আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

সাইবার স্পেসের হাতছানি :সম্ভাবনা নাকি সংকট?

সাদিয়া নুর ইউসরা আইন বিভাগ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়,চট্টগ্রাম

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আধুনিক জীবনধারায় আমাদের তাৎক্ষণিক যোগাযোগ, সীমানাহীন ও প্রায় সীমাহীন তথ্যপ্রাপ্তি এবং বিস্তৃত উদ্ভাবনী সেবার সুযোগ করে দিয়েছে। সাইবার স্পেস ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে জাতীয় ও বৈশ্বিক বিষয় পর্যন্ত ব্যাপকভাবে কার্যাবলী এবং সেবাকে পরিপূরক বা বিকল্প হিসেবে কাজ করছে। তবে ব্যবসা, সরকার এবং সমাজের ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীলতা ক্রমবর্ধমান হওয়ায় এটি অপরাধীদের জন্য অর্থনীতি ও জীবনযাত্রা ব্যাহত করার প্রধান লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। সাইবার অপরাধসমূহ অর্থনৈতিক ক্ষতি,ব্যাক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তার লঙ্ঘন, মানসিক চাপ ও নিরাপত্তাহীনতা, ব্যবসায়িক ক্ষতি,

জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি, পরিচয় চুরি,জালিয়াতি সর্বোপরি সমাজের উপর এক বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাই সাইবার অপরাধের হুমকি মোকাবেলায় সচেতনতা, প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা ও আইনের কঠিন অনুশাসন বাস্তবায়ন করা বর্তমান প্রজন্মের কাছে চ্যালেঞ্জ স্বরূপ। এই প্রেক্ষাপটে, বর্তমান সরকার “সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ “প্রণয়ন করেছেন; যা সাইবার নিরাপত্তা জোরদার ও ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা আইনের খসড়ায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে,তবে কিছু বিষয় পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন রয়েছে।

ধারা ৩৬ অনুযায়ী, পরোয়ানা ছাড়াই তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট ট্রাইবুনালে দাখিলের নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। যেহেতু পরোয়ানা ছাড়া তল্লাশি করার ফলে ব্যক্তির হয়রানির সুযোগ থাকে, তাই এ ধরণের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত।

ধারা ৪৮ এর উপধারা (৩) অনুযায়ী,বাজেয়াপ্তযোগ্য সাইবার উপকরণের পাশাপাশি যদি কোনো বৈধ উপকরণ পাওয়া যায় তবে সেগুলোও বাজেয়াপ্ত করা হবে। এটি কতটুকু যৌক্তিক, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়। কেননা, বৈধ উপকরণ যদি অপরাধ সংগঠনে ব্যবহৃত না হয় তাহলে সেগুলো জব্দ করার কোন প্রয়োজন নেই। এই বিধান প্রয়োগ করলে কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসার কার্যক্রম অযথা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

এছাড়া খসড়াই হুইসেল ব্লোয়ারদের সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখা হয়নি , যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাইবার অপরাধ সম্পর্কে তথ্য প্রদানকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না হলে তারা অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখতে আগ্রহ প্রকাশ নাও করতে পারে। পাশাপাশি সাইবার হামলার শিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গ্রাহকদের কাছে তথ্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত। নাগরিকের ডাটা,ডিজিটাল সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সেটি গোপন না রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকাশ করা দরকার।

বিশ্বব্যাপী পরিবহন ও স্বাস্থ্য খাত সাইবার হামলার বড় লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। গণপরিবহন ও হাসপাতালের মতো সংবেদনশীল অবকাঠামো সাইবার আক্রমণের শিকার হলে মানুষের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তাই সাইবার সুরক্ষা কাউন্সিলে এ দুটি খাতের মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা প্রয়োজন।

“সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪”এর খসড়ায় তথ্যের গোপনীয়তার বিষয়টা আংশিকভাবে আসলেও এটি অধিকার এবং প্রযুক্তির নিরাপত্তার মধ্যে কতটুকু ভারসাম্য রক্ষা করতে পেরেছে তা নিয়ে একটা আশংকা থেকেই যায়। প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা আইন আগের আইনের কিছু দুর্বলতা কাটিয়ে উঠলেও এটি যেন প্রকৃত অর্থে সঠিক প্রয়োগ ও অপব্যবহার রোধে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ গ্রহণ করে,সেদিকে সরকার এবং সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সিগুলোর সজাগ দৃষ্টি কাম্য।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী চট্টগ্রামে এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায়

বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মুরাদপুরস্থ’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র উদ্যোগে ১১তম বারের মতো “এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা-২০২৫” এনআইটি’র অডিটোরিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কারীগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্কভিউ হসপিটাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এটি. এম. রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন এনআইটি’র চেয়ারম্যান আহসান হাবিব।

প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২৬৪টি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প প্রর্দশিত হয়। এতে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র একটি বিজয়ীর খোঁজ নয়, বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সকলেই নতুন কিছু শিখেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় উদ্ভাবন নিয়ে আসার অনুপ্রাণিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রকল্পই আলাদা এবং একেকটি নতুন চিন্তার প্রতিফলন। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শুধু একটি ইভেন্ট নয়; এটি হলো কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সবচাইতে কার্যকর মঞ্চ।

ড. এটি. এম. রেজাউল করিম বলেন,দক্ষতা একজন মানুষকে কর্মবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং তাকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সেই দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কার্যকরী সমস্যা সমাধানের রুপরেখা তৈরী করে। অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন বলেন, এই প্রতিযোগিতায় উত্থাপিত সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধানগুলো কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমাদের তরুণরা প্রমাণ করেছেন যে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাই দেশকে ‘আধুনিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মূল চালিকাশক্তি।


ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন, উদ্ভাবন শুধু প্রযুক্তির খেলনা নয়, উদ্ভাবন হল মানুষের জীবনকে সহজ ও অর্থপূর্ণ করার হাতিয়ার। আজকের এই ছোট ছোট ধারণাগুলোই আগামী দিনের বড় বড় শিল্প ও সামাজিক পরিবর্তনের বীজ বপন করছে।প্রতিযোগীতায় মোট ২৬৪ টি প্রজেক্ট অংশ নেয়। প্রজেক্ট সমুহকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন মানদন্ডে বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য মূল্যায়ন দলে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাঈনুল হক মিয়াজী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এইচ.এম

. এ আর মারুফ,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান মো. দিদারুল আলম মজুমদার। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল ডিপার্টমেন্ট প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো জাহাঙ্গীর আলম, কম্পিউটার বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মেহেদী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী নুরুননবী।

বিচারক প্যানেল প্রজেক্ট সমুহ মূল্যায়ন সম্পন্ন করেন। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে টপ টেন নির্ধারণ করে পুরস্কার হিসেবে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জন কারীর মধ্যে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ইমার্জিং প্রজেক্ট হিসেবে চতুর্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদেরও ৫ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে লাগেজে মিলল ৯০ লাখ টাকার সিগারেট

চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মালিকানাহীন ছয়টি লাগেজ থেকে ৮০০ কার্টন মন্ড ব্র্যান্ডের সিগারেট জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বিমানবন্দরের এরাইভাল হলের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড কর্নারের পাশ থেকে এসব লাগেজ উদ্ধার করা হয়। জব্দ হওয়া সিগারেট প্রতি কার্টন ১১ হাজার ২৫০ টাকা মূল্য ধরে মোট ৯০ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, লাগেজগুলোর সঙ্গে কোনো যাত্রীর নাম, ট্যাগ বা মালিকানার কাগজপত্র ছিল না। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও কেউ লাগেজের দাবি না করায় সেগুলোকে কাস্টমস আইন অনুযায়ী পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরে লাগেজ খুলে ৮০০ কার্টন সিগারেট পাওয়া যায় এবং তা জব্দ করা হয়।

শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, লাগেজগুলো দীর্ঘ সময় ধরে মালিকবিহীন অবস্থায় ছিল। কেউ দায়িত্ব না নেওয়ায় সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করে জব্দ করা হয়েছে। বিমানবন্দরে চোরাচালান ঠেকাতে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে এবং অভিযান চলমান থাকবে বলে তিনি জানান।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ