আজঃ মঙ্গলবার ২২ এপ্রিল, ২০২৫

সিইপিজেডে ‘ইচ্ছাকৃত গুজব’ ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা-সিএমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

চট্টগ্রাম রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ (সিইপিজেড) এলাকায় ‘ইচ্ছাকৃত গুজব’ ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে তথ্য দিয়েছে সিএমপি। শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (জনসংযোগ) রইছ উদ্দিন।

এর আগে গত ২২ জানুয়ারি রাতে সিইপিজেডে কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। নির্মাণাধীন একটি ভবনে কয়েকজন শ্রমিককে আটকে রাখার ‘গুজবে’ অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল বলে পুলিশ জানায়।

এর প্রেক্ষিতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপকমিশনার রইছ উদ্দিন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কুচক্রী মহল তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইচ্ছাকৃত গুজব ছড়িয়ে বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকদের ক্ষেপিয়ে তুলে ইপিজেডে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। এর সঙ্গে বহিরাগতরাও যুক্ত হচ্ছে।
সিইপিজেডের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি জানান, গত বুধবার রাতে সিইপিজেডের দুই নম্বর সড়কের একটি নির্মাণাধীন ভবনে ভাঙ্গা লোহা খুঁজতে যায় তিন শিশু। এসময় তাদের বেঁধে রেখে জবাই করে খুনের গুজব ছড়িয়ে পড়ে কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকরা নির্মাণাধীন ভবনটির পাশাপাশি বেপজা কার্যালয় ভাংচুর করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে রাত ১২টা পর্যন্ত বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ওই তিন শিশুকে বিক্ষোভকারীদের সামনে হাজির করলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। হামলায় বেপজার তিন কর্মকর্তা আহত হন।তবে পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে সিইপিজেডের ভেতরে কিছু শ্রমিক আবারও একই বিষয় নিয়ে বিক্ষোভ করে। সম্মেলনে আনুমানিক ১০ থেকে ১৪ বছর ওই তিন শিশুকেও হাজির করে সিএমপি।
গুজবের বিষয়ে সচেতন থাকার অনুরোধ করে রইছ উদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে গুজব ছড়িয়ে এ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। তিন শিশুকে নির্মাণাধীন

ভবনে আটকে রেখে জবাই করার গুজব ছড়ানো হয়। কারখানার ওপর যাদের জীবিকা নির্ভর করে সে শ্রমিকরা এসব করতে পারে না। দেশ ও রাষ্ট্রবিরোধী মহল সুপরিকল্পিতভাবে এসব গুজব ছড়াচ্ছে। দেশের পোশাকখাত অস্থিতিশীল হলে এখানে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্থ হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

জামালখান এলাকায় পাহাড় কেটে নির্মিতব্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে চউকের অভিযান।

পরিবেশ রক্ষায় ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ঘোষণা’
প্রেস নিউজ –চট্টগ্রাম মহানগরীর জামালখান এলাকায় পাহাড় কেটে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)। আজ সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এই অভিযানে নেতৃত্ব প্রদান করেন চউকের স্বয়ং চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল করিম। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন চউকের আইন উপদেষ্টা

এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম, চউকের সচিব, প্রকৌশলীবৃন্দ এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা । চউকের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল করিম বলেন, “নগর পরিকল্পনার বাইরে গড়ে ওঠা যেকোনো অবৈধ স্থাপনা, বিশেষ করে পাহাড় কেটে নির্মিত ভবন—শহরের পরিবেশ ও নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। বর্ষায় এসব এলাকায় ভূমিধ্বস ও প্রাণহানির ঝুঁকি থাকে। তাই এসব স্থাপনার বিরুদ্ধে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছি ।’ এ অভিযানে সংহতি প্রকাশ করে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস

ফাউন্ডেশন- বিএইচআরএফ যথাক্রমে মহানগর সেক্রেটারি এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট কে এম শান্তনু চৌধুরী, হৃদয় বড়ুয়া, মোঃ আবদুল আলীন নজরুল হোসেন প্রমুখ । সংগঠনের মহাসচিব এডভোকেট জিয়া হাবীব আহ্সান বলেন, “পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন হতে হবে । সি আর বি আন্দোলনের মতো মিডিয়া কর্মী ও নাগরিকদের যুগপৎ ভূমিকা পালন করতে হবে । সাধারণ জনগণকে অনুরোধ করছি দৃশ্যমান পাহাড় কেটে বা অনুমোদনবিহীন স্থাপনায় কোনো ফ্ল্যাট বা জমি যেন ক্রয় না করেন। এতে তারা শুধু নিজেদের ঝুঁকিতে

ফেলছেন না, বরং আইনগত জটিল পরিস্থিতি ও ক্ষতির মুখোমুখি হতে পারেন ।’ তিনি আরও বলেন, “পাহাড় কাটা একটি ফৌজদারি অপরাধ। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫-এর ধারা ৬(খ) অনুযায়ী, পাহাড় কাটাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং এর জন্য জরিমানা ও কারাদণ্ড উভয় দণ্ডই প্রযোজ্য হতে পারে। তাছাড়া, বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ধারা ২৬৮ অনুযায়ী, জনসাধারণের জন্য ক্ষতিকর পরিবেশ সৃষ্টিকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়।” চউকের চেয়ারম্যান

প্রকৌশলী মোঃ নুরুল করিম বলেন, “উচ্ছেদ অভিযান
চলমান থাকবে। যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অনুমোদন ছাড়া নির্মাণকাজ পরিচালনা করছে কিংবা দৃশ্যমান পাহাড় কেটে অবৈধ স্থাপনা গড়ছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । ভবিষ্যতে এসব এলাকায় ডিজিটাল মনিটরিং ব্যবস্থা স্থাপন করে অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধ করা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনগণকেও পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি । এখানে উল্লেখ্য যে, চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান এলাকায় চলমান স্বপ্নীল ফ্যামিলি নামক প্রকল্পে পাহাড় কাটায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তাতে বাধা প্রদান করায় তারা হাইকোর্টে রীট পিটিশন নং- ৪৬৫২/২০২৪ দায়ের করে এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রাপ্ত হয়। গত ২০.০৪.২০২৫ ইং তারিখ আপীল বিভাগের চেম্বার আদালতে এই আদেশের বিরূদ্ধে শুনানি হয়। মাননীয় বিচারপতি জনাব মো: রেজাউল হক

শুনানী অন্তে বিগত ৩০.০৪.২০২৪ ইং তারিখ রীট পিটিশন নং- ৪৬৫২/২০২৪ এ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিরূদ্ধে প্রদত্ত নিষেধাজ্ঞা ৮ (আট) সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন ৷ এই মামলায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মুরাদ সরোয়ার ভূইয়া। তাকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান ।.

বোয়ালখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হনুমান উদ্ধার,চকরিয়া সাফারি পার্কে অবমুক্ত

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌর সদরের গোমদণ্ডী ফুলতল মোড়ে লোকালয়ে ঢুকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে একটি মুখপোড়া হনুমান। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হনুমানটি আহত অবস্থায় সড়কে পড়ে গেলে স্থানীয় দুই যুবক মো. মুন্না ও ফয়সাল তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বোয়ালখালী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে।

মুন্না জানান, হনুমানটি সকাল থেকে ভবনের ছাদ ও গাছে লাফালাফি করছিল। দুপুরের দিকে একটি গাছ থেকে ছাদে লাফ দিতে গিয়ে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যায়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-সহকারী কর্মকর্তা এসএম সাইদুল আলম সাঈদ বলেন, “হনুমানটির আংশিক লোম পুড়েছে, তবে গুরুতর জখম হয়নি। তাকে স্যালাইন দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং এখন অনেকটাই সুস্থ।

পরে বন বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বনবিভাগের চট্টগ্রাম সদর রেঞ্জার মুহাম্মদ ইসমাইল হোসাইন জানান, “এটি একটি মুখপোড়া হনুমান, যা প্রায় বিলুপ্তির পথে। প্রাণিটিকে চকরিয়া সাফারি পার্কে পাঠানো হবে, যেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকবে।”তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের উদ্ধার ও চিকিৎসা উদ্যোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মুন্না ও ফয়সালকে ধন্যবাদ জানাই তাদের মানবিকতার জন্য।”

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ