আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফুলের হাসি ফাউন্ডেশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও নতুন কমিটির অভিষেক

স ম জিয়াউর রহমান, চট্টগ্রাম।

“আসুন স্বপ্ন দেখি, স্বপ্ন দেখাই, স্বপ্নকে ছড়িয়ে দেই” এই স্লোগানে ফুলের হাসি ফাউন্ডেশনের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কার্যকরী কমিটির অভিষেক উপলক্ষে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে আয়োজন করা হয় ‘ইচ্ছে পূরণ’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গুণীজন সম্মাননা।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, জাতীয় সংগীত শেষে মহান ভাষা শহীদ, ১৯৭১ এর স্বাধীনতা ও ২৪ গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

অনুষ্ঠানে অপরাজেয় বাংলাদেশের ইনচার্জ জিনাত আরা বেগমের তত্ত্বাবধানে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি ও সংগীত শিল্পী জাহিদ অন্তুর পরিবেশনায় মুখর হয়ে উঠে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি হল।

ফুলের হাসি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ’র সভাপতিত্বে ও বাচিক শিল্পী আশিক আরেফিন এবং সংগঠক তসলিম হাসান হৃদয়ের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী, জীবন্ত কিংবদন্তী রবি চৌধুরী।
এতে প্রধান আলোচক ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম- ২ কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, বেওয়ারিশ সেবা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মো: শওকত হোসেন (পিপিএম), ফুলের হাসি ফাউন্ডেশন উপদেষ্টা লায়ন নবাব হোসেন মুন্না এমজেএফ, উপদেষ্টা আবু তাহের চৌধুরী, লেখক নেছার আহমেদ খান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবদুল নুর, ক্যাপ্টেন মুসলিম ফারুক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব কারু কৃষান সহ অনেকেই।

৫১ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ ড.মোহাম্মদ সানাউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক তসলিম হাসান হৃদয় মনোনীত হন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী রবি চৌধুরী বলেন, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে ফুলের হাসি ফাউন্ডেশনের পথচলার ৪ বছরে তারা মানবিক কার্যক্রমের সাথে তিনি নিজেও জড়িত, সেই সাথে ফুলের হাসি ফাউন্ডেশনের প্রতি শুভকামনা ও নতুন কমিটিকে শুভেচ্ছা জানান।

বেওয়ারিশ সেবা
ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাতা শওকত হোসেন বলেন, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে এই উদ্যোগ অসাধারণ। আশা করি ফুলের হাসি ফাউন্ডেশন সব সময় মানবিক কার্যক্রম এভাবেই চালিয়ে যাবেন।

সভাপতির বক্তব্যে ড. সানাউল্লাহ বলেন, আমি নতুন কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পাশাপাশি, আশা করি সমাজের বিত্তবানরাও গরীব, অসহায়দের সাহায্য এগিয়ে আসবেন।

আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা শেষে সমাজের পিছিয়ে পরা মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন দীর্ঘদিন ধরে এমন ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ফুলের হাসি সম্মাননা দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভোলায় জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত ।

দ্বীপজেলা ভোলার আধুনিক সাহিত্য সংগঠন জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের ১৫ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে ।গতকাল ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ সন্ধ্যায় ভোলা সদরের গঙ্গাকীর্তি হারুন অর রশিদ স্মৃতি পাঠাগারে অনুষ্ঠিত জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের সাধারণ সভায় সংগঠনের আহ্বায়ক শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম এর সভাপতিত্বে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ রোদসী কৃষ্টিসংসারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র প্রভাষক কবি রিপন শান, জাতীয় সাহিত্য সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট ভোলা জেলা শাখার সদস্য সচিব প্রভাষক কবি মিলি বসাক, জলসিঁড়ির সদস্য সচিব কবি মহিউদ্দিন মহিন, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও জলসিঁড়ির সংগঠক কবি নীহার মোশারফ, আবৃত্তিশিল্পী সমাজসেবক মীর মোশারেফ অমি প্রমুখ ।

সভায় উপস্থিত সদস্যদের ভোটাভুটির মাধ্যমে শিশুসাহিত্যিক শাহাবউদ্দিন শামীম কে সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সাংবাদিক কবি রিপন শানকে নির্বাহী সভাপতি, সিনিয়র প্রভাষক সংগঠক মহিউদ্দিন মহিনকে সাধারণ সম্পাদক, কবি গবেষক কবি নীহার মোশারফ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জলসিঁড়ি সাহিত্য আসরের কার্যনির্বাহী কমিটি ২০২৫- ২০২৭ গঠন করা হয়েছে ।

কমিটির সহ-সভাপতিগণ হচ্ছেন- সিনিয়র প্রভাষক কবি মিলি বসাক, কবি মোঃ জুলফিকার আলী। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গণ হচ্ছেন- কবি আল মনির, আবৃত্তিশিল্পী মীর মোশারেফ অমি । অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি বিলকিস জাহান মুনমুন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন কবি শাহনাজ পারুল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুল্লাহ আরিফ । নির্বাহী সদস্যগণ হচ্ছেন- অধ্যক্ষ কবি এম এস জালাল বিল্লাহ, কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি চৌধুরী সাব্বির আলম এবং কবি এরশাদ সোহেল ।

আসছে ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ শনিবার বিকেল ৪ টায় ভোলা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিতব্য জলসিঁড়ির মাসিক সাহিত্য সভায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হবে ।

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হোসেনপুরে বিএনপি নেতার খাবার বিতরণ।

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায়-কিশোরগঞ্জের-হোসেনপুরে পাঁচশত অসহায় মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠ পৌর বিএনপির সভাপতি একে. এম. শফিকুল হক শফিকের উদ্যোগে নতুন বাজার মোড়ে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম সেলিম, পৌর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক কমিশনার মাসুম বাবুল, পৌর ২ নং ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল খালেক, পৌর ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি স্বপন মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই, পৌর ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা জাসাসের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল মোল্লা, জেলা জাসাস সদস্য স্বপন মিয়া, পৌর সদস্য সচিব রিমন মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক পৌর রুমান মিয়া,

পৌর বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম, বিএনপি নেতা জজ মিয়াসহ পৌর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা।এ সময় পাঁচ শতাধিক মানুষের হাতে খাবারের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়। এ কর্মসূচিতে অবস্থিত অসহায় মানুষরা খাবার পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ