আজঃ বুধবার ১৪ মে, ২০২৫

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের বিভিন্ন থানায় বিজয় দিবসের আলোচনা সভা

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে: শাহজাহান চৌধুরী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, গত ১৭ বছর ধরে এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুখ থেকে বঞ্চিত ছিল। স্বাধীনতাকে একটি দলের লুটপাটের হাতিয়ার করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল সবার ঘরে ঘরে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে যেন ভবিষ্যতে আবারও কেউ জনগণের উপরনিপীড়ন চালানোর সাহস না করে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের উদ্যোগে ষোলশহর সুপার মার্কেট চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাসান রুমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হকের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, পাঁচলাইশ থানার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি তাওহীদ আজাদ, থানার কর্মপরিষদ সদস্য সোহেল রানা, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হোসাইন, পশ্চিম ষোলশহর আমীর অধ্যক্ষ কাজী আব্বাস আলী প্রমুখ।*এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।*

*বাকলিয়া থানা*বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাকলিয়া থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আমীর ওয়াহিদ মোর্শেদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন সওদাগরের সঞ্চালনায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ।

উক্ত সমাবেশ বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ, বাকলিয়া থানা জামায়াতের আমীর সুলতান আহমদ, নায়েবে আমীর আবুল মনসুর, পেশাজীবী সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ নাছির ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড নায়েবে আমীর এরফানুল আজিম চৌধুরী প্রমুখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, জামায়াতের কর্মীদের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় ও ইবাদত বন্দেগীর অনুভূতি নিয়ে সমাজে সাধারণ মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি নিজেদের উন্নত নৈতিক চরিত্র অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

*চকবাজার থানা*মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চকবাজার থানা জামায়াতের আলোচনা সভা ও ব্লাড গ্রুপিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। ব্লাড গ্রুপিং অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন। থানা আমীর আহমদ খালেদুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে থানা সেক্রেটারি সাদুর রশিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালী, থানা নায়েবে আমীর মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান, কোতোয়ালী থানা সেক্রেটারি মোস্তাক আহমেদ, থানা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, এরশাদুল ইসলাম প্রমুখ।*ডবলমুরিং থানা* ডবলমুরিং থানা জামায়াতের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। থানা আমীর মো. ফারুকে আযমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন এবং ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডবলমুরিং থানার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম, থানা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মজিবুর রহমান, বেলায়েত হোসেন, হাফেজ শহিদুল্লাহ, মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।*চান্দগাঁও থানা*মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক বিশাল র‌্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানা। চান্দগাঁও থানা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ ইসমাইলের নেতৃত্বে হাজেরা তজু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে থেকে শুরু করে বহদ্দারহাট মোড়ে গিয়ে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। এতে বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আযাদ চৌধুরী ও ওমর গনি, অফিস সেক্রেটারি আবদুল কাদের পাটওয়ারি, ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আমীর মুজিবুর রহমান।

*সদরঘাট থানার যুব সমাবেশ*
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সদরঘাট থানার যুব বিভাগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থানার যুব বিভাগের সভাপতি ফজলে এলাহী মুহাম্মদ শাহীনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদরঘাট থানার আমীর মুহাম্মদ আবদুল গফুর। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদরঘাট থানার প্রশিক্ষণ সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আমীর কবির আহমদ, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আমীর মুহাম্মদ ইব্রাহীম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড আমীর হারুন অর রশিদ দিদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আজিজুর রহমান, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বায়তুলমাল সেক্রেটারি মুহাম্মদ আহসান প্রমুখ।

*বন্দর থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড*বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বন্দর থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড এমারতের উদ্যোগে বিকাল ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওয়ার্ড আমীর ফিরোজ আহমদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন বন্দর থানা জামায়াতের আমীর মাহমুদুল আলম। আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক কাউন্সিলর ও সমাজসেবক শফিউল আলম।

*হালিশহর ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড*
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হালিশহর থানার ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড এমারতের উদ্যোগে বিকাল ৪টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আব্দুস শাকুর। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ। আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবক এডভোকেট শেখ জুবায়ের মাহমুদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক আবুল হাশেম চৌধুরী, দক্ষিণ কাট্টলী এমারতের সেক্রেটারি এবিএম সুলাইমান, মাওলানা মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।*খুলশী ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড*মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৩ নম্বর পাহাড়তলী প্রশাসনিক ওয়ার্ডের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতির বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলশী থানার আমীর অধ্যাপক আলমগীর ভূঁইয়া। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলশী থানার নায়েবে আমীর আইয়ুুব আলী হায়দার, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহফুজুল আলম এবং সভাপতিত্ব করেন খুলশী থানা শুরা এবং কর্মপরিষদ সদস্য ও ১৩ নম্বর প্রশাসনিক ওয়ার্ডের আমীর ওমর ফারুক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলশী থানার শুরা এবং কর্মপরিষদ সদস্য ও ১৩ নম্বর প্রশাসনিক ওয়ার্ডের সেক্রেটারি অধ্যাপক মহিবউল্লাহ চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন কে এম জাবেদ, এরশাদ খান, নাসির উদ্দিন, মাওলানা মুমিনুল ইসলাম পাটোওয়ারী, আব্দুল্লাহিল আমান পারভেজ, জাহাঙ্গীর আলম, সুলতান আহমেদ এবং নুরুল ইসলাম।*ইপিজেড থানার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড*মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইপিজেড থানার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইপিজেড থানা আমীর আবুল মোকাররম। আরও বক্তব্য রাখেন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল আরিফ, বাইতুলমান সম্পাদক আব্দুর রহিম বিশ্বাস, অফিস সম্পাদক মামুন খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক এডভোকেট মো. শাহেদ। প্রোগ্রামের সভাপতিত্ব করেন এড. মোহাম্মদ শাহেদ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে ড. ইউনুসের আগমন: চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের সংবাদ সম্মেলন

ঐতিহাসিক কালুরঘাট সেতু নির্মাণকাজের উদ্বোধনকে ঘিরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দীর্ঘদিন ধরে এই দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম।

সংগঠনের মহাসচিব মো: কামাল উদ্দিন লিখিত বক্তব্যে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী Enforcement ড. মোহাম্মদ ইউনুসকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং একইসাথে সেতু নির্মাণ সুনিশ্চিত করতে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কালুরঘাট সেতু চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র প্রবেশদ্বার হিসেবে যুগ যুগ ধরে মানুষের ভোগান্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই সেতুর আধুনিকায়নের দাবিতে প্রথম আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল ১৯৮৮ সালে বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে এস. এম. জামাল উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন, স্মারকলিপি প্রদান, মানববন্ধন, গণঅনশন, গোলটেবিল বৈঠক এবং একাধিক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম ও অন্যান্য সংগঠন এই দাবিকে জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করে।

মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, “বিগত সরকার আমাদের আন্দোলনকে সরকার বিরোধী বলে আখ্যা দিলেও আমরা থেমে থাকিনি। আমরা চট্টগ্রামের মানুষের পক্ষ থেকে বলেছি—এই সেতু শুধু একটি অবকাঠামো নয়, এটি দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক মুক্তির চাবিকাঠি।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী ১৪ মে ২০২৫ তারিখে কালুরঘাট সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে চট্টগ্রামে আসছেন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস। তাঁর আগমন শুধু একটি সেতুর সূচনা নয় বরং চট্টগ্রামের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়ার বার্তা বহন করে। আমরা তাঁকে জানাচ্ছি হৃদয় নিংড়ানো স্বাগত।”
প্রস্তাবনায় বলা হয়, ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রস্তাবিত কালুরঘাট সেতু পদ্মা সেতুর তুলনায় অনেক ছোট, যা মাত্র ৮ ভাগেরও কম দৈর্ঘ্যের। পদ্মা সেতু যেখানে ৮ বছরে নির্মিত হয়েছে, সেখানে কালুরঘাট সেতু চাইলে ২০২৮ সালের মধ্যেই শেষ করা সম্ভব। এজন্য প্রধান উপদেষ্টার সরাসরি তদারকি কামনা করে নাগরিক ফোরাম।

সংগঠনটি হুঁশিয়ার করে দিয়ে জানায়—কোনো ধরনের কালক্ষেপণ বা অবহেলা হলে চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরাম আবারো জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন গবেষক সোহেল মোহাম্মদ ফখরুদ দ্বীন, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কামরুল ইসলাম, লায়ন আসিফ আহমেদ মিদা, একে এম ওসমান গনি, মাষ্টার আবুল হোসেন, সেলিম উল্লাহ চৌধুরী, মোহাম্মদ আকতার হোসেন নিজামী, লায়ন দুলাল কান্তি বড়ুয়া, লায়ন সমীরণ বড়ুয়া ও মোহাম্মদ নুর প্রমুখ।

সমাপ্তিতে সংবাদ সম্মেলন থেকে চট্টগ্রামের সকল গণমাধ্যম, রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন ও সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানানো হয় এই জাতীয় স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিক এবং ২০২৮ সালের মধ্যে নতুন সেতুর উদ্বোধনের আনন্দে অংশগ্রহণ করুক।

বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বীরমুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন আহমাদ’র ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী ।

ভোলার লালমোহনের কিংবদন্তি শিক্ষাবিদ বীরমুক্তিযোদ্ধা মানবসেবক নামজাদা ফুটবলার সালাউদ্দিন মিয়ার ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ২১ মে ২০২৪ ।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম মুন্সি আব্দুর রহমানের বংশধর সালাউদ্দিন আহমাদ, ভোলা কলেজের সাবেক অধ্যাপক মৌলানা মনসুর আহমাদ গোল্ডমেডেলিস্ট এবং বেগম বদরুন্নেসা আহমাদের জ্যেষ্ঠ পুত্র । লালমোহন উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামের বনেদি পরিবারের সন্তান সালাউদ্দিন আহমাদ ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম সেক্টরের দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলে বিপুল বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করেন । একি সময়ে তিনি চট্টগ্রাম জোনের মুক্তিযুদ্ধের মহান সংগঠক এম এ আজিজের একান্ত উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন । এম এ আজিজের পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত হাজি মোহাব্বত আলী একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন সালাউদ্দিন আহমাদ । ১৯৭১ এর রণাঙ্গনে বিপুল বিক্রমে যুদ্ধ করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মহান সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের সাথে ব্যক্তিগত ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় ভোলার বীরযোদ্ধা সালাউদ্দিন আহমাদের।

লালমোহন শাহবাজপুর কলেজের একসময়ের খ্যাতিমান ইংরেজি শিক্ষক সালাউদ্দিন আহমাদ বিচিত্র কর্মজীবনে বিভিন্ন সময়ে ভোলা মাসুমা খানম গার্লস হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক, ডাওরীরহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক, লালমোহন হাইস্কুলের উপপ্রধানশিক্ষক, সীতাকুণ্ড লতিফা সিদ্দিকা মেমোরিয়াল হাইস্কুলের উপপ্রধানশিক্ষক ছিলেন । তিনি ধলীগৌরনগর হাইস্কুলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা । দুই মেয়াদে সভাপতি ছিলেন ঐতিহ্যবাহী করিমগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সহোদর ভাইয়ের নামে লালমোহন উপজেলায় প্রথম বেসরকারি গণগ্রন্হাগার ” শহীদ জামাল স্মৃতিপাঠাগার” প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি সত্তুর এবং আশির দশকে পাঠক সৃষ্টিতে রেখে গেছেন কালজয়ী অবদান ।
ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ ও ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রভাষক কবি শাহাবুদ্দিন রিপন শান , তজুমদ্দিন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিমউদ্দিন লিটন , চতলা সাতবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি শরিফউদ্দিন টিপু এবং চতলা করিমুন্নেছা মহিলা দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মেজবাহউদ্দিন রুবেল শান বীরমুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন আহমাদের সন্তান।

মরহুম সালাউদ্দিন আহমাদের ৪০ তম মৃত্যুবার্ষিকীর অবিস্মরণীয় দিনটি (২১ মে ২০২৫) মরহুমের কবর জিয়ারত, স্মরণ ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে উদযাপন করবে- লালমোহন মিডিয়া ক্লাব এবং শান ফাউন্ডেশন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ