
“আল্লাহ সুবহানাহুতাআ’লার আউলিয়ায়ে কেরাম-ইনসানে কামেলগণের আদর্শ থেকে বিচ্ছুত হয়ে মুসলিম উম্মাহ যে তক্ চলে গেছেন,যার ফলশ্রুতিতে আজ জিল্লতিপূর্ণ একটি অবস্থার মধ্যে পুরো মুসলিম উম্মাহ নিমজ্জিত হয়েছে-ফিলিস্তিনের মধ্যে হাজার হাজার অবরুদ্ধ শিশু-মাসুম শিশু আজকে হত্যার শিকার হয়ে পড়েছে। মুসলিম উম্মাহ শুধু তাকিয়ে দেখছে,কোনো প্রতিকার করা তাদের সাধ্যের অধিক হয়ে গেছে।”
পবিত্র “লাইলাতুল কদর” রজনীতে বাংলাদেশের উপর,বিশ্ববাসীর উপর,মুসলিম উম্মাহর উপর রহমত বর্ষণ করার জন্য মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে ফরিয়াদ করে,দরবারে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-র গাউসিয়া হক মনজিল-এ বিশ্ব অলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-র পবিত্র মাজার শরীফে কেন্দ্রীয় মিলাদ- কিয়াম শেষে আখেরী মুনাজাতে আওলাদে রাসূল (সাঃ),আওলাদে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ),রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মঃ)
এই কথা বলেন।

তিনি মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে বলেন,
“আপনার মহান আউলায়ে কেরাম-ইনসানে কামেলগণের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এই বিশ্বের ভূপৃষ্ঠ থেকে সমস্ত জুলম কে যাতে দূরীভূত করতে পারে সেই তওফিক মুসলিম উম্মাহ কে দান করুন।
সাম্য-শান্তি-দয়ার একটি- ন্যায়বিচারের একটি-বিশ্ব,যাতে এই মুসলিম উম্মাহ উপহার দিতে পারে, তাদেরকে সেই তওফিক দান করুন। মিথ্যা, আত্মগৌরবের যে নেশার মধ্যে বুদ হয়ে আছে, এই অবস্থা থেকে আমাদেরকে পরিত্রাণ দান করুন। এই অহমিকাপূর্ণ অবস্থান পরিত্যাগ করে বিশ্বমানবতার খাদেম হিসেবে মুসলিম উম্মাহ যাতে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেই তৌফিক দান করুণ।”
তিনি বিশ্বের প্রতিটি মজলুমের, প্রতিটি মানব সন্তানের মুক্তি কামনা করেন,তিনি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মজলুমের মুক্তি কামনা করেন।

তিনি এই পবিত্র রমজান মাসের আখেরী জুমার রাত-পবিত্র লাইলাতুল কদর,এই দুই মহান নিয়ামত একসাথে পাওয়ায় শোকরিয়া আদায় করে এই পবিত্র রাতে সমস্ত নিয়ামাত, ফজিলত,বারাকাত মনজুর করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।
এই পবিত্র রাতে যে রহমত নাজিলের ঘোষণা আল্লাহ সুবহানাহুতাআ’লা দিয়েছেন,সকলে যাতে সে রহমতের ভাগীদার হতে পারে, সে খোশনসিবি সকলের জন্য মনজুর করার জন্য তিনি ফরিয়াদ করেন।
তিনি দেশে বিদেশে অবস্থান রত সকল আশেক ভক্ত জায়েরীণদের এবং সকল কর্মজীবীদের নিজ নিজ কর্মে তরক্কীর জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।
তিনি তার মুনাজাতে বলেন,”আপনার বান্দারা হুজুর গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর গোলাম- বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (কঃ)-র খাদেমরা নিজেদের জীবনের নানান দুঃখ, কষ্টকে দূরে রেখে আপনার-আপনার পেয়ারা হাবিব (সাঃ)-র সন্তুষ্টি লাভের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুর্শিদের কদমে হাজির হয়েছেন। সকলকে মনজিলে মকসুদে কবুল করুন।সকলের রিযিকে আপনি বরকত দান করুন। সকলকে শারীরিক সুস্থতা দান করুন।”
মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আগত আশেক ভক্ত জায়েরীণগণ মিলাদ কিয়াম,তাওয়াল্লাদে গাউসিয়া মাইজভাণ্ডারীয়া শরীফ পাঠ, নফল নামাজ আদায় সহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগিতে রাতভর নিজেদের মশগুল রাখেন।
মহান লাইলাতুল কদর এর দিনে মাইজভাণ্ডার শরীফ গাউসিয়া হক মনজিল এর ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং পবিত্র লাইলাতুল কদর
রজনীতে আগত আশেক ভক্ত জায়েরীণদের জন্য তবাররুকাত এবং সেহরি পরিবেশন করা হয়।