আজঃ রবিবার ১৩ জুলাই, ২০২৫

চট্টগ্রামে রেল ও সড়কপথ অবরোধ করে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ।

নিজস্ব প্রতিবেদক

সাত দফা দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগরীতে রেললাইনে ট্রেন আটকে ও সড়ক অবরোধ করে প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের কারণে কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও উত্তর চট্টগ্রামের রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

আটকে পড়া ট্রেন ও সড়কে বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের গরমের মধ্যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। এ সময় তারা ঢাকা ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী ‘পর্যটক এক্সপ্রেস’ ট্রেন আটকে দেন। একইসঙ্গে রেললাইন সংলগ্ন সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে যানবাহন আটকে সড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগবিধি সংশোধন, ব্যবহারিক ক্লাসের প্রশিক্ষক পদের নাম ‘ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর’ না করাসহ সাত দফা দাবিতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি শুরু করেন।
আটকে পড়া পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আলামিন বলেন, আমরা তো যাত্রী, সকাল ৬টার দিকে আমরা ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছি। রোজা-রমজানের দিন খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমরা রোজাদার মানুষ। ছোট বাচ্চারা কষ্ট পাচ্ছে। আমরা প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে আটকে আছি।
হোসাইন শামীম নামে আরেক যাত্রী বলেন, সকাল ৬টায় ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে আমরা চট্টগ্রাম পৌঁছেছি সাড়ে ১১টার দিকে। আমরা যাব কক্সবাজার। আড়াই ঘণ্টার মতো এখানে আটকে আছি।

ফেরদৌসি আক্তার নামে আরেক যাত্রী বলেন, রেলের যাত্রীদের আটকে রেখে কি দাবি আদায় হবে? আমরা অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি। যদি বাসের কাউন্টার কাছে থাকতো আমি গাড়ি নিয়ে চলে যেতাম। আমার হাসবেন্ডও অসুস্থ।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, দুই নম্বর গেটে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা কক্সবাজারগামী একটি ট্রেন আটকে দিয়ে আন্দোলন করছে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ট্রেনটি সেখানে আটকে আছে। ওই রুট দিয়ে নাজিরহাটগামী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনও চলাচল করে। এখন ওই রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে।

এদিন দুপুর ১২টায় নগরীর দুই নম্বর গেইট এলাকায় প্রথমে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন প্রায়ই দেড় শতাধিক পলিটেকনিক শিক্ষার্থী। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, শ্যামলী, এমআইটিসহ বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে যোগ দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘নন টেক, মুক্ত করো, কারিগরি পথ খুলো, ২৪ আমার অহঙ্কার, কারিগরি আন্দোলন আমার অহঙ্কার, মামা এখন মাস্টার, মামার বাড়ির আবদার, এক, দুই, তিন, চার, কারিগরিতে দুর্নীতি ছাড়’- সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি হলো- জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরসহ সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য সকল বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অতি শিগগিরই স্থাপন করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির আবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা অনতিবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে ও অবিলম্বে অযৌক্তিক রায় বাতিল করে পূর্বের নিয়োগ পদ্ধতি বহাল রাখতে হবে।
বিক্ষোভে আসা চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ইফতেখার উদ্দিন বলেন, আমরা চার বছর কষ্ট করে যে ডিপ্লোমা পাশ করব। আর ওরা এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে এসেছে আমাদের পড়াতে। ওরা কি জানে? ওরা ইঞ্জিনিয়ারিং এর কি জানে? ওরা সর্ব্বোচ্চ ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি পড়াবে আর কি। ওদের কীভাবে ৩০ শতাংশ কোটা দেয়।

মাহাদি আফসার নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এখানে রাতের আঁধারে নিয়োগ হয়েছে, যেটা ২০১৩ সালে হয়েছিল। তারা জেনারেল লাইন থেকে এসেছিল। আমরা চার বছর ধরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি। ডিপ্লোমা শেষ করার পর সরকারি চাকরিতে দশম গ্রেড আমাদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই দশম গ্রেডের চাকরি শুধু ডিপ্লোমা পাশ শিক্ষার্থীদের। যারা এসএসসি বা এইচএসসি পাশ তারা কখনও দশম গ্রেডে আসতে পারবে না। তাদের গ্রেড ১৫ বা ১৬। তাদের নিয়োগ হয়েছে রাতের আঁধারে। আমরা এ ভুয়া নিয়োগ মানি না। জেনারেলে পড়ে যদি ওরাই আমাদের জায়গা নেই, তাহলে আমরা কেন ডিপ্লোমা পড়ছি। একজন এসএসসি পাশ করা ছেলে কীভাবে একজন ডিপ্লোমার শিক্ষার্থীকে পড়াবে এ যুক্তি কি মানা যায়?

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের কিছু দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছিল। দুই ঘণ্টা তারা সড়ক অবরোধ করে রেখিছিল। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। দুপুর আড়াইটার দিকে তারা সড়ক ছেড়ে দেন। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রামে কুপিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করে স্ত্রীকে খুন, পালালো স্বামী

চট্টগ্রাম মহানগরীতে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে শরীর থেকে মাথা কেটে বিচ্ছিন্ন করে খুনের পর জানালার গ্রিল কেটে পালিয়ে গেছে স্বামী। নিহত ফাতেমা বেগম (৩২) পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটিতে আর কে টাওয়ার নামে একটি ভবনের দশম তলার এক বাসায় স্বামীসহ থাকতেন। তার স্বামী মো. সুমন পেশায় গাড়িচালক। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটিতে এ ঘটনা ঘটেছে।

বায়েজিদ বোস্তামি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, রাত আনুমানিক ১২টার পরের ঘটনা। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এমনভাবে কুপিয়েছে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর পালানোর সময় ভবনের অন্যান্য ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা সুমনকে ধরে ফেলে। তাকে নিচতলায় একটা কক্ষে আটকে রাখা হয়। পুলিশ পৌঁছানোর আগেই সেখানে জানালার গ্রিল কেটে তিনি পালিয়ে যান।
কী কারণে হত্যাকাণ্ড জানতে চাইলে ওসি বলেন, ভবনের বাসিন্দারা বলছেন, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। গত (বুধবার) রাতেও ঝগড়ার মধ্যে এ খুনের ঘটনা ঘটে।নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলে ওসি জানান।

বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রয়োগ মানুষের জীবনযাত্রা সহজ করে: চুয়েট ভিসি

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া মহোদয় বলেছেন, বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং চিকিৎসাবিদ্যা ও প্রকৌশলের মাঝে একটি সেতুর ন্যায় কাজ করে। এখানে চিকিৎসাবিদ্যা ও জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন সমস্যা প্রকৌশল বিদ্যা প্রয়োগ করে সমাধান করা হয়। চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রকৌশলের প্রয়োগ ঘটিয়ে স্বাস্থ্যসেবা, রোগ নির্ণয় পদ্ধতি ও মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজ করার প্রচেষ্টা চালানো হয়।

রোগ নিয়ে গবেষণা, মেডিকেল ইকুয়েপমেন্টের উন্নয়ন, রোগ নির্ণয়ের নতুন ও কার্যকরী পদ্ধতি আবিষ্কার, আর্টিফিশিয়াল প্রস্থেটিকস ডিজাইনিং এবং চিকিৎসাক্ষেত্রের সামগ্রিক মান উন্নয়ন করার নিরন্তর প্রচেষ্টা চালানো হয় বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। দেশের স্বাস্থ্য খাতকে সুসংগঠিত করতে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো বিভাগের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। চুয়েটের বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ আগামী দিনে শিক্ষা-গবেষণায় আরো অনেক অবদান রাখতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

বৃহস্পতিবার চুয়েটের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (বিএমই) বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত “বিএমই বিটস-২০২৫” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন, আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মানজারে খোরশেদ আলম, এপিক হেলথ কেয়ার এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী এসএম লোকমান কবির। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়েটের বিএমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. নিপু কুমার দাশ। আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী তানভীর আহমেদ ও বিএমই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মোঃ ফজলুল করিম খন্দকার। বিদায়ী ব্যাচের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন হাফসা খান ত্রিনা, আরিফা তানজিম ও জোবায়ের বিল্লাহ অর্নব। এতে সঞ্চালনা করেন বিএমই ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মুসারাত হাবিব।

প্রসঙ্গত, বিএমই বিটস ২০২৫ অনুষ্ঠানের শুরুতে একটি র‌্যালী বিএমই বিভাগ থেকে শুরু হয়ে অডিটোরিয়াম শেষ হয়। এরপর কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। দুপুরে “ফটোনিক্স ফর ইমার্জিং এপ্লিকেশন ইন বায়োমেডিক্যাল ইমেজিং এন্ড সেনসিং” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে কী-নোট স্পিকার ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী তানভীর আহমেদ। এছাড়া, উক্ত অনুষ্ঠানে ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের বিদায় দেওয়া হয়। এতে স্পন্সর হিসেবে ছিল পার্টিক্যালস বাংলাদেশ লিমিটেড এবং ডেসকো।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ