কয়কটি ইউনিয়নসহ ঢাকা – চট্টগ্রাম মহাসড়কে পরিবহনে ডাকাতি, চালকদের অজ্ঞান করে অটো রিকশা ছিনতাই ও অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের ঘটনা প্রশাসনকে ভাবিয়ে তুলেছে। গত কয়েক মাসে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর, সেখকান্দি এলাকায় ৮-১০টি অটো রিকশা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। বিষ্ণাদী গ্রামের অটো রিকশা চালক মতি মিয়াকে অজ্ঞান করে এ পর্যন্ত দুই বার ছিনতাইকারীরা অটো রিকশা ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। চালক মতি মিয়ার মতো অনেকেই অটোরিকশা হারিয়ে অসহায় জীবনযাপন করছে।
এছাড়া, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে মেঘনা ঘাট পর্যন্ত অংশসহ পিরোজপুর ইউনিয়নে হরহামেশাই ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। বিশেষ করে প্রবাস ফেরত লোকদের টার্গেট করেই ছিনতাইকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে এ সড়কে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ গত ৮ ডিসেম্বর রাতে এই এলাকায় ছিনতাইয়ের কবলে পড়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের গাড়ি। এ সময় ছিনতাইকারীরা হামলা চালিয়ে ছাত্রনেতাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ মালপত্র ছিনিয়ে নেয়।
জানা গেছে, একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ উপজেলার একটি পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়ন জুড়ে ডাকাতি ও ছিনতাই চালাচ্ছে। পিরোজপুর ও মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন পেশাদার ছিনতাইকারী এসব কাজে জড়িত। রাতের বেলা এ চক্র সড়কে কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে মুহূর্তের মধ্যে প্রাইভেট কারে ও মাইক্রোতে হামলা চালায়। এ সময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে যাত্রীদের জিম্মি করে সর্বস্ব লুট করে নেয়। ছিনতাইয়ের পর ছিনতাইকারীরা দ্রুত সড়কের দুই পাশের স্থানীয় রাস্তা দিয়ে সহজেই পালিয়ে যায়।
এসব ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় বেশিরভাগই থানায় মামলা এবং অভিযোগ করেন না ভুক্তভোগীরা। যারা অভিযোগ কিংবা মামলা করেন, তারা দূরের জেলার বাসিন্দা হওয়ায় মামলার সময় দিতে না পারায় মামলাগুলোরও তেমন অগ্রগতি হয় না।
উল্লেখ্য,নিয়মিত ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এ চক্রটিকে। শুধু রাতেই নয়, দিন দুপুরেও এ চক্রটি বিভিন্ন সময় ছিনতাই করে থাকে।
মেঘনা ইকোনমিক জোনে নিটিং বিভাগে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে বেতনের টাকা নিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমার দুই সহকর্মীর কাছ থেকে বেতনের ৩৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। নিরাপত্তার ভয়ে তারা থানায় অভিযোগ করেনি।’
এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল বারী জানান,পুলিশ এ চক্রের সদস্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।












