
যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় সারাদেশের ন্যায় ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করেছে চট্টগ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) এর তত্ত্বাবধানে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে বিভিন্ন মসজিদে একই সময়ে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে জমিয়াতুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদের ঈদগাহ ময়দানে ঈদ উল ফিতরের প্রথম জামাত সকাল ৮ টায় এবং সকাল পৌনে নয়টায় ২য় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাতে ইমামতি করেছেন জমিয়াতুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী এবং দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেছেন জাতীয় মসজিদ জমিয়াতুল ফালাহ্’র পেশ ইমাম।
সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর ন্যায় বাংলাদেশেও ২৯ রোজা শেষে ঈদ উদযাপিত হ”েছ। লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান আল্লাহর কাছ থেকে ক্ষমা ও অনুগ্রহ লাভের আশায় মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর ঈদের আনন্দ আয়োজনে শামিল হয়েছেন।
ঈদের প্রথম জামাতে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডাঃ শাহাদাত হোসেন, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দসহ নানান শ্রেণি পেশার মানুষ কাতারবন্দি হয়ে নামাজ আদায় করেন। এসময় মুসল্লীরা দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

নামাজ আদায় শেষে চসিক মেয়র ১৯৭১, ১৯৯০ এবং ২০২৪ এর সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহিদ ও আহতদের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য মানুষ বার বার বুকের রক্ত দিয়েছে এবং অজস্র মানুষ শহিদ হয়েছে। জনমানুষের প্রত্যাশিত বৈষম্যহীন ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হোক।