আজঃ বুধবার ১২ মার্চ, ২০২৫

রাবির দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তসহ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো তিনটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী সাময়িক বরখাস্ত দুই শিক্ষককে চূড়ান্ত শাস্তি দিতে কমিটি গঠন, সাবেক এক শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বহাল, এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার ও তিন শিক্ষককে পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে পাঁচ বছরের জন্য বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ তদন্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত যৌন হয়রানি ও ধর্ষণের অভিযোগে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগের সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল রাখা হয়েছে। এই দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩-এর আইনের ৫৫ (৩) ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত শাস্তি দিতে ইনকোয়ারি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের ২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের স্নাতকোত্তরের নিবন্ধন বাতিলের মাধ্যমে ছাত্রত্ব বাতিলের বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদন বিবেচনা করে তাঁর ছাত্রত্ব পুনর্বহাল ও তাঁর পরীক্ষার অপ্রকাশিত ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৬তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে ৪৬১তম সভায় রফিকুলের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়েছিল।

জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকারের প্রসঙ্গে ৪৬১তম সিন্ডিকেট সভার ১৩৭ নম্বর সিদ্ধান্ত বিষয়ে গঠিত রিভিউ কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেটের ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার কূটকৌশলের কারণে বিনা অপরাধে সাজা ভোগ করেছেন প্রমাণিত হওয়ায় একই বিভাগের শিক্ষক আব্দুল হক, আলী আকবর ও আশরাফুজ্জামান খানকে আগামী পাঁচ বছর পরীক্ষাসংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই সিদ্ধান্তে অধ্যাপক মো. শামসুল আলম সরকার সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সিন্ডিকেট তাঁর প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের ডিডিকে বরিশালে বদলি

রাজশাহী বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক (ডিডি) রোজী খন্দকারকে বদলি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দালালদের মাধ্যমে জমা দেওয়া ফাইলের কাজ আগে করা ও সেবাগ্রহীতাদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। বর্তমানে এ অভিযোগের তদন্ত চলছে।

তদন্ত চলাকালে সম্প্রতি পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল নূরুল আনোয়ার স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাঁকে বরিশালে বদলি করা হয়েছে। আর বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের ডিডি আবু নোমান মো. জাকের হোসেনকে রাজশাহীতে পদায়ন করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ নভেম্বর সকালে ভুক্তভোগীরা পাসপোর্ট অফিসের অনিয়ম দূর করার দাবিতে মানববন্ধন করেন। এতে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। পরে তাঁরা ডিডি রোজী খন্দকারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজশাহীর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগও দেন।

পরে এ নিয়ে তদন্ত শুরু করে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। সম্প্রতি তদন্ত কমিটির সদস্যরা রাজশাহী সার্কিট হাউসে বসে ভুক্তভোগীদের বক্তব্য শোনেন। এরপরই ডিডিকে বদলি করা হয়।

এ বিষয়ে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক এ কে এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘তিনি (রোজী খন্দকার) আর সেখানে নেই। তালে বদলি করা হয়েছে। তিনি এখন বরিশালে অফিস করেন।’এদিকে ডিডি রোজী খন্দকারকে বদলি করায় খুশি রাজশাহীর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান বলেন,

‘পাসপোর্ট অফিসের ব্যাপক অনিয়মের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ করেছিলাম। উল্টো ডিডি আমাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেন। আমরা তাঁকে বদলির দাবি করেছিলাম। তাঁকে বদলি করায় আমরা খুশি। বর্তমানে পাসপোর্ট অফিসে হয়রানি ছাড়াই কাজ হচ্ছে বলে আমরা জেনেছি।

রাবির সাবেক ভিসি আ: সোবাহানের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য ড. এম আবদুস সোবহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, ড. এম আবদুস সোবহানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তার কার্যকালীন সময়ে বিপুল পরিমাণ সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ১৩৮ জন শিক্ষক/কর্মচারী নিয়োগের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে।

অভিযোগ অনুসন্ধানকালে তার নামে অবৈধ আয়ে নিজ এলাকায় কৃষি জমি, ফ্ল্যাট, প্লট ক্রয় এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পত্তি হস্তান্তর করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ আদেশ হওয়া আবশ্যক। তাই মহামান্য আদালত এই আদেশ দেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ