
।নেত্রকোনায় প্রেসিডেন্ট স্কাউট পরীক্ষা (২০২৪) দিতে গিয়ে পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা বর্বোচিত হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়, এর মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও হামলার শিকার হয়েছে ৩ মেয়ে শিক্ষার্থীও। হামলার ঘটনায় গতকাল রাতে আহত শিক্ষার্থীদের হয়ে শিক্ষকরা বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।

রবিবার (৯মার্চ) সকাল ১১ ঘটিকায় পূর্বধলা জগৎমনি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে পূর্বধলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি মহাসড়ক ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে। এসময় বিক্ষোভ মিছিলে স্কুলের বর্তমান ও সাবেক প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে।
এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইশতিয়াক আহমেদ বাবুসহ বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। তারা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সমর্থন জানান।

পরে পূর্বধলা থানার নবাগত ওসি নুরুল আমিন গিয়ে অবরোধকারীদের মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও অবরোধ কারীরা সরে যেতে রাজি হয়নি। অবশেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আগামীকাল সকাল ১০ ঘটিকার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে পেলে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন স্থগিত করে।
জানা যায়, উপজেলার শ্যামগঞ্জের জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের শাপলা কাব ও প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেত্রকোনা সদর ও পূর্বধলা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৩জন স্কাউট অংশ নেয়। লিখিত পরীক্ষা শেষে দুপুরে কেন্দ্রের পাশ্ববর্তী সোয়াই নদীতে সাঁতার মূল্যায়ন শেষে বিদ্যালয়ে ফেরার পথে পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।
বিক্ষোভ মিছিলে, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না, ‘ We Want Justice, তুমি কে আমি জেএম জেএম, সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও, কুমুদগঞ্জের সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাওসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী‘ আমিন ইসলাম বলেন, পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কাউট শিক্ষার্থীদের উপর তারা ইলেকট্রিক শক, কারেন্টের তার এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই ঘটনায় বাংলাদেশ স্কাউটস এর ইতিহাস একটি নিন্দনীয় ঘটনা। উক্ত ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসনের আশ্বাসে আগামীকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছি। এর মধ্যে দোষীদের বিচারের সম্মুখীন না করতে পারলে আরও কঠোর আন্দোলন যেতে বাধ্য হবো।