আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফ্যাসিস্টের প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে মুহাম্মদ শাহেদ

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মদ শাহেদ বলেছেন, খুনি হাসিনা পালিয়ে গেছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা রয়ে গেছে। ফ্যাসিবাদের সহযোগী এই প্রেতাত্মারা দেশ ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। এটি শুধু বিএনপির একার দায়িত্ব নয়, বরং দেশপ্রেমিক সকল রাজনৈতিক দল ও সাধারণ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

তিনি আজ মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) পাঁচলাইশ থানা যুবদলের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণকালে মুরাদপুরস্থ আপন গার্ডেন কমিউনিটি সেন্টারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। অসহায় ও নিম্ন আয়ের লোকজনের মধ্যে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এসব ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া বিএনপি সবসময় দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করে এসেছে। এ দেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য তিনি আমৃত্যু কষ্ট করে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, জনগণের হারানো ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে, যাতে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার করা যায়।

পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী সাকির সভাপতিত্বে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন রাসেল, রাজন খান, ওমর ফারুক, প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন মুকুল, সহ-দপ্তর সম্পাদক মো. সাহেদ, জহিরুল ইসলাম জহির, সহ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক হামিদুল হক চৌধুরী, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ কামাল উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য প্রফেসর সাইদুল হক সিকদার, পাঁচলাইশ থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রিদোয়ান হোসেন জনি, শাহিদুল ইসলাম মাসুম, এনামুল হক চৌধুরী কামাল, শহিদুল ইসলাম কুট্টি, মিল্লাত হোসেন, হুমায়ূন আহমেদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. জাবেদ হোসেন, মোহাম্মদ নাসির, আরিফুল ইসলাম ইলু, মো. হাসান তোফা, কোরবান আলী রহিম, মাইনুদ্দিন মামুন, মোহাম্মদ রফিক, মোহাম্মদ ইউনুস, মো. মোরশেদ, সোলায়মান হোসেন মনা, জাবেদ হোসেন, মোহাম্মদ হানিফ, তোফাজ্জল হোসেন, খোকন মোল্লা, আবুল বাশার, জসিম উদ্দিন তালুকদার, মো. ফারুক, নুরুল হক, মো. সুমন, হানিফ রানা, রাসেল আহমেদ, মাসুদ রানা, জীবন মিয়া, মোহাম্মদ জাহিদ, সানি আহমেদ, মোহাম্মদ হোসাইন, মো. মাসুদ, মোহাম্মদ জসিম, মাইনুদ্দিন, রাজু রায়হানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান জামায়াতে যোগ দিলেন

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান। শনিবার ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াত আমিরের উপস্থিতিতে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নীতি ও আদর্শ, দেশপ্রেম এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অবিচল অবস্থানের প্রতি গভীর আস্থা ও সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি সংগঠনের প্রাথমিক সহযোগী সদস্য ফরম পূরণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করেন।

আওয়ামিলীগের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জুলফিকার মিয়ার বিএনপিতে যোগদান।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

লালমোহন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জুলফিকার মিয়া বিএনপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি ঢাকায় বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর বাসায় গিয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদান সম্পন্ন করেন।

এ সময় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ তাকে দলে স্বাগত জানান। দলীয় একটি সূত্র বলছে, আগাম রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে সামনে রেখে জুলফিকার মিয়ার এই যোগদান বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করবে বলে সকলে মনে করছেন।

অন্যদিকে বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে আওয়ামিলীগের এমপি নুরনবী চৌধুরী শাওন কর্তৃক নির্যাতিত, নিষ্পেষিত বিএনপির অনেক ত্যাগি নেতারা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন- বিএনপির এমন দিন আসবে কখনো চিন্তাও করিনি। তবে কী আওয়ামিলীগ দিয়ে বিএনপির ত্যাগীদের আবার নির্যাতনের স্বীকার করতে চায় মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ? কেন আমরা এতদিন নির্যাতিত ছিলাম? এই দিন দেখার জন্য?

এ বিষয়ে জুলফিকার মিয়াকে একাধিকবার ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ দেখায়। তবে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তার এই সিদ্ধান্ত ঘিরে আলোচনা সমালোচনার শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে; এভাবে আওয়ামিলীগ দ্বারা বিএনপি সাজাতে থাকলে ভোটের মাঠে এর প্রভাব বিস্তার করবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ