আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

নেত্রকোনায় স্কাউট পরীক্ষার্থীর উপর ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোনা

।নেত্রকোনায় প্রেসিডেন্ট স্কাউট পরীক্ষা (২০২৪) দিতে গিয়ে পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা বর্বোচিত হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।

এ ঘটনায় ৭ শিক্ষার্থী আহত হয়, এর মধ্যে ৩ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়াও হামলার শিকার হয়েছে ৩ মেয়ে শিক্ষার্থীও। হামলার ঘটনায় গতকাল রাতে আহত শিক্ষার্থীদের হয়ে শিক্ষকরা বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।

রবিবার (৯মার্চ) সকাল ১১ ঘটিকায় পূর্বধলা জগৎমনি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মিছিলটি বের হয়ে পূর্বধলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে শ্যামগঞ্জ বিরিশিরি মহাসড়ক ঘন্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে। এসময় বিক্ষোভ মিছিলে স্কুলের বর্তমান ও সাবেক প্রায় ৭ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে।

এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবু তাহের তালুকদার, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইশতিয়াক আহমেদ বাবুসহ বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। তারা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের সমর্থন জানান।

পরে পূর্বধলা থানার নবাগত ওসি নুরুল আমিন গিয়ে অবরোধকারীদের মহাসড়ক থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করলেও অবরোধ কারীরা সরে যেতে রাজি হয়নি। অবশেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আগামীকাল সকাল ১০ ঘটিকার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাসে পেলে আন্দোলনকারীরা আন্দোলন স্থগিত করে।

জানা যায়, উপজেলার শ্যামগঞ্জের জালশুকা কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০২৪ সালের শাপলা কাব ও প্রেসিডেন্ট স্কাউট অ্যাওয়ার্ডের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেত্রকোনা সদর ও পূর্বধলা উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৩জন স্কাউট অংশ নেয়। লিখিত পরীক্ষা শেষে দুপুরে কেন্দ্রের পাশ্ববর্তী সোয়াই নদীতে সাঁতার মূল্যায়ন শেষে বিদ্যালয়ে ফেরার পথে পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়।

বিক্ষোভ মিছিলে, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিবো না, ‘ We Want Justice, তুমি কে আমি জেএম জেএম, সন্ত্রাসীদের আস্তানা ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও, কুমুদগঞ্জের সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাওসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী‘ আমিন ইসলাম বলেন, পূর্বধলা জগৎমণি সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কাউট শিক্ষার্থীদের উপর তারা ইলেকট্রিক শক, কারেন্টের তার এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এই ঘটনায় বাংলাদেশ স্কাউটস এর ইতিহাস একটি নিন্দনীয় ঘটনা। উক্ত ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। প্রশাসনের আশ্বাসে আগামীকাল সকাল ১০টা পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেছি। এর মধ্যে দোষীদের বিচারের সম্মুখীন না করতে পারলে আরও কঠোর আন্দোলন যেতে বাধ্য হবো।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক গ্রেফতার

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীর কথিত প্রেমিক কে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। কথিত প্রেমিকের নাম বুলবুল (২০)। তিনি উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলী ফকিরের ছেলে।রবিবার(৭ ডিসেম্বর) সকালে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চাচকিয়া বিলের মধ্য নিয়ে গিয়ে ওই স্কুল ছাত্রী কে তার প্রেমিক বুলবুল সহ বন্ধুরা মিলে দলবদ্ধ ভাবে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় ধর্ষণ মামলা রজ্জু করেন। মামলায় তথিত প্রেমিক বুলবুল সহ ৪ জন কে আসামি করা হয়।

ধর্ষণের খবর পেয়ে এএসপি সার্কেল (চাটমোহর) আবু বক্কার সিদ্দিক ও থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

জানা গেছে, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর সঙ্গে বুলবুল এর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। ঘটনার দিন গত শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ওই স্কুল ছাত্রীকে চাচকিয়া বিলের মধ্যে ডেকে নিয়ে গিয়ে বুলবুল তার বন্ধু সোহানুজ্জামান ও তাওহিদ মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এসময় তারা মেয়েটির অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে এবং ঘটনাটি কাউ কে জানালে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন শনিবার দুপুরে ঘটনা জানার পর ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত বুলবুল কে দুপুরে পাবনা আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে। মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাবনা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

সাঘাটায় নবযোগদানকৃত ইউএনও আশরাফুল কবীরকে সাংবাদিকদের ফুলেল শুভেচ্ছা

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় নবযোগদানকৃত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল কবীরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার সকালে ইউএনও কার্যালয়ে এ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিকরা ইউএনওকে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানান এবং সাঘাটার সার্বিক উন্নয়ন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাঁর সাফল্য কামনা করেন। এসময় ইউএনও আশরাফুল কবীর সাংবাদিকদের শুভেচ্ছা গ্রহণ করে বলেন,
“সাঘাটার উন্নয়ন ও জনসেবার মানোন্নয়নে প্রশাসন ও গণমাধ্যম পরস্পরের পরিপূরক। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংবাদকর্মীদের সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”তিনি আরও বলেন,সাঘাটা উপজেলার সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে একটি জনবান্ধব প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। এ কাজে গণমাধ্যমের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে আমি বিশ্বাস করি।”

শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকরা নতুন ইউএনওর সঙ্গে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা, প্রশাসনিক কার্যক্রম এবং স্থানীয় সমস্যাবলি নিয়ে মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় মহলে ধারণা করা হচ্ছে, ইউএনও আশরাফুল কবীরের যোগদানে সাঘাটা উপজেলায় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড আরও গতিশীল হবে এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে নতুন দিগন্ত যুক্ত হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ