আজঃ শনিবার ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে ধরতে সিএমপি’র পুরস্কার ঘোষণা

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে ধরতে অবশেষে পুলিশ পুরস্কার ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজের পক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী মো. সাজ্জাদ হোসেনকে আইনের আওতায় আনার জন্য তার অবস্থান সংক্রান্তে সঠিক তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা

করবে তাকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে উপযুক্ত অর্থ পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে। সংবাদদাতার সহায়তাকারীর পরিচয় অবশ্যই গোপন রাখা হবে।
চট্টগ্রামের হাটহাজারী, বায়েজিদ বোস্তামি, চান্দগাঁও এবং পাঁচলাইশ এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ওরফে ‘বুড়ির নাতি’। হত্যা, অস্ত্র,

চাঁদাবাজিসহ ১০টিরও বেশি মামলার আসামি তিন। বায়েজিদ বোস্তামী থানা-সংলগ্ন হাটহাজারীর শিকারপুরের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ। আলোচিত এইট মার্ডার মামলার মৃত্যুণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত-শিবির ‘ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ আলী খানের সহযোগী হিসেবে এই ‘ছোট সাজ্জাদ’ অপরাধজগতে পা রাখেন। বিদেশে বসেই সাজ্জাদ আলী খান নির্মাণাধীন ভবন, বাসাবাড়ি এমনকি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করান তাকে দিয়ে।

সবশেষ গত ২৮ জানুয়ারি রাতে ফেসবুক লাইভে এসে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিফুর রহমানকে প্রকাশ্যে পেটানোর হুমকি দেন তিনি। ফেসবুক লাইভে সাজ্জাদ হুমকি দিয়ে বলেন, ‘তোর (ওসি) যদি শাস্তি না হয়, আমি তোকে কুত্তার মতো পেটাবো। অক্সিজেন থেকে বায়েজিদ পর্যন্ত কুত্তার মতো ন্যাংটা করে পেটাবো। কোর্টের রায় আসা পর্যন্ত তোরা টিকে থাকবি। যেখানেই থাকস আমি পিটাবো। প্রয়োজনে আমি মরে যাবো, তোদেরকে মেরে। তবুও আমি হার মানবো না। দেখি, তোদের জোর বেশি না আমার। আরিফ তুই প্রস্তুত থাকিস। তোর উচ্চপদস্থ যারা আছে তাদেরকে বলিস।’ এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই ওসি।

জানা গেছে, গত বছরের ২৯ আগস্ট নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কে প্রকাশ্যে গুলি করে মাসুদ কায়সার (৩২) ও মোহাম্মদ আনিস (৩৮) নামে দুজনকে হত্যা করা হয়। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ব্যবসা ও রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়ে দুপক্ষের দ্বন্দ্বের জেরেই এ খুন হয়। এই চাঞ্চল্যকর ডাবল মার্ডারের ঘটনার দুই মামলায় সাজ্জাদ ও তার

সহযোগীদের আসামি করা হয়।একইবছরের ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে নগরের চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া জাগরনী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে মাইক্রোবাস থেকে নেমেই স্থানীয় ব্যবসায়ী আফতাব উদ্দিন তাহসীনকে (২৭) গুলি করে হত্যা করে এই দুর্র্ধষ সাজ্জাদ বাহিনী।
এদিকে হাটহাজারী, বায়েজিদ বোস্তামি, চান্দগাঁও এবং পাঁচলাইশ এলাকার মূর্তিমান আতঙ্ক দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ওরফে ‘বুড়ির নাতি’। সবশেষ গত বছরের ১৭ জুলাই চান্দগাঁও থানা পুলিশ অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে। অবশ্য পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন। জামিনে বেরিয়ে এসে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল চারটার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার

কালারপুল এলাকায় শটগান হাতে সাজ্জাদ হোসেনসহ আরও দুজন গুলি করতে করতে একটি নির্মাণাধীন ভবনে প্রবেশ করেন। এরপর ওই ভবন মালিকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এছাড়া একইবছরের ৫ জুলাই বায়েজিদ থানার বুলিয়াপাড়া এলাকায় একটি বাসায় গুলি করেন সাজ্জাদ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে। আর গত বছরের ২৭ অক্টোবর চাঁদা না পেয়ে দলবল নিয়ে মো. হাছান নামের এক ঠিকাদারের চান্দগাঁও হাজীরপুল এলাকার বাসায় গিয়েও গুলি করে সাজ্জাদ বাহিনী।

অন্যদিকে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর নগরের অক্সিজেন মোড় জালালাবাদ পেট্রোল পাম্পের পেছনে সাততলা ভবনের পঞ্চম তলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে অভিযানে যায় পুলিশ। তাদের উপস্থিতি টের পেয়েই গুলি চালান সাজ্জাদ। গুলিতে পুলিশের দুই সদস্যসহ মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।পুলিশের ওপর গুলি চালিয়ে সাজ্জাদ পালিয়ে গেলেও তার স্ত্রী পরিচয় দেওয়া এক নারীকে আটক করা হয় তখন।

পুলিশ তখন জানিয়েছিল, সাজ্জাদের অবস্থান শনাক্ত করে গভীর রাত সাড়ে ৩টা থেকে ভোর ৪টার দিকে অভিযানে যায় পুলিশ সদস্যরা। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়েই সাজ্জাদ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকেন। একপর্যায়ে পাশের একটি ভবনের ছাদে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায় এই শীর্ষ সন্ত্রাসী। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন ওই দুজন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চালের বাজারে দরপতন, বেড়েছে ছোলা ও ডালের দাম

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পাইকারিতে চালের দর নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তবে খুচরায় এখনও তেমন প্রভাব না পড়লেও আগামী সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করবে বলে আশা বিক্রেতাদের। অন্যদিকে বেড়েছে ছোলা ও ডালের দাম। ডিমের দাম কমেছে, বেড়েছে খাসির মাংসের দাম। তবে শবে বরাতকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময় গরুর মাংসের দর বাড়তি থাকলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। এবার গরুর মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, রমজানে চাহিদা কমে যাওয়া, বিপুল পরিমাণ আমদানি ও সরকারিভাবে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রির খবরে দরপতন শুরু হয়েছে।
শুক্রবার চট্টগ্রামের পাহাড়তলী চালের আড়ত, রিয়াজউদ্দিন বাজার ও বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে নিত্যপণ্যের দামের এ চিত্র পাওয়া গেছে।এ ছাড়া অন্যান্য মুদিপণ্য, শাকসবজির দাম আগের মতোই আছে।

শাকসবজি বরাবরের মতো ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে আছে। মাছের কিছুটা চড়া দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
পাহাড়তলীর আড়তগুলো ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা, বেতি আতপ, নাজিরশাইল, পাইজাম চালে সয়লাব। প্রতিকেজি বেতি আতপ তিন টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫৩ টাকায়। ৩৮ টাকার সিদ্ধ নাজিরশাইল ৩৫ থেকে ৩৬ আর ৩০ টাকার পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়।

তবে দেশি নাজিরশাইল, মিনিকেট ও কাটারি আতপের দাম এখনও কমেনি। প্রতি কেজি কাটারি আতপ ৮৫ টাকা, নাজিরশাইল হাফসিদ্ধ মানভেদে ৮৫ ও ৮৮ টাকা, মিনিকেট আতপ ও সিদ্ধ ৭৪-৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ায় এসব চালের দাম তেমন কমেনি। তবে না কমলেও আর বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

পাহাড়তলী বাজারের আড়তদার এস এম নাজিম উদ্দিন বলেন, কয়েকদিন পর রমজান মাস শুরু হবে। তখন চালের চাহিদা কমে যাবে। ঈদের পরেই শুরু হবে বোরো মৌসুম। আবার ভারত, মায়ানমার থেকে যে পরিমাণ চাল এসেছে, আড়তে এখন প্রচুর মজুত আছে। টিসিবি বলছে, তারা ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রি করবে। সব মিলিয়ে চালের দাম নিম্নমুখী হয়েছে। এটা আস্তে আস্তে আরও কমবে।

রিয়াজউদ্দিন বাজারের খুচরা মুদি দোকান হারুন এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘খুচরায় কেজিতে ১-২ টাকা কমেছে। দুইমাস আগে পাইকারিতে বস্তায় যেখাতে ২০০-৩০০ টাকা বেড়েছিল, সেখানে কমেছে মাত্র ৪০-৫০ টাকা। এটা আরও কমলে খুচরায় প্রভাব পড়বে।
তবে নগরীর আসকার দিঘীর পাড় এলাকার এক দোকানি বলেন, খুচরায় চাল আমরা এখনও কম দামে বিক্রি করতে পারছি না। ২৫ কেজি কিংবা ৫০ কেজির বস্তায় ৪০-৫০ টাকা কমেছে। কিন্তু গাড়ি ভাড়ায় পোষাচ্ছে না। আরও কমলে তখন গড়পরতা হিসেবে আমরাও কম দামে বিক্রি করতে পারব।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে ছোলা বিক্রি হচ্ছে মানভেদে কেজিপ্রতি ১২০ থেকে ১৪০ টাকায়। গত সপ্তাহে ছোলা ১২০ থেকে ১৩০ কিংবা ১৩৫ টাকার মধ্যে ছিল বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। ডালের মধ্যে ছোট মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা, মোটা মসুরের ডাল ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রেতারা জানালেন, মসুর ডালের দাম কেজিতে অন্তঃত ৫ টাকা বেড়েছে। এছাড়া বড় মুগ ডাল ১৩০ টাকা, ছোট মুগ ডাল ১৭০ টাকা, খেসারি ডাল ১২৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে ছোট মুগ ডাল কেজিতে বেড়েছে অন্তঃত ২৫ টাকা।

অন্যান্য পণ্যের মধ্যে খোলা আটা ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, খোলা ময়দা ৫৫ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্যাকেটজাত চিনির ঘাটতি আছে। খোলা চিনির মধ্যে সাদা ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা ও লাল চিনি ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।

বোতলজাত সয়াবিন তেলের সরবরাহ এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তবে খুচরা পর্যায়ে দামে তেমন একটা হেরফের হয়নি। বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা ও প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, পাম সুপার ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
রমজানের আরেক অত্যাবশ্যকীয় পণ্য খেজুর।

রিয়াজউদ্দিন বাজারে প্যাকেটজাত খেজুরের মধ্যে প্রতি কেজি দাবাস খেজুর ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা, জিহাদি খেজুর ২৪০ টাকা, আজওয়া খেজুর ৯০০ টাকা, বরই খেজুর ৪০০ টাকা, মরিয়ম খেজুর ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।বাজারে ব্রয়লার মুরগির ডিম প্রতি ডজন ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, দাম কমেছে ৫ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের দামও প্রতি ডজনে অন্তঃত ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ২৪৫ থেকে ২৫০ টাকা দরে। হাঁসের ডিম আগের দরে প্রতিডজন ২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি গত সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৯৫ টাকা, সোনালী মুরগি ৩৩০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫৪০ থেকে ৫৮০ টাকা, লেয়ার লাল মুরগি ৩০০ টাকা এবং সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। মুরগির দর গত সপ্তাহের মতোই আছে।

শবে বরাতের আগেরদিন গরুর মাংস হাড়ছাড়া প্রতিকেজি ৯৫০ টাকা এবং হাড়সহ ৭৫০ থেকে ৭৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার দাম বাড়েনি। তবে খাসির মাংসের দাম প্রতিকেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।এছাড়া বাজারে আকারভেদে প্রতিকেজি রুই মাছ ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, কাতলা মাছ ৩২০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ও শিং মাছ ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, বেলে ও আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ট্যাংরা প্রতিকেজি ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাষের কই ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা এবং গলদা চিংড়ি বিক্রি হয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে।

শীতকালীন শাকসবজির সরবরাহে ঘাটতি না থাকায় দাম ক্রেতার নাগালের মধ্যেই আছে। বাজারে মুন্সিগঞ্জের নতুন আলু মানভেদে প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাল আলু, সাদা আলু, বগুড়ার আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির মধ্যে কাঁচামরিচ ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, বেগুন, মানভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, মূলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, শিম, শসা, টমেটোর দাম ১৫ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া শসা ৩০, মিষ্টিকুমড়া ৩০, করলা ৪০, মটরশুঁটি ৭০, গাজর ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ ও লাউ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পালং শাক, কলমি শাক, ডাঁটা শাক ১০ থেকে ২০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজ প্রতিকেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি দেশি রসুন ২৩৫, চায়না রসুন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, ভারতীয় আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকা, চায়না আদা ২২৫ টাকা, দেশি আদা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চট্টগ্রাম মহানগরে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার-৪০

চট্টগ্রাম মহানগরে ২৪ ঘণ্টায় অভিযান চালিয়ে ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার অভিযানে নগরীর ১৬ থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে বলে নগর পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এদের অধিকাংশই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলাকারী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা আছে।

গ্রেফতার ৪০ জনের মধ্যে নগরীর কোতোয়ালী থানায় সাতজন, পাঁচলাইশ থানায় দুইজন, চকবাজার থানায় একজন, বায়েজিদ বোস্তামি থানায় চারজন, আকবরশাহ থানায় চারজন, সদরঘাট থানায় একজন, হালিশহর থানায় তিনজন, খুলশী থানায় দুইজন, ইপিজেড থানায় দুইজন, ডবলমুরিং থানায় এক শিশুসহ চারজন, পতেঙ্গা থানায় একজন আছেন।এ ছাড়া নগরীর বন্দর থানায় একজন, পাহাড়তলী থানায় দুইজন, চান্দগাঁও থানায় একজন, বাকলিয়া থানায় তিনজনজন এবং কর্ণফুলী থানায় একজন আছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ