আজঃ শনিবার ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের বিভিন্ন থানায় বিজয় দিবসের আলোচনা সভা

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে: শাহজাহান চৌধুরী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী বলেন, গত ১৭ বছর ধরে এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুখ থেকে বঞ্চিত ছিল। স্বাধীনতাকে একটি দলের লুটপাটের হাতিয়ার করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার বিপ্লবের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল সবার ঘরে ঘরে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হয়েছে। সেই সুযোগ নিশ্চিত করার জন্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে যেন ভবিষ্যতে আবারও কেউ জনগণের উপরনিপীড়ন চালানোর সাহস না করে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের উদ্যোগে ষোলশহর সুপার মার্কেট চত্বরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পাঁচলাইশ থানা জামায়াতের আমীর ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল হাসান রুমীর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল হকের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী, পাঁচলাইশ থানার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি তাওহীদ আজাদ, থানার কর্মপরিষদ সদস্য সোহেল রানা, ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল হোসাইন, পশ্চিম ষোলশহর আমীর অধ্যক্ষ কাজী আব্বাস আলী প্রমুখ।*এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ডের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।*

*বাকলিয়া থানা*বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাকলিয়া থানার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড আমীর ওয়াহিদ মোর্শেদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি নাছির উদ্দিন সওদাগরের সঞ্চালনায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ।

উক্ত সমাবেশ বিশেষ মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুছ, বাকলিয়া থানা জামায়াতের আমীর সুলতান আহমদ, নায়েবে আমীর আবুল মনসুর, পেশাজীবী সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মদ নাছির ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ড নায়েবে আমীর এরফানুল আজিম চৌধুরী প্রমুখ।প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ বলেন, জামায়াতের কর্মীদের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় ও ইবাদত বন্দেগীর অনুভূতি নিয়ে সমাজে সাধারণ মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি নিজেদের উন্নত নৈতিক চরিত্র অর্জনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার মাধ্যমে দ্বীনের দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে।

*চকবাজার থানা*মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চকবাজার থানা জামায়াতের আলোচনা সভা ও ব্লাড গ্রুপিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও চট্টগ্রাম মহানগরী নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম। ব্লাড গ্রুপিং অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন। থানা আমীর আহমদ খালেদুল আনোয়ারের সভাপতিত্বে থানা সেক্রেটারি সাদুর রশিদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালী, থানা নায়েবে আমীর মুহাম্মদ আব্দুল হান্নান, কোতোয়ালী থানা সেক্রেটারি মোস্তাক আহমেদ, থানা এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, থানা কর্মপরিষদ সদস্য, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, এরশাদুল ইসলাম প্রমুখ।*ডবলমুরিং থানা* ডবলমুরিং থানা জামায়াতের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। থানা আমীর মো. ফারুকে আযমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মো. সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের আগে ও পরের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেন এবং ১৯৭১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ডবলমুরিং থানার এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম, থানা মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মজিবুর রহমান, বেলায়েত হোসেন, হাফেজ শহিদুল্লাহ, মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।*চান্দগাঁও থানা*মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক বিশাল র‌্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানা। চান্দগাঁও থানা জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ ইসমাইলের নেতৃত্বে হাজেরা তজু বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সামনে থেকে শুরু করে বহদ্দারহাট মোড়ে গিয়ে পথসভার মাধ্যমে শেষ হয়। এতে বক্তব্য রাখেন থানা সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আযাদ চৌধুরী ও ওমর গনি, অফিস সেক্রেটারি আবদুল কাদের পাটওয়ারি, ৬ নম্বর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড আমীর মুজিবুর রহমান।

*সদরঘাট থানার যুব সমাবেশ*
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সদরঘাট থানার যুব বিভাগের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থানার যুব বিভাগের সভাপতি ফজলে এলাহী মুহাম্মদ শাহীনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর শামসুজ্জামান হেলালী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদরঘাট থানার আমীর মুহাম্মদ আবদুল গফুর। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদরঘাট থানার প্রশিক্ষণ সেক্রেটারি মাওলানা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসাইন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আমীর কবির আহমদ, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড আমীর মুহাম্মদ ইব্রাহীম, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড আমীর হারুন অর রশিদ দিদার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আজিজুর রহমান, ২৯ নম্বর ওয়ার্ড বায়তুলমাল সেক্রেটারি মুহাম্মদ আহসান প্রমুখ।

*বন্দর থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড*বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বন্দর থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড এমারতের উদ্যোগে বিকাল ৫টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওয়ার্ড আমীর ফিরোজ আহমদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন বন্দর থানা জামায়াতের আমীর মাহমুদুল আলম। আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক কাউন্সিলর ও সমাজসেবক শফিউল আলম।

*হালিশহর ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড*
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হালিশহর থানার ১১ নম্বর দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ড এমারতের উদ্যোগে বিকাল ৪টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাওলানা আব্দুস শাকুর। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হালিশহর থানা জামায়াতের আমীর ফখরে জাহান সিরাজী সবুজ। আরো বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও সমাজসেবক এডভোকেট শেখ জুবায়ের মাহমুদ, বিশিষ্ট সমাজসেবক আবুল হাশেম চৌধুরী, দক্ষিণ কাট্টলী এমারতের সেক্রেটারি এবিএম সুলাইমান, মাওলানা মাকসুদুর রহমান প্রমুখ।*খুলশী ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড*মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৩ নম্বর পাহাড়তলী প্রশাসনিক ওয়ার্ডের উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতির বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাস স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলশী থানার আমীর অধ্যাপক আলমগীর ভূঁইয়া। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলশী থানার নায়েবে আমীর আইয়ুুব আলী হায়দার, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহফুজুল আলম এবং সভাপতিত্ব করেন খুলশী থানা শুরা এবং কর্মপরিষদ সদস্য ও ১৩ নম্বর প্রশাসনিক ওয়ার্ডের আমীর ওমর ফারুক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী খুলশী থানার শুরা এবং কর্মপরিষদ সদস্য ও ১৩ নম্বর প্রশাসনিক ওয়ার্ডের সেক্রেটারি অধ্যাপক মহিবউল্লাহ চৌধুরী। এতে আরও বক্তব্য রাখেন কে এম জাবেদ, এরশাদ খান, নাসির উদ্দিন, মাওলানা মুমিনুল ইসলাম পাটোওয়ারী, আব্দুল্লাহিল আমান পারভেজ, জাহাঙ্গীর আলম, সুলতান আহমেদ এবং নুরুল ইসলাম।*ইপিজেড থানার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড*মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ইপিজেড থানার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ইপিজেড থানা আমীর আবুল মোকাররম। আরও বক্তব্য রাখেন ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল আরিফ, বাইতুলমান সম্পাদক আব্দুর রহিম বিশ্বাস, অফিস সম্পাদক মামুন খান, বিশিষ্ট সমাজসেবক এডভোকেট মো. শাহেদ। প্রোগ্রামের সভাপতিত্ব করেন এড. মোহাম্মদ শাহেদ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে : জামায়াত আমির।

ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্ট বিপ্লবের পরদিন থেকে একটি গোষ্ঠী প্রভাব বিস্তারের জন্য জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দুর্নীতি অব্যাহত রেখেছে। ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছে। প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে।

শুক্রবার দুপুর ২টায় ৮ দলের উদ্যোগে আয়োজিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমরা ৮ দলের বিজয় চাই না, ১৮ কোটি মানুষের বিজয় চাই। সেই আকাঙ্খার বিজয় হবে কুরআনের মাধ্যমে। চট্টগ্রাম থেকে ইসলামের বিজয়ের বাঁশি বাজানো হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কুরআনের বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, গাড়ি দিয়ে পালানোর সাহস তারা হারিয়ে ফেলেছিল। সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিকে এই অপকর্মে লাগানোর চেষ্টা করেছিল। দেশের সবকিছু তারা ধ্বংস করেছিল। ফ্যাসিবাদ বিদায় নিলেও দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়নি। ফ্যাসিবাদকে নতুন করে রুখে দাঁড়াতে দেওয়া হবে না।

জামায়াতের আমির বলেন, তারা নিজেদের উন্নয়ন করেছিল। রাস্তাঘাট তৈরি করেছিল রডের বদলে বাঁশ দিয়ে। বাংলাদেশের টাকা লুট করে সিঙ্গাপুরে গিয়ে তারা ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে। শাপলা চত্বরে অসংখ্য মাওলানাকে হত্যা করা হয়েছিল। এরপর কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বলেছিল রঙ দিয়ে শুয়ে ছিল। তারা রক্তাক্ত হাতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্তাক্ত হাতেই বিদায় নিয়েছে।
আন্দোলনরত ৮ দলের ৫ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের লড়াই অব্যাহত থাকবে ঘোষণা দিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এই ঐক্য আমাদেরকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নিয়ে যাবে। প্রয়োজনে আবারও ৫ আগস্ট সংঘটিত হবে বলে হুঁশিয়ার করেন তিনি।

৮ দলের প্রধানদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির আমির অধ্যক্ষ মাওলানা সরওয়ার কামাল আজিজী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম আনোয়ারুল ইসলাম চাঁন।

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের ইসলামি শক্তিকে কেউ নিস্তব্ধ করতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামপন্থীদের। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাস্ত করা কবে না।তিনি বলেন, আসুন আমরা ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে চট্টগ্রামকে ইসলামের ঘাঁটি বানাই। চট্টগ্রামের মাটি ইসলামের ঘাঁটি। ৮ দলের এই শক্তি ক্ষমতায় গেলে আপনারই দেশ শাসন করবেন। কারও দাদার শক্তিতে এ দেশ আর চলবে না।

এটিএম আজহার বলেন, বাংলাদশ এমন পর্যায়ে দাঁড়াবে বিদেশিরা এখানে পড়ালেখা করতে আসবে। আসুন আমরা সবাই মিলে সেই দেশ গড়ি।খেলাফতে মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, আগামীতে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের বিজয়ের মাধ্যমে কোরআনের শাসন শুরু হবে। সোনার বাংলাদেশ দেখা শেষ, ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখা শেষ- এবার আল কোরআনের বাংলাদেশ দেখতে চাই, ইসলামের বাংলাদেশ দেখতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশে আমাদের অধিকার চাই, মালিকানা কায়েম করতে চাই। গরিব মেহনতী মানুষকে ইসলামের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। ইসলাম যে বৈষম্যহীনের কথা বলা হয়েছে। পুঁজিবাদর অর্থ ব্যবস্থা করব দিয়ে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হবে।

মামুনুল হক বলেন, বাংলাদেশে কোরআনের অর্থ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে নিজেদের অধিকার ও মালিকানা কায়েম করতে। পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার কবর তৈরি করে সেই ধ্বংস স্তূপের ওপর আল্লাহর কুরআনের ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হবে ইনশাআল্লাহ। আমাদের বিগত দিনগুলো শুধু উন্নয়নের গল্প শুনানো হয়েছে। কিন্তু নিজেরাই হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

সাধারণ কেটে খাওয়া মানুষের কোন পরিবর্তন হয়নি। এই তো উন্নয়ন। বাংলার মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে মামুনুল হক বলেন, দলীয় প্রতীকে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি হ্যাঁ ভোটের বাক্স ভরতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা দেখা দিলে সরকারকে তার দায় নিতে হবে। এসময় তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন।
সমাবেশে ৮ দলের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির নায়েবে আমির আলহাজ¦ মাওলানা আব্দুর রহমান চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের যুগ্ম

সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মুন্সি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আলাউল্লাহ আমিন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব আল্লামা মুফতি মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আলী উসমান, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, খেলাফত মজসিলের যুগ্ম মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সাল, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আলহাজ¦ শাহজাহান চৌধুরী, ইসলামী আন্দোলন

বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুফতি রেজাউল আববার, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুলতান মহিউদ্দিন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর আমির মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরী আমির মুহাম্মদ জান্নাতুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চট্টগ্রাম মহানগরী সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মোতালেব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মুজাফফর মোহাম্মদ আনাছ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা এমদাদ উল্লাহ সোহাইল, খেলাফত মজলিস চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি অধ্যাপক খুরশিদ আলম এবং বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি চট্টগ্রাম মহানগর আমির মাওলানা জিয়াউল হোসাইন।

কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সোহাগ হোসেন নামের এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে দুটি পিস্তল ও একটি ওয়ান শুটারগান উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ওসমানপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ওসমানপুর কলপাড়া গ্রামে এই অভিযান চালান সেনাসদস্যরা। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খোকসা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোশাররফ হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাপ্টেন মেহেদীর নেতৃত্বে কুষ্টিয়া সেনাক্যাম্পের রওশন আরা রেজিমেন্ট আর্টিলারি ইউনিটের একটি দল ওসমানপুর গ্রামের সোহাগ হোসেন নামের এক যুবকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় বাড়ি তল্লাশি করে দুটি পিস্তল, একটি ওয়ান শুটারগান, গুলি, দেশীয় চাকু ও হাঁসুয়া পাওয়া যায়। তবে অভিযানে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সোহাগ হোসেন পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। তাঁর বাবার নাম আশরাফ হোসেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানে উদ্ধার করা অস্ত্র থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ