আজঃ বৃহস্পতিবার ১৩ মার্চ, ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনায় তদন্ত শুরু অপরাধ ট্রাইবুন্যালের

নিজস্ব প্রতিবেদক

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রাম নগরীতে সংগঠিত সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে। বুধবার রাতে নগরীর দামপাড়ায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ট্রাইবুন্যালের দুই প্রসিকিউটর ও দুই তদন্ত কর্মকর্তা আন্দোলন অংশ নেওয়া ও আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের

প্রসিকিউটর সাইমুল রেজা তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, শহরে যারা আন্দোলন করেছেন তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি। বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছি, কী ধরনের অপরাধ সংগঠিত হয়েছে। সেগুলোর মাধ্যমে সঠিক চিত্র বোঝার চেষ্টা করছি যাতে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালিত হয়।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমে আমরা প্রায় ৩০ জনের সঙ্গে কথা বলেছি, যার মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিও ছিল।
আন্দোলনে কারা গুলি ছুঁড়েছিল সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রেজা বলেন, এখানে স্থান ভেদে ভিন্নতা আছে। আন্দোলনকারীরা বলেছেন কোথাও কোথাও পুলিশ তাদের ওপর গুলি ছুঁড়েছে আবার কোথাও কোথাও রাজনৈতিক দলের কর্মীরা গুলি ছুঁড়েছে।

গত জুলাই-আগস্টে সরকার পতন আন্দোলনে প্রাণহানির ঘটনাকে গণহত্যা বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তবর্তী সরকার। যে আদালতটি ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে স্থাপন করা হয় মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য।

তিনি আরও বলেন, গণআন্দোলনে সরকার পতনের পর ট্রাইব্যুনালে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। বিচারক পালটানো হয়েছে, তদন্ত সংস্থাতেও এসেছে নতুন মুখ। সংশোধন করা হয়েছে আইনও।
প্রসিকিউটর রেজা বলেন, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার বিরুদ্ধে যে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে সেটার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে রায়ের দিকে ধাবিত হওয়া আমাদের লক্ষ্য। সেটার জন্য প্রয়োজন সাক্ষ্য প্রমাণাদি এবং আইনের আলোকে সঠিক তথ্য

সংগ্রহ করে পরবর্তীতে সেটির শুনানির জন্য প্রস্তুত করা। তারই অংশ হিসেবে আমরা দেশের বিভিন্ন স্থানে যেখানে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংগঠিত হয়েছে সেখানে যাচ্ছি।৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর মামলা বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবতা বিরোধী অপরাধ এটা ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস’। এটার একটা বিশেষ সংজ্ঞা আছে। হত্যাকাণ্ড বা গুরুতর জখম বা নৃশংস আচরণ যখন সারা দেশব্যাপী সিস্টেমেটিক প্যাটার্নে হবে তখন সেটা আন্তর্জাতিক অপরাধের আলোকে মানবতা বিরোধী অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত হবে।

সারা দেশে জুলাই গণঅভূত্থ্যানের সময় যে অপরাধ হয়েছে সেগুলো বেশকিছু মামলা পুলিশ স্টেশন এবং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হয়েছে। সেগুলো আমাদের এখতেয়ারভুক্ত নয়। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান।

প্রসিকিউটর রেজা আারো বলেন, গুম, খুনসহ কিছু সুনির্দিষ্ট বিষয়ে সারা দেশব্যাপী তথ্য নিয়ে আমরা প্রমাণ করব যে সুপরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি ছিল। মানে এখানে কারো দিক থেকে একটা সুপ্রিম কমান্ড এসেছে এবং বাকীরা সিস্টেমেটিকলি এটা পালন করেছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন,গ্রেফতার-১

চট্টগ্রাম মহানগরে পরকীয়া সন্দেহের জেরে এক বন্ধুর হাতে আরেক বন্ধু খুনের ঘটনা ঘটেছে। ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর এলাকায় এ ঘটনায় জড়িত মো. সিজান (২৫) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক মো. সিজান (২৫) ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার রানী ভবনের গলির টেন্ডলের বাড়ির মৃত আলমগীরের ছেলে। তিনি হোটেলে কারিগর হিসেবে কাজ করলেও সম্প্রতি বেকার ছিলেন। এছাড়া উদ্ধার করা হয়েছে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি ছুরি। তবে খুনের পরিকল্পনাকারী সাইমন নামে একজন এখনো পলাতক আছে। মঙ্গলবার রাতে নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর এলাকার সিডিএ বালুর মাঠে এ খুুনের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ভিকটিম এবং আসামিরা একে অপরের বন্ধু। তাদের কারোরই নির্দিষ্ট কোনো পেশা ছিল না। নিহতের নাম মোহাম্মদ আইয়ুব নবী প্রকাশ সাগর (২৬)। তিনি একই থানাধীন আকমল আলী সড়কে ভাড়া বাসায় স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি গ্রামে।

পুলিশ জানায়, সাইমনের স্ত্রীর সাথে সাগরের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আছে—দীর্ঘদিন ধরে এমন সন্দেহ করতেন তিনি। এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সাগরকে খুনের পরিকল্পনা করে সম্প্রতি। পরিকল্পনা মোতাবেক সাগরকে সিডিএ বালুর মাঠ এলাকায় নিয়ে ছুরিকাঘাত করেন আটক সিজানসহ কয়েকজন। পরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

নগর পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান বলেন, এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ ক্লুলেস ছিল। স্থানীয়দের খবর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ভিকটিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সোর্স কাজে লাগিয়ে আমরা ভিকটিমের স্ত্রীর কাছে যাই এবং তার পরিচয় নিশ্চিত হই। ঘটনার তিন ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সিজানকে আটক করি। ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চারটি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমরা ছুরিটি জব্দ করেছি’

তিনি বলেন, সিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি সাইমনের স্ত্রীর সঙ্গে ভিকটিম সাগরের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে—এমন সন্দেহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ভিকটিমের স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে তিনি দাবি করেছেন, তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত নন। তবুও এটি আমরা তদন্ত করে দেখবো।

এক প্রশ্নের জবাবে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ভিকটিম এবং আসামি—কারোই নির্দিষ্ট পেশা ছিল না। এরা নেশার সাথেও জড়িত এবং এলাকায় আড্ডা দিতো ঘুরে ঘুরে। তবে তাদের সবার স্ত্রী পোশাক কারখানায় কাজ করে। সেই রোজগারেই তাদের সংসার চলতো।

যাকাত প্রদান প্রক্রিয়া সহজতর করতে হবে: চট্টগ্রামে সেমিনার

চট্টগ্রামে জেলা প্রশাসন চট্টগ্রাম এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা নিয়ে বিভাগীয় সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। এতে জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. জিয়াউদ্দিন।বুধবার সকাল ১১ টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে যাকাতের তাত্ত্বিক পর্যালোচনা ও গুরুত্ব বিষয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়। পরে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ইসলামিক ব্যক্তিদের সাথে উন্মুক্ত আলোচনা করা হয়।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আমরা যেহেতু সবাই দায়িত্বশীল এবং নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হব, তাই সকলকেই নিজ অধিক্ষেত্রে যাকাতের গুরুত্ব সম্পর্কে প্রচারণা চালাতে হবে, যাকাত প্রদান প্রক্রিয়া সহজতর করতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, যাকাত প্রদান করলে সম্পদ কমে না বরং বাড়তে থাকে, তাই যাকাত প্রদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সকলকেই অবগত ও সচেতন করতে হবে। এ সময় বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক ইসলামিক ফাউন্ডেশন যাকাত ফান্ডে অর্থ প্রদান করেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সমন্বয় বিভাগের পরিচালক মো. মহিউদ্দিন, কেন্দ্রীয় যাকাত বোর্ডের সদস্য শায়খ মুফতি জসীম উদ্দিনসহ প্রমুখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ