আজঃ বুধবার ১৯ মার্চ, ২০২৫

বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে সেল কাউন্টার ও ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার।

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইতিপূর্বে রুটিন রক্ত পরীক্ষা চালু থাকলেও সেল কাউন্টার ও ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার সংযোজন এর ফলে সরকারী হাসপাতালে সরকার নির্ধারিত মূল্যে রোগী স্বল্প খরচে প্লেটলেট কাউন্ট সহ কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, ইলেক্ট্রোলাইট প্রভৃতি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে পারবে। এর ফলে সরকারী স্বাস্থ্যসেবা আরও বৃদ্ধি পেল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন-

গত তিন মাসে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আল্ট্রাসনোগ্রাফী মেশিন, ব্লাড ব্যাংক, আইসোফ্লুরেথেন যুক্ত অ্যানেসথেসিয়া মেশিন চালুর পর এবারে ব্লাড সেল কাউন্টার ও ইলেকট্রোলাইট অ্যানালাইজার চালুর মাধ্যমে বোয়ালখালীর প্রান্তিক জনগনের সরকারী স্বাস্থ্যসেবা ইতোমধ্যে অনেকাংশে উন্নীতকরণ সম্ভব হয়েছে।
এর পাশাপাশি আমরা ল্যাবরেটরি হাসপাতালের সামগ্রিক সেবা উন্নীতকরণে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে জানাচ্ছি। এ সকলের জন্যে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্সসহ সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রতি সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পাইকগাছায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন।

পাইকগাছায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তন কেন্দ্রে উক্ত ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন।

এসময়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুবর রহমান, গাইনি ডাঃ সুজন কুমার সরকার, মেডিকেল অফিসার ডাঃ শাকিলা আফরোজ, ডাঃ মোঃ ইব্রাহীম গাজী, মোঃ সরোয়ার হোসেন প্রমুখ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ মাহবুবর রহমান জানান, জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের ১টি করে নীল

ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুদের ১টি করে লাল ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। উপজেলায় মোট ২৪১টি টিকা কেন্দ্রে ৬-১১ মাস বয়সী ২ হাজার ৮৯০ জন শিশুকে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ২২ হাজার ৭২ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের সেবা প্রদান করা হবে।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করলেন মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। শনিবার সকালে নগরীর চসিক জেনারেল হাসপাতালে (মেমন-২) এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মেয়র। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র বলেন, জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে চসিক। ক্যাম্পেইনে বাদ পড়া শিশুদের চসিকের ব্যবস্থাপনায় চসিক পরিচালিত দাতব্য চিকিৎসালয়, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইপিআই কেন্দ্রে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। শিশুদের রাতকানা রোগ প্রতিরোধ এবং অপুষ্টি ও মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষার জন্য মা, বাবা, অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মেয়র।

মেয়র জানান, এবারের ক্যাম্পেইনে ৫ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এর মধ্যে ৬-১১ মাসের ৯০ হাজার এবং ১২-৫৯ মাসের ৪ লাখ ৭০ হাজার শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়াবে চসিক। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় উক্ত ক্যাম্পেইন সফল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার করার লক্ষ্যে ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। যথাক্রমে কেন্দ্রীয় এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, জোন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে এ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভা আয়োজন, ওয়ার্ড পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ, প্রতিটি ওয়ার্ডে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল বিতরণ, ব্যাপকভাবে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ, সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, মসজিদের খতিব ও ইমাম সাহেবদের দিয়ে প্রচারণার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ।
শনিবার (১৫ মার্চ) চসিকের সাতটি ইপিআই জোনের আওতায় ৪১ ওয়ার্ডে ১ হাজার ৩২১টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইন চলবে। ৬-১১ মাসের শিশুকে ১ লাখ ইউনিটের নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাসের শিশুকে ২ লাখ ইউনিটের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর আগে ২০২৪ সালের ১ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে চসিকের অর্জনের হার ৯৯ শতাংশ।

৬-১১ মাসের ৮৮ হাজার ৫৯০ শিশুর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৭ হাজার ৯৫৭ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অন্যদিকে ১২-৫৯ মাসের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ৭১ হাজার ৯৫০ শিশু। এর বিপরীতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৯৫৯ শিশুকে ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছিল। অর্জনের হার ৯৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব আশরাফুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ইমাম হোসেন রানা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ হোসনে আরা, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম, জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দ দিদারুল মনির, ডাঃ মামুন রশিদ, ডা. মিজানুর রহমান।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ