আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর, ২০২৫

ঘুষ নিতে গিয়ে ধরা খেলেন ঠাকুরগাঁও আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা

রেজাউল ইসলাম মাসুদ, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি:

 

ঠাকুরগাঁও পাসপোর্ট অফিসের এসিস্ট্যান্ট একাউন্টেন্ট ফারুক আহমেদকে ঘুষ লেনদেনের সময় আটক করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বাজারপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, পাসপোর্ট সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে এক গ্রাহকের কাছ থেকে ৫০,০০০ টাকা দাবি করেন ফারুক। প্রথম কিস্তির ২০,০০০ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় দুদকের একটি বিশেষ দল তাকে আটক করে।

ভুক্তভোগী মেহজাবিন সরকার পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন, ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি দুদককে জানালে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

দুদক জানায়, ফারুক আহমেদ বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের মামলা করা হয়েছে। এছাড়া, তার ঘুষগ্রহণের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁও দুর্নীতি দমন কমিশনার উপ-পরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক বলেন, এটা আমাদের নতুন কমিশনের প্রথম অভিযান। একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগে আমাদের একটি গোপন দল সেই এলাকায় অবস্থান নেয়। একজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে তাকে পাসপোর্ট সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা জানান । পরবর্তীতে দুপুরে টাকা নিতে এলে তাকে আমরা হাতেনাতে আটক করি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে কৃষককে ব্যবসায়ী সাজিয়ে ঋণ নিয়ে টাকা পাচার, দুদকের মামলা।

সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আরও চারটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। মঙ্গলবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাগুলো করা হয়েছে বলে জানান সংস্থাটির চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ।

প্রান্তিক চার কৃষককে ব্যবসায়ী পরিচয় দিয়ে নিজ মালিকানাধীন ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ ও বিদেশে পাচারের অভিযোগে মামলাগুলো করা হয়েছে।এসব মামলায় দণ্ডবিধির ৪০৬/৪-৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ১৯৪৭ এর ৫(২) ও মানিলান্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ও (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামিরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র। তারা গ্রামের সহজ-সরল চার কৃষক ও চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক মো. ইউনুস, নুরুল বশর, ফরিদুল আলম ও মো. আইয়ূবের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবিসহ ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করে তাদের অজ্ঞাতে তাদের নামে ভুয়া ও অস্তিত্ববিহীন একাধিক প্রতিষ্ঠান খোলেন। এরপর ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর নামে ব্যাংক হিসেব খুলে ঋণ অনুমোদন করে সেই টাকা আত্মসাৎ করে পাচার করেন।

চার মামলার মধ্যে মো. ইউনুসের নামে ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করার মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরা হলেন- সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের ভাই ও ইউসিবিএল’র সাবেক চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান চৌধুরী, আরেক ভাই সাবেক পরিচালক আসিফুজ্জামান চৌধুরী এবং সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ, কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ চৌধুরী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ইমতিয়াজ মাহবুব, বজল আহমদ, এম এ সবুর, ইউনুছ আহমদ, নুরুল ইসলাম ও বিএন্ডবি ইলেকট্রনিক্স নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমান, দিদারুল আলম, মো. সুমন। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাঈনুদ্দিনের করা এ মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, আসামি বশির আহমদের প্রতিষ্ঠান বিএন্ডবি ইলেকট্রনিকসের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমানের মাধ্যমে কৃষক ইউনুসকে ইউনাইটেড ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক সাজিয়ে আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে ৯ কোটি ৯৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যাংক থেকে আত্মসাৎ করেন।

একইভাবে মো. আইয়ুব নামে আরেক কৃষককে মোহাম্মদীয় এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক এবং ইলেকট্রনিক্স ও ভোগ্যপণ্যের আমদানিকারক সাজিয়ে ৫ কোটি ২০ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন ও আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৩ জন আগের মামলারও আসামি। আরও দুই আসামি হলেন- সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের স্ত্রী ইউসিবিএল’র সাবেক চেয়ারম্যান রুকমিলা জামান ও বোন সাবেক পরিচালক রোকসানা জামান চৌধুরী। মামলাটি করেছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারি পরিচালক সজীব আহমেদ।

নুরুল বশর নামে আরেক কৃষককে বশর ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্যের আমদানিকারক সাজিয়ে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ঋণ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে মামলা করেছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারি পরিচালক রুবেল আহমেদ। ওই মামলায় সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, স্ত্রী রুকমিলা জামান, ভাই আনিসুজ্জামান চৌধুরী ও আসিফুজ্জামান চৌধুরীসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিরা হলেন- ব্যাংকের সাবেক পরিচালক বশির আহমেদ, আব্দুল আউয়াল, আবু বকর খান, জামাল উদ্দিন, জিয়াউল করিম খান, জাহিদ হায়দার, বজল আহমদ, এম এ সবুর, ইউনুছ আহমদ ও নুরুল ইসলাম চৌধুরী এবং আরামিট সিমেন্টের কর্মকর্তা মিছবাহুল আলম ও জাহাঙ্গীর আলম, আলোক ইন্টারন্যাশনালের প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, বশির আহমদের প্রতিষ্ঠান বিএন্ডবি ইলেকট্রনিকসের কর্মচারী মোস্তাফিজুর রহমান ও দিদারুল আলম।
এছাড়া ফরিদুল আলম নামে এক কৃষককে ইউনিক এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ইলেকট্রনিক্স, কসমেটিকস ও ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক সাজিয়ে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মশিউর রহমান। ওই মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী রুকমিলা জামান, ভাই আনিসুজ্জামান রনি, আসফিকুজ্জামানসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ প্রয়াত শিল্পপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর বড়ো ছেলে। তাদের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায়। সেখান থেকে বাবু একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাবেদ প্রথমে সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। পুরোদস্তুর ব্যবসায়ী হিসেবে পারিবারিক ব্যাবসা আরামিট গ্রুপ, ইউনাইটেড কমার্সিয়াল ব্যাংক লিমিটেড দেখাশোনা করতেন। ব্যবসায়ী সংগঠন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন। তার বাবাও একই সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
২০১২ সালে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুর পর সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের রাজনীতিতে অভিষেক হয়। সরাসরি সংসদ সদস্য পদে মনোনয়ন পেয়ে ‘খালি মাঠে গোল দেন’। এরপর ২০১৪ সালে ও ২০১৮ সালে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। এর মধ্যে প্রথমবার প্রতিমন্ত্রী ও দ্বিতীয় দফায় পূর্ণমন্ত্রী ছিলেন। ২০২৪ সালে আবারও মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে টিআইবি তার ‘ভালো মানুষের’ জারিজুরি ফাঁস করে দেওয়ায় মন্ত্রিসভায় আর জায়গা হয়নি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগেই সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে লন্ডনে তার অবস্থানের তথ্য প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে।

এর আগে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের বিরুদ্ধে ১৪০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনে ছয়টি মামলা করে দুদক। এসব মামলায় জাবেদের স্ত্রী রুকমিলা জামানসহ পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্য আসামি হিসেবে আছেন।

জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাত : তিনজনকে কারাদণ্ড

চট্টগ্রামে বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের সাবেক এক কর্মকর্তাসহ তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা একটি মামলার বিচার শেষে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এই রায় দেন। জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের প্রায় পৌনে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় এ রায় দেয়া হয়।

দণ্ডিতরা হলেন- ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক প্রায়োরিটি ব্যাংকিং ম্যানেজার মো. ইফতেখারুল কবির, নগরীর খুলশী এলাকার লাবীবা ট্রেডিং নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক জাকির হোসেন বাপ্পী এবং আজম চৌধুরী নামে আরেক ব্যক্তি।
দুদক-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোকাররম হোসাইন জানান, রায়ে ইফতেখারুল কবির ও তার জালিয়াতির সহযোগী আজম চৌধুরী-কে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। জাকির হোসেন বাপ্পীকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেককে আত্মসাতের সমপরিমাণ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের আদেশের পর দণ্ডিত তিনজনকে সাজামূলে কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত দণ্ডিত জাকির হোসেন বাপ্পীর স্ত্রী ফারজানা হোসেন ফেন্সীকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

এর আগে গত ২০১৯ সালের ১৪ অক্টোবর দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৭৩ হাজার ১০৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করেন। দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, প্রধান আসামি ইফতেখারুল কবির একাধিক গ্রাহককে এফডিআর-এর নথি বুঝিয়ে না দিয়ে হিসাব নম্বরে টাকা জমা করেন। পরবর্তীতে অপর আসামিদের সঙ্গে যোগসাজশ করে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের চেক ব্যবহার করে সেই টাকা উত্তোলন করেন। এরপর কয়েক দফায় জাকির হোসেন বাপ্পী ও ফারজানার মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব নম্বরে সেই টাকা স্থানান্তর করে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

পরবর্তীতে কয়েকজন গ্রাহক তাদের এফডিআর-এর টাকা উত্তোলন করতে গেলে আত্মসাতের বিষয়টি ফাঁস হয়। এ ঘটনায় ইস্টার্ন ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ আজিম উল্লাহ নগরীর চান্দগাঁও থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডিমূলে দুদক অনুসন্ধান করে গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত চারজনকে শনাক্ত করে মামলা করে বলে জানা গেছে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ