আজঃ শুক্রবার ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

আউলিয়ায়ে কেরাম-ইনসানে কামেলগণের আদর্শ হতে বিচ্যুত হওয়ার ফলশ্রুতিতে মুসলিম উম্মাহ জিল্লতি পূর্ণ অবস্থায় নিমজ্জিত হয়েছে।

বরুন আচায্য বলাই

রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মঃ)ঃ---

“আল্লাহ সুবহানাহুতাআ’লার আউলিয়ায়ে কেরাম-ইনসানে কামেলগণের আদর্শ থেকে বিচ্ছুত হয়ে মুসলিম উম্মাহ যে তক্ চলে গেছেন,যার ফলশ্রুতিতে আজ জিল্লতিপূর্ণ একটি অবস্থার মধ্যে পুরো মুসলিম উম্মাহ নিমজ্জিত হয়েছে-ফিলিস্তিনের মধ্যে হাজার হাজার অবরুদ্ধ শিশু-মাসুম শিশু আজকে হত্যার শিকার হয়ে পড়েছে। মুসলিম উম্মাহ শুধু তাকিয়ে দেখছে,কোনো প্রতিকার করা তাদের সাধ্যের অধিক হয়ে গেছে।”

পবিত্র “লাইলাতুল কদর” রজনীতে বাংলাদেশের উপর,বিশ্ববাসীর উপর,মুসলিম উম্মাহর উপর রহমত বর্ষণ করার জন্য মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে ফরিয়াদ করে,দরবারে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-র গাউসিয়া হক মনজিল-এ বিশ্ব অলি শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-র পবিত্র মাজার শরীফে কেন্দ্রীয় মিলাদ- কিয়াম শেষে আখেরী মুনাজাতে আওলাদে রাসূল (সাঃ),আওলাদে গাউসুল আজম মাইজভাণ্ডারী (কঃ),রাহবারে আলম হযরত সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী (মঃ)
এই কথা বলেন।

তিনি মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ জানিয়ে বলেন,
“আপনার মহান আউলায়ে কেরাম-ইনসানে কামেলগণের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে এই বিশ্বের ভূপৃষ্ঠ থেকে সমস্ত জুলম কে যাতে দূরীভূত করতে পারে সেই তওফিক মুসলিম উম্মাহ কে দান করুন।
সাম্য-শান্তি-দয়ার একটি- ন্যায়বিচারের একটি-বিশ্ব,যাতে এই মুসলিম উম্মাহ উপহার দিতে পারে, তাদেরকে সেই তওফিক দান করুন। মিথ্যা, আত্মগৌরবের যে নেশার মধ্যে বুদ হয়ে আছে, এই অবস্থা থেকে আমাদেরকে পরিত্রাণ দান করুন। এই অহমিকাপূর্ণ অবস্থান পরিত্যাগ করে বিশ্বমানবতার খাদেম হিসেবে মুসলিম উম্মাহ যাতে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেই তৌফিক দান করুণ।”

তিনি বিশ্বের প্রতিটি মজলুমের, প্রতিটি মানব সন্তানের মুক্তি কামনা করেন,তিনি জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি মজলুমের মুক্তি কামনা করেন।

তিনি এই পবিত্র রমজান মাসের আখেরী জুমার রাত-পবিত্র লাইলাতুল কদর,এই দুই মহান নিয়ামত একসাথে পাওয়ায় শোকরিয়া আদায় করে এই পবিত্র রাতে সমস্ত নিয়ামাত, ফজিলত,বারাকাত মনজুর করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।

এই পবিত্র রাতে যে রহমত নাজিলের ঘোষণা আল্লাহ সুবহানাহুতাআ’লা দিয়েছেন,সকলে যাতে সে রহমতের ভাগীদার হতে পারে, সে খোশনসিবি সকলের জন্য মনজুর করার জন্য তিনি ফরিয়াদ করেন।
তিনি দেশে বিদেশে অবস্থান রত সকল আশেক ভক্ত জায়েরীণদের এবং সকল কর্মজীবীদের নিজ নিজ কর্মে তরক্কীর জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ফরিয়াদ করেন।

তিনি তার মুনাজাতে বলেন,”আপনার বান্দারা হুজুর গাউছুল আজম মাইজভান্ডারীর গোলাম- বিশ্বঅলি শাহানশাহ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভান্ডারী (কঃ)-র খাদেমরা নিজেদের জীবনের নানান দুঃখ, কষ্টকে দূরে রেখে আপনার-আপনার পেয়ারা হাবিব (সাঃ)-র সন্তুষ্টি লাভের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে মুর্শিদের কদমে হাজির হয়েছেন। সকলকে মনজিলে মকসুদে কবুল করুন।সকলের রিযিকে আপনি বরকত দান করুন। সকলকে শারীরিক সুস্থতা দান করুন।”

মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে আগত আশেক ভক্ত জায়েরীণগণ মিলাদ কিয়াম,তাওয়াল্লাদে গাউসিয়া মাইজভাণ্ডারীয়া শরীফ পাঠ, নফল নামাজ আদায় সহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগিতে রাতভর নিজেদের মশগুল রাখেন।

মহান লাইলাতুল কদর এর দিনে মাইজভাণ্ডার শরীফ গাউসিয়া হক মনজিল এর ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয় এবং পবিত্র লাইলাতুল কদর
রজনীতে আগত আশেক ভক্ত জায়েরীণদের জন্য তবাররুকাত এবং সেহরি পরিবেশন করা হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

এনায়েতপুর ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত।

হাটহাজারী থানার এনায়েতপুর ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রায় একশত প্রতিযোগি অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠান সংসদের সভাপতি বিধান বনিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শুভাশীষ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রজধাম রমণী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পম্পা বসু, ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পংকজ মিত্র উজ্জ্বল, পুতুল দে, তাপস দে, সুমিত্র সেন রাজু, বিকাশ চৌধুরী, বিকাশ বণিক, তুষার দে, সুকান্ত ভৌমিক। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এই সংসদ শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি অনুভব, একটি স্মৃতি, এবং আমাদের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। যখন এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তখন কিছু স্বপ্নবান মানুষ এই বিশ্বাসে এগিয়ে এসেছিলেন যে, ব্রজধামের স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে, নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।

আজ আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, ব্রজধাম স্মৃতি সংসদ তার সেই আদর্শ ও লক্ষ্য থেকে এক চুলও সরে আসেনি। নাটক, সংগীত, আবৃত্তি, লোকজ সংস্কৃতি সবকিছুতেই আমাদের সংসদ অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই পথচলা সহজ ছিল না, তবে সদস্যদের নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও একাগ্রতার ফলে আজ আমরা এই অবস্থানে পৌঁছেছি। আমরা চাই, আগামী দিনগুলোতে আমাদের এই সাংস্কৃতিক পরিবার আরও বিস্তৃত হোক, আরও প্রাণবন্ত হোক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তুষার সেন, কাজল দে, নিলয় দে, মুন্না চৌধুরী, প্রণাম দে, সুকান্ত ভৌমিক, অন্তু পাল, নিশু পাল, অন্তু সেন, প্রান্ত চৌধুরী, শান্ত চৌধুরী, অন্তু চৌধুরী, লিংকন দে, মুগ্ধ দাশ, সিপ্ত দে, বাবু দে, অর্নব বনিক, প্রশান্ত মজুমদার, বিজন শীল, অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী তুর্না দে তৃষা, তৃষা চৌধুরী, রিমু চৌধুরী, শান্তনা দে, স্বীকৃতি বনিক, দিয়া দে, শ্রেয়া মজুমদার প্রমূখ।

যেখানে উম্মাহর দেহে যন্ত্রণা, সেখানে ফিলিস্তিন এক রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ড।

“মুমিনগণ এক দেহের মতো—যদি দেহের এক অঙ্গ ব্যথিত হয়, গোটা শরীর তার ব্যথায় কাঁপে।” — (হাদীস, সহীহ মুসলিম।ফিলিস্তিন—পৃথিবীর মানচিত্রে ক্ষুদ্র এক ভূখণ্ড। অথচ ইতিহাসের সবচেয়ে ভারী অশ্রুগুচ্ছে নাম লিখিয়ে রেখেছে বহু শতাব্দী ধরে। গাজার ধূলোমলিন বাতাসে আজ আর বালুকণার ঘ্রাণ নেই, সেখানে শুধু বারুদের গন্ধ। আকাশে প্রজাপতির বদলে ড্রোন, শিশুর খেলনার স্থানে রকেটের ধ্বংসাবশেষ। ফিলিস্তিন আজ একটি জাতির নয়, বরং গোটা উম্মাহর হৃদয়ে গেঁথে থাকা এক দীর্ঘতর আর্তনাদ।

প্রতিদিন সূর্য ওঠে, কিন্তু গাজার মানুষ দেখে না আলো—দেখে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া স্বজনের হাত। প্রতিটি ভোর যেন এক নতুন শোকাবহ অধ্যায়। ঘুম ভাঙে বোমার শব্দে, আবার ঘুম পাড়ায় কান্নার চাপে। মৃত শিশুদের জন্য কাঁদে পৃথিবীর বিবেক, আর মুসলিম উম্মাহর মাঝে জন্ম নেয় এক প্রশ্ন—আমরা কী এখনো এক দেহ, নাকি শুধুই নামের উম্মাহ?

রাসূল (সা.) বলেছেন, “তোমরা যদি এক দেহের মতো না হও, তবে তোমাদের ঈমান অপূর্ণ।” কিন্তু আজ ফিলিস্তিন যখন পুড়ে যায়, আমরা দাঁড়িয়ে থাকি কেবল নীরব প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে। বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজস্ব স্বার্থের পাল্লায় ফিলিস্তিনকে মাপে। আর মুসলিম রাষ্ট্রগুলো—তারা হয়তো সম্মেলন ডাকে, বিবৃতি দেয়, দোয়া করে। কিন্তু ফিলিস্তিনের শিশুরা কি তাতে বাঁচে?

আমরা কি ফিলিস্তিনিদের জন্য শুধু আহারে ব্যস্ত, নাকি অন্তরে তাদের বেদনা বয়ে চলেছি? যদি তারা আমাদের ভাই হয়, তবে কেন আমাদের প্রতিবাদ এত মৃদু? কেন আমাদের জবান এত জড়তা পূর্ণ, কেন আমাদের হৃদয় এত নির্লিপ্ত?

এই কলাম কোনো সাময়িক রাজনীতি বা সংবাদ বিশ্লেষণ নয়—এ এক অভ্যন্তরীণ আত্মপ্রকাশ। এক লেখকের নয়, এক মুসলিমের হাহাকার। ফিলিস্তিনকে আজ দয়ায় নয়, দায়িত্বে দেখতে হবে। এই ভূমি আমাদের কেবল দুঃখ দেয় না—এ আমাদের ঈমানের আয়না। সেখানে দেখা যায়, আমরা কতটা মুসলিম, কতটা মানুষ।

গাজা যখন পোড়ে, তখন মক্কার বাতাসও কাঁদে।
জেরুজালেম যখন কাঁদে, তখন মদিনার মসজিদও শিউরে ওঠে।
কিন্তু আমরা কি কান পেতে শুনি সেই কান্না?

‘এক উম্মাহ, এক দেহ’—এই পবিত্র বাণী যেন আর কেবল হাদীসের পাতায় না থাকে।
এই বাণী হোক হৃদয়ের স্পন্দন। যেন ফিলিস্তিনের কান্না আমাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়,
জেগে তোলে আমাদের বিশ্বাস, উদ্দীপনা, প্রতিবাদ—আর সর্বোপরি, ভালোবাসা।

কারণ ফিলিস্তিন এখন শুধু নির্যাতনের নাম নয়, এ এক রক্তাক্ত হৃৎপিণ্ড, যা উম্মাহর বুকে প্রতিনিয়ত ধুকপুক করে।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ