আজঃ বৃহস্পতিবার ২২ মে, ২০২৫

নুর আলী মিয়ার হাট শাখার মহিলা মাহফিল অনুষ্ঠিত

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম ঃ

শাহানশাহ হযরত শাহসুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.) এর ৯৬ খোশরোজ উরশ শরীফ উপলক্ষে মহিলা মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সফল অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক আকরাম খানের সহ ধর্মীনি সাবিনা আকরাম চৌধুরী, চেয়ারম্যান এম.আই.বি সিএনজি এন্ড ফিলিং স্টেশন ও
পরিচালক ট্রিওলুক্স লিমিটেড। প্রধান আলোচক ছিলেন এডভোকেট শাহজাদী ইয়াসমিন মুক্তা, জেলা ও দায়রা জজ আদালত, চট্টগ্রাম ও সিনিয়র সদস্য, এসজেডএইচএম ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন মহিলাদের আত্নজিজ্ঞাসা ও জ্ঞানানুশীলনমূলক সংগঠন “দি মেসেজ”।
অনুষ্ঠান পরিচালনা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন উম্মে আল আসফিয়া সিনিয়র সদস্য, এসজেডএইচএম ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন মহিলাদের আত্নজিজ্ঞাসা ও জ্ঞানানুশীলনমূলক সংগঠন আলোর পথে।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন সানজিদা পারভিন চৌধুরী, মার্জিত জান্নাত, নাহিদা আকতার চৌধুরী, সাহেদা আকতার, লাভলী আকতার, সেলিনা আকতার, তানজু আকতার, জান্নাতুল ফেরদৌস সিজানা প্রমূখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্য বলেন গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী তথা হক মঞ্জিল ও এসজেটএইচএম ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি আলহাজ্ব সৈয়দ মুহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (ম.) মানবতার যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রেখে যাচ্ছেন তা এই যুগে খুব বিরল।
আমরা বিভিন্ন জায়গায় গেলে মওলা হুজুরের প্রসংশা শুনতে পাই বিশেষ করে শিক্ষা, চিকিৎসা ও বিভিন্ন খাতে যেভাবে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেন প্রশংসনীয় আমি এবং আমার পরিবার তাহার খুব ভক্ত আপনারা তাহার যে সুন্দর মিশন সেই মিশনে সফল করার জন্য নুর আলী মিয়ার হাট শাখার সাথে সর্ম্পক রেখে এগিয়ে যাবেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

হজ্জ: হৃদয়ের দিগন্তে আলেয়ার মতো জ্বলে ওঠা আত্মশুদ্ধির আলোকপাঁজর।

যখন কোটি কোটি হৃদয় এক সুরে উচ্চারণ করে—”লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক”, তখন আকাশ-বাতাসও থমকে দাঁড়ায়। হজ্জ তখন আর শুধু একটি ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা থাকে না; হয়ে ওঠে আত্মার এক অভূতপূর্ব অভিষেক, পবিত্রতার এক অনন্য মহাসম্মিলন। মানুষের জীবনচক্রে এমন কোনো অধ্যায় নেই, যেখানে হজ্জের মত একান্ত ও গভীর আত্মসংশোধনের উপলক্ষ পাওয়া যায়।

ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের শেষতম অথচ সর্বোচ্চ স্তম্ভটি যেন এক অলৌকিক আহ্বান। এই আহ্বান আসে আকাশ পেরিয়ে হৃদয়ের গহীনে, যেখানে মানুষ সমস্ত পরিচয়ের অহংকার ছুঁড়ে ফেলে আত্মবিসর্জনের শুদ্ধতম অবস্থানে পৌঁছে যায়। ধনী-গরিব, রাজা-ভিখারী—সবাই একসঙ্গে দাঁড়ায় কা’বার চৌহদ্দিতে। এক রঙের পোশাক, এক কণ্ঠের ধ্বনি, এক দিকের সেজদাহ—হজ্জ আমাদের শেখায় বিশ্বমানবতার মহাঐক্য।

Oplus_0

এই হজ্জের সূচনা সেই ইতিহাসের গভীর থেকে, যেখানে পিতা ইবরাহিম (আ.) তাঁর একমাত্র পুত্র ইসমাঈল (আ.)-কে আল্লাহর আদেশে কুরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। যে কা’বা ঘর তাঁর হাতে নির্মিত, সেই ঘরের চারপাশেই আজ কোটি মানুষের কান্না, তাওয়াফ, প্রার্থনা, নিঃশ্বাস। কত শত বছর পেরিয়ে গেছে, তবুও ইবরাহিম (আ.)-এর সেই আহ্বান—“আসো, তোমার প্রভুর ঘরে”—আজও প্রতিধ্বনিত হয় মিনার বাতাসে, আরাফার স্তব্ধতায়।

হজ্জ মানুষকে শিখিয়ে দেয় কীভাবে নতজানু হতে হয় এক মহান সত্তার সামনে। সেখানে নেই কোনো অহংকার, নেই কোনো রাজকীয়তা, নেই কোনো পার্থিব শ্রেষ্ঠত্ব—আছে কেবল আত্মবিসর্জন, কেবল ফিরে আসা, এক অনবদ্য অনুতাপে নিজের ভুলগুলো মুছে ফেলার ইচ্ছা। হজ্জ যেন একটি জীবন্ত দিগন্ত, যেখানে মুমিন তার অতীতকে পেছনে ফেলে নতুন এক আলোয় উদিত হয়।

যারা হজ্জ করেন, তারা ফিরে আসেন অন্য রকম হয়ে। চোখে থাকে এক গভীর শান্তি, কণ্ঠে থাকে বিনয়ের ঝরনা, হৃদয়ে থাকে নতুন করে জীবন শুরু করার স্পর্ধা। হজ্জ যেন এক স্বর্গীয় পুনর্জন্ম—যেখানে মানুষ নিজেকে ফিরে পায় আরও পবিত্র, আরও সত্যনিষ্ঠ এক মানুষ হিসেবে।

হজ্জের প্রতিটি ধাপে, প্রতিটি সূর্যোদয়ে ও প্রতিটি অশ্রুজলে ফুটে ওঠে ইসলামের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য—যেখানে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টিই জীবনের চূড়ান্ত সাফল্য। এমন ইবাদত এই পৃথিবীতে আর নেই, যা এতো সরল, অথচ এতো গভীর; এতো নিরব, অথচ এতো প্রভাবশালী।

এই ইবাদতের মাহাত্ম্য কেবল আখিরাতের প্রাপ্তিতে নয়, বরং দুনিয়ার জীবনেও এটি এক নতুন আবর্তন। হজ্জের পর এক মুসলিম যদি সত্যিকার অর্থে পরিবর্তিত না হন, তবে সেই সফর কেবল ভ্রমণই থেকে যায়। কিন্তু যিনি অন্তর দিয়ে হজ্জ করেন, তাঁর জীবনের প্রতিটি অধ্যায় হয়ে ওঠে যেন এক চলমান তাওয়াফ—আল্লাহর দিকে ফিরে ফিরে আসার অবিরাম সাধনা।

হজ্জ তাই কেবল একটি ইবাদত নয়, এটি এক জীবনদর্শন, একটি নিরব বিপ্লব, যা মানুষের ভেতরের অন্ধকার দূর করে এনে দেয় আলোর নিরবধি ছায়া।

“হজ্জ হলো এক আধ্যাত্মিক উল্লম্ফন—যেখানে মুমিন তার সমস্ত ভার ঝেড়ে ফেলে হালকা হয়ে যায় আল্লাহর রহমতের আকাশে।”

ভোলা- বরিশাল সেতু দ্রুত বাস্তবায়নসহ ৮ দাবি নিয়ে মানববন্ধন

চট্টগ্রামস্থ ভোলাবাসীর সর্ব ঐক্য মানববন্ধন সোমবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। ভোলা জেলা সমিতি-চট্টগ্রাম এর সহযোগিতায় মানববনআধন থেকে ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো, ভোলা-বরিশাল সেতুর কাজ দ্রুত বাস্তবায়ন, চট্টগ্রামে অবস্থানরত সকল ভোলাবাসীর সুবিধার্থে ইলিশা-মতিরহাট ফেরী ঘাটের কাজ বাস্তবায়ন, ভোলার প্রত্যেক ঘরে ঘরে গ্যাস লাইন দ্বারা ভোলায় উত্তোলিত গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা গ্রহণ, নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় ভোলার চতুর্দিকে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ,

বিদ্যমান জরাজীর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি মেডিকেল কলেজ ও উন্নতমানের হাসপাতাল স্থাপন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে সরকারি উদ্যোগ, গ্যাস ভিত্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপন, চরাঞ্চলের উন্নয়নে গবেষণা ভিত্তিক উদ্যোগ।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামস্থ ভোলাবাসির সর্ব ঐক্য মানববন্ধন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক লায়ন আতিকুল্লাহ বাহার। যুগ্ম আহবায়ক মো: ফিরোজ চৌধুরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক কিরন শর্মা, সদস্যসচিব- মাহবুবুর রহমান সেলিম, যুগ্ম সচিব আলী আজগর, সদস্য (অর্থ) কাঞ্চন মাঝি,সদস্য (মিডিয়া) নুরুন্নবী শাওনসহ ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি। মানবন্ধনে ভোলা জেলা সমিতি-চট্টগ্রাম সহ ভোলার ২৫ টি পেশাজীবী সংগঠন অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন -অন্তবর্তী সরকার ভোলা – বরিশাল সেতু আগামী জানুয়ারি ২০২৬ উদ্বোধন করার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এজন্য একনেকে ১৭ হাজার কোটি টাকা অনুমোদন দেয়ার জন্য মানব বন্ধন
থেকে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।

জেলা ভোলায় প্রাকৃতিক গ্যাস খনি রয়েছে। এখানকার গ্যাস সম্পদ রয়েছে ব্যবহারের জন্য জনপদের মানুষ দাবিদার।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ