আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

লালমনিরহাটে তামাক নামক বিষপাতা চাষ বেড়েছে দ্বীগুন

সাহিদ বাদশা বাবু , লালমনিরহাট ::

তামাক নামক বিষপাতা চাষের জেলা হিসেবে শীর্ষস্থানে রয়েছে লালমনিরহাট জেলা। গতবছরের তুলনায় এ বছর এই বিষপাতার চাষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ সেই সাথে কমছে জমির উর্বরতা এবং বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।

জানা গেছে, তামাকজাত কোম্পানির প্রলোভনে ও অধিক মুনাফার আশায় তামাক চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন এঅঞ্চলের কৃষকেরা। তামাক উৎপাদনের আগেই কোম্পানিগুলোর বিক্রির নিশ্চয়তা, দর নির্ধারণে চাষীদের অতি লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে তামাক চাষ, আর কাজে আসছে না কৃষি অধিদপ্তরের পরামর্শ।

সরেজমিনে দেখা যায়,কয়েক বছর আগেও লালমনিরহাটের যেসব এলাকায় আবাদি জমিতে ধান, গম, ভুট্টা, সরিষা ও আলুসহ বিভিন্ন আগাম জাতের সবজী চাষ করা হতো, সে সব জমিতে এখন তামাক চাষ হচ্ছে। লালমনিরহাট জেলার ৫ উপজেলাসহ তিস্তা নদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের জমিগুলোতে দিন দিন তামাক চাষ বেড়েই চলেছে । এসব তামাকের জমিতে বড়দের পাশাপাশি শিশুদের দিয়ে চলছে পরিচর্যার কাজ।

আদিতমারী উপজেলার সাপটিবাড়ি ইউনিয়নের কৃষকরা জানান, লালমনিরহাটের পাঁচটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে আদিতমারী উপজেলা তামাকের চাষ বেশি হয়। আর এর কারণ, অন্যান্য ফসল চাষকরে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় এবং শ্রমিকের অধিক মূল্য হওয়ায় তারা প্রতি বছর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে অধিক মুনাফার আশায় স্বাস্থ্য ঝুঁকি জেনেও তারা তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে। তারা আরো বলেন, সিগারেট কোম্পানির মাধ্যমে তামাক চাষীদের জন্য একর প্রতি জমিতে বিজ ও নগদ টাকা । সেই সঙ্গে ইসুবি সারের জন্য টাকা, সার আগাম দেওয়া হয়।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় বলেন, তামাক চাষ ও সেবনে মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তামাক পাতার বিড়ি, সিগারেট, গুল, খইনি ও জর্দাসহ নানান ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করায় বাড়ছে শ্বাসকষ্ট,স্টক, চর্ম , যৌন, ক্যানসারসহ নানা রোগ। তামাক চাষের কারণে কৃষকদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন শিশুসহ, সাধারণ মানুষ।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ সাইফুল আরিফিন বলেন,এবছর লালমনিরহাট জেলার ৫ টি উপজেলা মোট ১৫ হাজার ৫৭ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ কারা হয়েছে। যা গতবছরের তুলনায় ৯ হাজার ৮ শত ৬৫ হেক্টরের বেশি জমিতে তামাক চাষ হয়েছে । তিনি বলেন, কৃষি জমি এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য তামাক চাষ মারাত্মক ক্ষতিকর।

আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সভা সেমিনার ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে কৃষকদের তামাক চাষের প্রতি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। তবে তামাকজাত পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কৃষকদের বিনামূল্যে তামাকের বীজ, সারসহ, বিনা সুদে ঋণ দেওয়া ও অধিক লাভজনক হওয়ায় কোন পরামর্শই কাজে আসছে না । যে কারণে তামাক চাষে আগ্রহী বেশি হচ্ছে এ অঞ্চলের কৃষকরা

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের ডিডিকে বরিশালে বদলি

রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক (ডিডি) রোজী খন্দকারকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দালালদের মাধ্যমে জমা দেওয়া ফাইলের কাজ আগে করা ও সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে এ অভিযোগের তদন্ত চলছে।

তদন্ত চলাকালে সম্প্রতি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে বরিশালে বদলি করা হয়েছে। আর বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের ডিডি আবু নোমান মো. জাকের হোসেনকে রাজশাহীতে পদায়ন করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর সকালে ভুক্তভোগীরা পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম দূর করার দাবিতে মানববন্ধন করেন। এতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পরে তাঁরা ডিডি রোজী খন্দকারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজশাহীর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দেন।

পরে এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সম্প্রতি তদন্ত কমিটির সদস্যরা রাজশাহী সার্কিট হাউসে বসে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শোনেন। এরপরই ডিডিকে বদলি করা হয়।

এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (রোজী খন্দকার) আর সেখানে নেই। তালে বদলি করা হয়েছে। তিনি এখন বরিশালে অফিস করেন।’এদিকে ডিডি রোজী খন্দকারকে বদলি করায় খুশি রাজশাহীর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন,

‘পাসপোর্ট অফিসের ব্যাপক অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। উল্টো ডিডি আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন। আমরা তাঁকে বদলির দাবি করেছিলাম। তাঁকে বদলি করায় আমরা খুশি। বর্তমানে পাসপোর্ট অফিসে হয়রানি ছাড়াই কাজ হচ্ছে বলে আমরা জেনেছি।

রাবির সাবেক ভিসি আ: সোবাহানের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য ড. এম আবদুস সোবহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ড. এম আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার কার্যকালীন সময়ে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৩৮ জন শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।

অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার নামে অবৈধ আয়ে নিজ এলাকায় কৃষি জমি, ফ্ল্যাট, প্লট ক্রয় এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ আদেশ হওয়া আবশ্যক। তাই মহামান্য আদালত এই আদেশ দেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ