আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা প্রয়োজন

প্রেস রিলিজ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ এর নেতৃত্বে বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ কনফারেন্স হলে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দূতাবাসের ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাটাশে জাইন আজিজ, ট্রেড এন্ড ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি অব পাকিস্তান’র সহকারি

পরিচালক সারাং গুল, পাকিস্তানের রিশাদ মতিন গ্রুপের পরিচালক সাজিয়া মতিন, সল্ট হাউস পাকিস্তান’র মোহাম্মদ শফিক, সাংগো এন্টারপ্রাইজ’র বাবর আমিন মালিক, আদিল ট্রেডার্স’র মোহাম্মদ আদিল, রোশান গ্রুপের খালিদ ইজাজ কোরেশি, বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার এসোসিয়েশন’র মুহাম্মদ ফরহাদ উদ্দিন, অনুরা এন্টারপ্রাইজ’র মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মায়া এক্সপোর্টার এন্ড ইমপোর্টার’র মোঃ মশিউর রহমান সৈকত, রয়েল বিচ রিসোর্ট’র মোহাম্মদ জয়নাল

আবেদিন ও জামি এন্টারপ্রাইজ’র মোঃ সাইফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার এসোসিয়েশন’র সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পাকিস্তান হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেন-পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অংশহিসেবে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা প্রয়োজন। এজন্য বিজনেস টু বিজনেস সম্পর্কোন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। উভয়দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য থাকলেও বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে হবে। শুধুমাত্র পাকিস্তান থেকে রপ্তানি বাড়ানোর কথা চিন্তা না করে বাংলাদেশ থেকেও কিভাবে রপ্তানি বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যেও কাজ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন-গত কয়েক মাস ধরে পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কে ব্যাপক পরিবর্তন

লক্ষ্যণীয়। এরই অংশহিসেবে দু’দেশের মধ্যে সরাসরি নৌ-যোগাযোগ শুরু হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে ঢাকা-ইসলামাবাদ সরাসরি ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ গ্রহণ এবং ব্যবসার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচনের জন্য চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান।
চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন-বাংলাাদেশের সাথে পাকিস্তানের ধর্মীয়, ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগতভাবে মিল রয়েছে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক থাকলেও বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পণ্য পাকিস্তানে রপ্তানি হয় না। যেখানে পাকিস্তান বাংলাদেশের ১৯তম আমদানিকারক দেশ এবং পাকিস্তান থেকে

প্রতিবছর প্রায় ৭০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়। তাই উভয়দেশই বাণিজ্য বাধা বিশেষ করে ননট্যারিফ বাধা দূর করে সাফটা এবং ডি-৮ পিটিএ কার্যকর করার মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি দূর করার আহবান জানান তিনি। চেম্বার প্রশাসক বলেন-বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান কৃষি নির্ভর দেশ। তাই উভয়দেশের এই সেক্টরে উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগত এবং নলেজ শেয়ারের উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের এই সফরের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষি ক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত বিনিময় ও যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান।
দূতাবাসের ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট অ্যাটাশে জাইন আজিজ বলেন-আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেকোন সমস্যা সমাধানে প্রস্তুত পাকিস্তানি দূতাবাস। এজন্য আমদানির ক্ষেত্রে কোন সমস্যা উদ্ভূত হলে বাংলাদেশের দূতাবাসের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহবান জানান তিনি।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন-বাংলাদেশে রয়েছে পাকিস্তানি খেজুর ও মাল্টাসহ পাকিস্তানি ফলের চাহিদা। তাই এসব ফল গুণগতমান বজায় রেখে রপ্তানির আহবান জানান ব্যবসায়ীরা। একই সাথে পাকিস্তানের সাথে ধর্মীয় মিল থাকায় বাংলাদেশের পর্যটন স্পটগুলোতে পাকিস্তানিদের আমন্ত্রণ জানান তারা।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ইরান ওমান উপসাগরে একটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করেছে । তেলবাহী জাহাজটিতে বাংলাদেশ, ভারত ও শ্রীলঙ্কার ১৮ নাবিক রয়েছে। ইরানি গণমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স জানায়- ছয় মিলিয়ন লিটার চোরাচালানকৃত ডিজেল বহনকারী একটি তেলবাহী জাহাজ ওমান উপকূলে আটক করা হয়েছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানা পরিদর্শন করেন নবাগত পুলিশ সুপার মো:আবু তারেক

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লক্ষ্মীপুর জেলার সদ্য যোগদান করা পুলিশ সুপার জেলার বিভিন্ন থানা পরিদর্শন ও থানায় কর্মরত অফিসারদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন।
তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানা আকস্মিক পরিদর্শন করেন লক্ষ্মীপুর জেলার নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ আবু তারেক। এসময় চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ও কর্মরত সবাই ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

থানা পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার ফোর্সদের থাকার ব্যারাক ও বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং সকল পুলিশ সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় করেন। এছাড়াও সকল পুলিশ সদস্যদের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।

উল্লেখ্য চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম চলতি মাসের ৬ তারিখে এ থানায় যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ