আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

স্বাধীনতার নামে যেন স্বেচ্ছাচারিতা না করি : হাসান হাফিজ

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ বলেছেন, জাতীয় সংকট আমাদের আছে। ষড়যন্ত্র হচ্ছে, আরো অনেক ষড়যন্ত্র হবে। আমরা মিডিয়া যেন দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই। আমরা যেন স্বাধীনতার নামে স্বেচ্ছাচারিতা না করি। আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার চাই, পরির্বতন চাই। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-সাংবাদিকসহ অনেক মানুষ প্রাণ দিয়েছে। সবার রক্তের সঙ্গে যেন আমরা বেঈমানি না করি।
শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়ার সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব।
তিনি বলেন, দেশে ও দেশের বাইরে ষড়যন্ত্র চলছে। আমাদের গণমাধ্যমগুলো এখনো সঠিক লাইনে আসে নাই। ভারতীয় মিডিয়া আমাদের দেশ নিয়ে বিশ্ববাসীর কাছে ভুল বার্তা দিচ্ছে। আমাদেরকে রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়। এখনও কেন রক্ত ঝড়বে, আমাদের সীমান্তের কাটাতারে ফেলনীর মত লাশ দেখতে চাই না। আমাদের বন্ধুত্ব হতে হবে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে।
হাসান হাফিজ বলেন, আমরা সত্যিকারের বৈষম্যমুক্ত, সাম্যের , ন্যায়ের এবং শোষনমুক্ত, মুক্তচিন্তার প্রতিধ্বনি থাকবে- সেই রকম একটা বাংলাদেশ চাই। সাংবাদিকদের দায়িত্ব অনেক বেশি। আমরা সবাই মিলে কাজ করবো।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন মাহাথীর মোহাম্মদ লাগবে। কারন আমরা ১০০ বছর ৫০ বছর অপেক্ষা করতে পারবো না। আমরা একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে আমরা নিজেদের মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই। আমরা যে সুযোগ পেয়েছি সেটা যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে হয়তো আরো বড় স্বৈরাচার আমাদের ওপর চেপে বসবে।
হাসান হাফিজ বলেন,জাতীয় প্রেসক্লাব আপনাদের পাশে আছে। আপনারা যখনই ঢাকায় যাবেন আপনাদের জন্য আমাদের দরজা সবসময় অবারিত। আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাবো।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া বলেন, নতুন বাংলাদেশে নতুন স্বপ্ন দেখছি আমরা। নতুন করে সাংবাদিকতাকে আবার বাংলাদেশে স্টাবলিশ করার জন্য স্বপ্ন দেখছি। গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা চলে গিয়েছিলো জাদুঘরে। আজকে সাংবাদিকতাকে জাদুঘর থেকে বের করে আনতে হবে। তিনি বলেন, জাতীয় প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবো। যার ফলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাংবাদিকরা ঢাকায় গেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে সংবর্ধনা সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাব অন্তবর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম, গোলাম মাওলা মুরাদ, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন ও মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত। প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য শাহনেওয়াজ রিটনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রেস ক্লাবের সদস্য, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

কবি বৃষ্টি মিনা পেলেন কবি সংসদ বাংলাদেশ সেরা কবি সম্মাননা ২০২৫ ।

 

সাহিত্যের অনন্য সাধনা ও কবিতায় নিরন্তর অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ মাগুরা জেলার তরুণ কবি ও প্রেসক্লাব শালিখার সাহিত্য সম্পাদক বৃষ্টি মিনা অর্জন করেছেন কবিসংসদ বাংলাদেশ সেরা কবি সম্মাননা ২০২৫। রাজধানীতে কবি সংসদ বাংলাদেশ আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে সংগঠনটির ২৭ বছর পূর্তি উৎসব উপলক্ষ্যে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু সাহিত্যিক ও সাংবাদিক আখতার হুসেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম তামিজী, কবি ও সাংবাদিক রাজু আলীম, এবং কবি ও সংগঠক তৌহিদুল ইসলাম কনক।তাঁদের উপস্থিতিতেই সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয় কবি বৃষ্টি মিনার হাতে।

সমসাময়িক তারুণ্যের কবি হিসেবে বৃষ্টি মিনা ইতোমধ্যেই পাঠক-সমালোচক মহলে নিজের স্বতন্ত্র কণ্ঠ ও গভীর আবেগপূর্ণ কবিতার জন্য সমাদৃত হয়েছেন। ভালোবাসা, প্রকৃতি ও মানবিকতার মেলবন্ধনে তাঁর কবিতায় উঠে আসে জীবনের নিভৃত বেদনা ও সৌন্দর্যের অনুপম ব্যঞ্জনা।অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা কবি বৃষ্টি মিনার কবিতার মাধুর্য, তার সাহিত্যভ্রমণ এবং তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

তার এ অর্জনে প্রেসক্লাব শালিখার পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রেসক্লাব শালিখার সভাপতি মোঃ বাহারুল ইসলাম, সহসভাপতি জিআরএম তারিক, সহসভাপতি রমেশচন্দ্র সরকার , সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোঃ নওয়াব আলী,সহ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস, সাগঠনিক সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু হুরাইরা, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক দিলারা বেগম সহ প্রেসক্লাব শালিখার সকল সদস্য বৃন্দ ।

চট্টগ্রামে কৃষককে ব্যবসায়ী সাজিয়ে ঋণ নিয়ে টাকা পাচার, দুদকের মামলা।

সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাগুলো করা হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ।

প্রান্তিক চার কৃষককে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে নিজ মালিকানাধীন ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়েছে।এসব মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৬/৪-৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫(২) ও মানিলান্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা গ্রামের সহজ-সরল চার কৃষক ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক মো. ইউনুস, নুরুল বশর, ফরিদুল আলম ও মো. আইয়ূবের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবিসহ ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে তাদের অজ্ঞাতে তাদের নামে ভুয়া ও অস্তিত্ববিহীন একাধিক প্রতিষ্ঠান খোলেন। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ব্যাংক হিসেব খুলে ঋণ অনুমোদন করে সেই টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করেন।

চার মামলার মধ্যে মো. ইউনুসের নামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ভাই ও ইউসিবিএল’র সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আরেক ভাই সাবেক পরিচালক আসিফুজ্জামান চৌধুরী এবং সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ, কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ চৌধুরী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ইমতিয়াজ মাহবুব, বজল আহমদ, এম এ সবুর, ইউনুছ আহমদ, নুরুল ইসলাম ও বিএন্ডবি ইলেকট্রনিক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমান, দিদারুল আলম, মো. সুমন। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাঈনুদ্দিনের করা এ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামি বশির আহমদের প্রতিষ্ঠান বিএন্ডবি ইলেকট্রনিকসের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে কৃষক ইউনুসকে ইউনাইটেড ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাজিয়ে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করেন।

একইভাবে মো. আইয়ুব নামে আরেক কৃষককে মোহাম্মদীয় এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং ইলেকট্রনিক্স ও ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারক সাজিয়ে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৩ জন আগের মামলারও আসামি। আরও দুই আসামি হলেন- সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের স্ত্রী ইউসিবিএল’র সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামান ও বোন সাবেক পরিচালক রোকসানা জামান চৌধুরী। মামলাটি করেছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারি পরিচালক সজীব আহমেদ।

নুরুল বশর নামে আরেক কৃষককে বশর ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের আমদানিকারক সাজিয়ে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা করেছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারি পরিচালক রুবেল আহমেদ। ওই মামলায় সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, স্ত্রী রুকমিলা জামান, ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও আসিফুজ্জামান চৌধুরীসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন- ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ, আব্দুল আউয়াল, আবু বকর খান, জামাল উদ্দিন, জিয়াউল করিম খান, জাহিদ হায়দার, বজল আহমদ, এম এ সবুর, ইউনুছ আহমদ ও নুরুল ইসলাম চৌধুরী এবং আরামিট সিমেন্টের কর্মকর্তা মিছবাহুল আলম ও জাহাঙ্গীর আলম, আলোক ইন্টারন্যাশনালের প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, বশির আহমদের প্রতিষ্ঠান বিএন্ডবি ইলেকট্রনিকসের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমান ও দিদারুল আলম।
এছাড়া ফরিদুল আলম নামে এক কৃষককে ইউনিক এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ইলেকট্রনিক্স, কসমেটিকস ও ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক সাজিয়ে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান। ওই মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী রুকমিলা জামান, ভাই আনিসুজ্জামান রনি, আসফিকুজ্জামানসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রয়াত শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর বড়ো ছেলে। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়। সেখান থেকে বাবু একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাবেদ প্রথমে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী হিসেবে পারিবারিক ব্যাবসা আরামিট গ্রুপ, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেড দেখাশোনা করতেন। ব্যবসায়ী সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবাও একই সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
২০১২ সালে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুর পর সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের রাজনীতিতে অভিষেক হয়। সরাসরি সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন পেয়ে ‘খালি মাঠে গোল দেন’। এরপর ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে প্রথমবার প্রতিমন্ত্রী ও দ্বিতীয় দফায় পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। ২০২৪ সালে আবারও মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে টিআইবি তার ‘ভালো মানুষের’ জারিজুরি ফাঁস করে দেওয়ায় মন্ত্রিসভায় আর জায়গা হয়নি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগেই সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে লন্ডনে তার অবস্থানের তথ্য প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে।

এর আগে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে ১৪০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনে ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় জাবেদের স্ত্রী রুকমিলা জামানসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য আসামি হিসেবে আছেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ