
চট্টগ্রাম বন্দরে প্রায় ১০ হাজার রপ্তানি ও প্রায় ১৭ হাজার একক আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমেছে। বছরের শুরুতে জানুয়ারির তুলনায় সদ্য শেষ হওয়া ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি ও আমদানি উভয় পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং কমে গেছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আমদানি ও রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে আমদানি ও রপ্তানির খালি কনটেইনার হ্যান্ডলিং করে চট্টগ্রাম বন্দর। পরিসংখ্যান অনুযায়ী চট্টগ্রাম বন্দরে ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি পণ্যবাহী ও খালি রপ্তানি কনটেইনার মিলে মোট ১ লাখ ৯ হাজার ৭৫৯ একক রপ্তানি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। যা জানুয়ারিতে ছিল ১ লাখ ২৮ হাজার ৩৮৩ একক। অর্থাৎ জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ১৮ হাজার ৬২৪ একক রপ্তানি কনটেইনার কম হ্যান্ডলিং হয়েছে। একইভাবে ভাটা পড়েছে মোট আমদানি কনটেইনার হ্যান্ডলিয়েও। ফেব্রুয়ারি মাসে আমদানি

পণ্যবাহী ও খালি আমদানি কনটেইনার মিলে মোট ১ লাখ ১৮ হাজার ৪২৫ একক আমদানি কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। যা জানুয়ারিতে ছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৩১ একক। অর্থাৎ জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ১৬ হাজার ৮০৬ একক আমদানি কনটেইনার কম হ্যান্ডলিং হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাপ্ত হিসেব অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরে ফেব্রুয়ারি মাসে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৬৫ হাজার ৪৫০ একক। যেটি জানুয়ারি মাসে ছিল ৭৫ হাজার ২৩৪ একক। অর্থাৎ জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ৯ হাজার ৭৮৪ একক রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার কম হ্যান্ডলিং হয়েছে।

অন্যদিকে একইভাবে কমেছে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনারও। বন্দরের হিসেবে ফেব্রুয়ারি মাসে আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৫৫ একক। যেটি জানুয়ারি মাসে ছিল ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৯ একক। অর্থাৎ জানুয়ারির তুলনায় ফেব্রুয়ারিতে ১৬ হাজার ৯৮৪ একক আমদানি পণ্যবাহী কনটেইনার কম হ্যান্ডলিং হয়েছে বলে জানা গেছে।