আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফিলিপাইনের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি কাজে লাগাতে স্থানীয় উদ্যোক্তদের আহবান

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির (সিএমসিসিআই) সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইন্স রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট’র সিএমসিসিআই’র পরিচালনা পর্ষদ, সদস্য এবং ব্যবসায়ীদের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন। বৃহস্পতিবার উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন সিএমসিসিআই পরিচালক জনাব জাহাঙ্গীর চৌধুরী। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিএমসিসিআই পরিচালক এম. আব্দুল আউয়াল, এইচ. এম. হাকিম আলী এবং পরিচালক এম. সোলায়মান, এফসিএমএ সহ চেম্বারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

পরিচালক জাহাঙ্গীর চৌধুরী অতীতেও বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত এবং উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ অত্র চেম্বার পরিদর্শনের কথা স্মরন করে এবারও ব্যস্ততার মাঝে বর্তমান রাষ্ট্রদূত নিনা পাদিলা কেইংলেট’র সিএমসিসিআই পরিচালক সহ অন্যদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে অংশগ্রহন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি স্থানীয় উদ্যোক্তদের কৃষি ও খাদ্য উৎপাদন, প্যাকেজিং, তথ্য প্রযুক্তি, ইলেক্ট্রনিক্স এবং পর্যটন খাতে ফিলিপাইনের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি কাজে লাগানোর আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে উন্নত কৃষিজাত পণ্য, হালাল পণ্য যেমন ভেজিটেবল অয়েল, মাছ, কসমেটিকস্ সামগ্রী, লুব্রিকেন্ট অয়েল, বায়ো ডিজেল, কোকোনাট মিল্ক ক্রিম ইত্যাদি আমদানিতে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি উভয় দেশের সরকারের পাশাপাশি উভয় দেশের জনগণকে যৌথভাবে শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে আরও বেশি চর্চা করার আহ্বান জানান। এর ফলে দু’দেশের জনগনের মধ্যে আরও বেশি ভাতৃত্ব পূণৃ সম্পর্ক সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে তিনি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

ভবিষ্যতে ব্যবসা বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে তিনি দু’দেশের ব্যবসায়ীদের একসাথে কাজ করার প্রতি আহ্বান জানান। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইন আরও বেশি পণ্য আমদানি করতে আগ্রহী বলে জানানো হয়। পরিশেষে পাওয়ার প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ফিলিপাইনের বিভিন্ন শিল্পখাত সম্বন্ধে উপস্থিত সকলকে সম্যক ধারনা দেয়া হয়।সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পরিচালক এইচ. এম. হাকিম আলী, এম. সোলায়মান, এফসিএমএ।

সিএমসিসিআই সদস্য সুলতান মাহমুদ, শহীদুল আলম, মাহতাব উদ্দিন সহ কেডিএস গ্রুপের প্রতিনিধি ওবায়দুর রহমান। পরিশেষে তিনি এ ধরনের একটি প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান আয়োজন করায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার সভাপতি সহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

অংশ নিয়েছে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী চট্টগ্রামে এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতায়

বিজ্ঞানমনষ্ক শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের যথাযথ প্রয়োগের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের মুরাদপুরস্থ’ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এনআইটি)’র উদ্যোগে ১১তম বারের মতো “এনআইটি উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা-২০২৫” এনআইটি’র অডিটোরিয়ামে শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ কারীগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্কভিউ হসপিটাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. এটি. এম. রেজাউল করিম, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন এনআইটি’র চেয়ারম্যান আহসান হাবিব।

প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ২৬৪টি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভাবনীমূলক প্রকল্প প্রর্দশিত হয়। এতে প্রায় ৬০০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন বলেন, আজকের এই প্রতিযোগিতা শুধুমাত্র একটি বিজয়ীর খোঁজ নয়, বরং এটি আমাদের সবার জন্য একটি শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সকলেই নতুন কিছু শিখেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বড় উদ্ভাবন নিয়ে আসার অনুপ্রাণিত হয়েছে। প্রতিযোগীতায় শিক্ষার্থীরা প্রমাণ করেছে, আমাদের তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যেকটি প্রকল্পই আলাদা এবং একেকটি নতুন চিন্তার প্রতিফলন। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শুধু একটি ইভেন্ট নয়; এটি হলো কারিগরি শিক্ষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির সবচাইতে কার্যকর মঞ্চ।

ড. এটি. এম. রেজাউল করিম বলেন,দক্ষতা একজন মানুষকে কর্মবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এবং তাকে স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে। উদ্ভাবনী প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের সেই দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কার্যকরী সমস্যা সমাধানের রুপরেখা তৈরী করে। অধ্যক্ষ মো কামাল হোসেন বলেন, এই প্রতিযোগিতায় উত্থাপিত সাশ্রয়ী ও টেকসই সমাধানগুলো কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম। আমাদের তরুণরা প্রমাণ করেছেন যে তাদের মেধা ও সৃজনশীলতাই দেশকে ‘আধুনিক বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের মূল চালিকাশক্তি।


ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির চেয়ারম্যান আহসান হাবিব বলেন, উদ্ভাবন শুধু প্রযুক্তির খেলনা নয়, উদ্ভাবন হল মানুষের জীবনকে সহজ ও অর্থপূর্ণ করার হাতিয়ার। আজকের এই ছোট ছোট ধারণাগুলোই আগামী দিনের বড় বড় শিল্প ও সামাজিক পরিবর্তনের বীজ বপন করছে।প্রতিযোগীতায় মোট ২৬৪ টি প্রজেক্ট অংশ নেয়। প্রজেক্ট সমুহকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে বিভিন্ন মানদন্ডে বিচার বিশ্লেষণ করার জন্য মূল্যায়ন দলে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. এ. কে. এম. মাঈনুল হক মিয়াজী, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. এইচ.এম

. এ আর মারুফ,চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান মো. দিদারুল আলম মজুমদার। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর সিভিল ডিপার্টমেন্ট প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মো জাহাঙ্গীর আলম, কম্পিউটার বিভাগের চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী মেহেদী, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগ চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী সুজিত কুমার বিশ্বাস, মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট এর চীফ ইন্সট্রাক্টর প্রকৌশলী নুরুননবী।

বিচারক প্যানেল প্রজেক্ট সমুহ মূল্যায়ন সম্পন্ন করেন। মূল্যায়নে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে টপ টেন নির্ধারণ করে পুরস্কার হিসেবে ১ম,২য় ও ৩য় স্থান অর্জন কারীর মধ্যে যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট পুরস্কৃত করা হয়। এছাড়া ইমার্জিং প্রজেক্ট হিসেবে চতুর্থ থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারীদেরও ৫ হাজার নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সমাপনী পর্বে সকল অংশগ্রহণকারীকে সনদ বিতরণ করা হয়।

রাজশাহীতে খাদ্যপণ্য পরীক্ষা করবে ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার

রাজশাহীতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে ‘ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার’-এর উদ্বোধন করা হয়। ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যপণ্য পরীক্ষার পাশাপাশি তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল জানানোর লক্ষ্যে রাজশাহী বিভাগের জন্য একটি ‘ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগার’ চালু করা হয়েছে। বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর তাঁর কার্যালয়ে এটির উদ্বোধন করেন। এর মাধ্যমে ভোক্তারা নিজেদের আনা খাদ্য নমুনাও বিনা মূল্যে পরীক্ষার সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটি মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে জানিয়েছেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। তিনি জানান, দিনে পরীক্ষাগারটি যেখানে দরকার, সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। আর রাতে রাখা হবে রাজশাহী সার্কিট হাউসে। রাজশাহীর বাইরের কোনো জেলায় সর্বোচ্চ দুই দিন পর্যন্ত এ পরীক্ষাগার রাখা যাবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ’ প্রকল্প থেকে ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর দায়িত্বে থাকবেন জেলার নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা। কোন দিন বিভাগের কোন জেলায় এ পরীক্ষাগার থাকবে, সেটির একটি সূচি মাসের শুরুতেই তৈরি করা হবে। রাজশাহী ছাড়া বিভাগের অন্য কোনো জেলায় পরীক্ষাগারটি একবার গিয়ে দুই দিনের বেশি থাকবে না। দিনে প্রয়োজনীয় স্থানে পরীক্ষাগারটিকে নিয়ে যাওয়া হবে আর রাতে রাখা হবে সার্কিট হাউসে।

এ বিষয়ে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা ইয়ামিন হোসেন জানান, যেসব এলাকায় খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয়, সেখানে এই পরীক্ষাগার নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর খাদ্যপণ্য পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিকভাবে ফলাফল জানানো হবে। কোথাও খাদ্যপণ্যে ভেজাল পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা ধ্বংস করা হবে। পাশাপাশি ওই সব খাদ্যপণ্য কেনা থেকে বিরত রাখতে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হবে।

ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটির উদ্বোধনের আগে আজ সকালে বিভাগীয় কার্যালয়ে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি ফয়সাল মাহমুদ, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আনোয়ারুল কবীর, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তা মো. আবদুল হাই সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মাহমুদুল ফারুক, বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপপরিচালক আবদুল ওয়াহেদ মণ্ডল, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন প্রমুখ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ