আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামে জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চের প্রীতি সম্মিলন

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ ও জাতীয় কবিত মঞ্চ চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক মিলনায়তনে প্রীতি সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সন্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শিল্পপতি আলহাজ¦ শামশুল আলম। তিনি বলেন, বিগত স্বৈরচার সরকারের সময়ে দেশের সংস্কৃতিক অঙ্গন এবং সংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দলীয়করণ করা হয়েছিল। ছাত্র জনতার আন্দোলনের পর সরকার পরিবর্তন হলে দেশের মানুষ নতুন স্বাধীনতার স্বাধ ভোগ করতে শুরু করে।

 

ছাত্র জনতার আন্দোলনের অর্জন এটা ধরে রাখতে পারলে স্বৈরচার গোষ্ঠী আবার সাধারণ মানুষের উপর নির্যাতন শুরু করবে। এ ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক কর্মীদের সজাগ থাকতে হবে।
জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চের সভাপতি কামরুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন, বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক মো. মাহফুজুল হক, উদ্বোধক ছিলেন জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চ কেন্দ্রীয় সভাপতি কবি ও গীতিকার মাহমুদুল হাসান নিজামী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আজম খাজা, এনুমিয়া আয়শাখাতুন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাহী, ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুস সালাম নিশাদ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কবি এম হাশেম আকাশ। বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সাংস্কৃতিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক গীতিকার নজরুল ইসলাম, কবি সুলতান আহমেদ কমল, বিটিভি ও বেতারের সুরকার ও গীতিকার সংগীতি গুরু দিলীপ ভারতী, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক যুগ্ম পরিচালক ফজল আহমেদ, হিন্দু ধর্ম কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য দিপক কুমার পালিত, এডিশনাল পিপি আবু তাহের চৌধুরী।
সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতার শিল্পী মৌ চৌধুরী, চন্দনা চক্রবর্ত্তী, সুকুমার দে, লালন শিল্পী লুপর্ণা মুৎসুর্দ্দী লোপা, গীতা আচার্য্য, মিলন আচার্য, এস. কে মানিক, জুয়েল দ্বীপ, সুধামা দাশ সুজন, রুপনা দাশ, বেবি মজুমদার নুপুর, আবৃত্তিকার উপস্থাপক সুমন দত্ত, কৌতুক অভিনেতা আয়মান ওসমান, সংগীত শিল্পী এস আই রানা, পাপড়ী বৈরাগী, রঞ্জন মালাকার, ম্যানেজার মতিউর রহমান ফরহাদী, নারী নেত্রী জন্নাতুন নাঈম চৌধুরী রিকু, কবি তানিয়া সুলতানা, সাবেক সমবায় অফিসার শহীদুল ইসলাম, শাহিনা ইসলাম, মৌ মনি চৌধুরী, লাকী দত্ত, সংগীত শিল্পী খোকন মুজমদার রাজিব, সমীর পাল, নারী নেত্রী রোজি চৌধুরী, নাট্যকার সেলিম উদ্দীন,

 

নাট্যকার মোহাম্মদ মহসিন, সংস্কৃতিক কর্মী সুলতান শাহা, দোলন, বিএনপি নেতা শাহজাহান, যুবদল নেতা মোস্তাক তালুকদার নয়ন, মোহাম্মদ নুরুদ্দীন, সংস্কৃতিক কর্মী মানস চৌধুরী, মুরাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ আরিফ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আবৃত্তিকার সোমা মুৎসুর্দ্দী ও আবৃত্তিকার সুমন দত্ত।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চুয়ান্নটি বছর

স্বাধীনতার চুয়ান্নটি বছর চলেছে একই নীতিতে!
সত্যিই এবার পরিবর্তন প্রয়োজন।
স্বপ্ন আর আশা,
এই নিয়ে দেশের মানুষের বেঁচে থাকা।

কেহ দেশের শান্তি ফেরাতে দিয়েছেন প্রাণ,
কেহ আবার সব ভুলে গিয়ে নিজের সুবিধা আর আসন পাওয়া নিয়ে ব্যস্ততা,
আর এক শ্রেণীর মানুষের নেই ঘুম!

সুন্দর স্বপ্নময় দেশ গড়তে,
সর্ব প্রথম আইন,
বিচার ব্যবস্থা আর প্রশাসনের সঠিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এই তিনটি যেন কারো ব্যক্তিগত কারো সম্পত্তি না হয়।

বিগত চুয়ান্ন বছর পর আবারও দেশ ও দেশের মানুষের নতুন অধ্যায়!
যেন বিগত দিন, মাস, বছর পর বছর আর নয়,
সর্বত্র হোক বিরাজমান সত্য ও সততার আগমন।

রঙের দেখা

একেক পাখির একেক রং,
ফুলের সুগন্ধে মন ছুঁয়ে রয়!
নীল আকাশে সাদা মেঘের ক্ষণে ক্ষণে মেলা হয়।

হরেক রঙের মানুষের দেখা,
ভিন্ন ভিন্ন দেশে। ভাষাও আবার ভিন্ন হয়,
আবহাওয়াও ভিন্ন রুপে।

একই দেশের মানুষ মোরা ভিন্ন ভিন্ন ভবের।
আচার- আচরণও হয় ভিন্ন!

চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে জীবনে সকলেই চিন্তিত! হয়তো প্রকাশ ভঙ্গি ভিন্ন।

সকাল সন্ধ্যা! কতো স্মৃতি আর অনুভূতি আসে বারে বারে এ মনে!
মনের অজান্তেই কথা হয়,
চুপিচুপি একাকী নিরজনে!

ফুলদানিতে কতো ফুল রাখি,
আস্তে আস্তে শুকিয়ে,
নয় তো ঝড়ে যায়!
চেনা চেনা কতো মানুষও আবার,
দুঃসময়ে দূরে সরে চলে যায়!

দুনিয়ায় আসা হয় একা,
একা চলে যেতে হয়!
এর বিকল্পও নেই,
তবুও মানুষের সাথে মানুষের অবিচার অবক্ষয়!

দুনিয়ায় কতো কিছু,
কতো রঙে ভরা,
শুধু রক্তের একটিই রঙ!
মানুষ, দেশ, জাতি যেমনই হোক, সকলের রক্তের রঙ লাল।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ