আজঃ বৃহস্পতিবার ১৭ এপ্রিল, ২০২৫

নেত্রকোনায় সেই ধর্ষক এখন কারাগারে।

মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোনা।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় পিতার বিরুদ্ধে ১৫ বছর বয়সী নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় অভিযুক্ত পিতা আলাল উদ্দিনকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফাড়ংপাড়া গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে আলাল উদ্দিনকে কারাগারে প্রেরণ করেন। এতথ্য নিশ্চিত করেন থানার ওসি মাহমুদুল হাসান।

এরআগে গত ২৫ মার্চে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার ইটভাটা থেকে অভিযুক্ত পিতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।

মামলার এজাহার সূত্রে, ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে তার বাবা দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিল। গত পাঁচ মাস আগে মেয়ের গলায় ছুড়ি ঠেকিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ওই দিনের পরে একই রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা কারো কাছে বললে পরিবারের সবাইকে খুনের হুমকি দিতো অভিযুক্ত পিতা। প্রাণ ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলেনি ধর্ষণের স্বীকার হওয়া কিশোরী মেয়ে।

তবে ঘটনার প্রায় কয়েক মাস যেতেই মেয়ের শরীরের পরিবর্তন দেখা দেয়। গর্ভবতী মেয়েদের মতো বারবার বমিসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিলে বাবা দুর্গাপুর ফারিহা ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করায়। পরে মেয়ের গর্ভে সন্তান থাকার বিষয়টি জানতে পারে। এরপর কৌশলে মেয়েকে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সকলের অজান্তে গর্ভপাত ঘটায়।

গর্ভপাত ঘটানোর পরে মেয়ে শারীরিকভাবে একটু সুস্থ্য হয়। আবারও মেয়ের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করার চেষ্টা চালায় তার বাবা। ভুক্তভোগী বিষয়টি তার বড় বোনকে জানায়। এরপরই ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারের অন্যান্যরা মা সহ অন্যান্যদের জানাজানি হয়।

এ দিকে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানির পর থেকেই অভিযুক্ত বাবা আলাল উদ্দিন গা ডাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মেয়ের মা বলেন, এ ঘটনা আমার বড় মেয়ের কাছ থেকে শুনছি। আমি এইসব নিয়ে কথা বলতেও পারি নাই কোনদিন। আমাকেসহ ভুক্তভোগী মেয়েকে চোরের মতো মারধর করতো। এ ঘটনার সাথে আমার সতিনও জড়িত আছে। তিনি এর বিচার চান।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পরেই তাঁকে ধরতে বিভিন্ন কায়দায় অভিযান শুরু করেছি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার ইটভাটা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০), তৎসহ ৩১৩ দঃ বিঃ ১৮৬০, (পিতা কর্তৃক মেয়েকে ধর্ষণ) মামলার গ্রেফতারকৃত আলাল উদ্দিন এজাহারনামীয় আসামিম। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ (শুক্রবার) দুপুরের দিকে জেলা আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন বলে জানান ওসি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

সারাদিন ভাংড়ি সংগ্রহ করে চলে এদের জীবন।

সারাদিন বিভিন্ন জায়গায় ভ্যান নিয়ে ঘুরে এরা। চলে যায় একেবারে গ্রামের ভিতর। পুরাতন কাগজ, বই, কার্টুন, পুরাতন টিন, নষ্ট বোতল, নষ্ট প্লাস্টিকের কোটা, ইত্যাদি বিভিন্ন রকম মাল সংগ্রহ করে ভ্যানে নিয়ে আসে তাদের মহাজনের কাছে। মহাজন সেগুলো একটা দাম ধরে কিনে নেয়।

কথা হলো শহিদুল নামের একজনের সাথে। মোটামুটি যা হয় তাই দিয়ে চলে তাদের সংসার । তারপর মহাজন সেগুলো বিভিন্ন ভাগে ভাগ করেন। কাগজ আলাদা, টিন আলাদা, লোহা আলাদা। মহাজনের রয়েছে ৩ জন লোক। তাদের কাজ এগুলো বাছাই করা বস্তায় ভর্তি করে ওজন দেয়া। তারপর সেগুলো যাবে রাজশাহী বিসিক এলাকায়, কিছু প্রতিষ্ঠান এগুলো কিনে নিয়ে। তারা আবার এগুলো নিয়ে, মেশিনের সাহায্যে কুচি, কুচি করে ঢাকাতে পা ঠায়। এভাবেই চলছে তাদের জীবন। ঢাকা যাবে আবার এগুলো বিভিন্ন জায়গায়। এসব দিয়ে আবার নতুন করে জিনিস তৈরি করা হবে। এই ভাবে চলে কিছু মানুষের জীবন জিবিকা।এই পুরাতন জিনিস গুলো আবার নতুন রুপে বাজারে আসবে, এই রিসাইকেল হয়ে ।

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন স্বামীসহ দুজনের ফাঁসির আদেশ।

চট্টগ্রামে খুনের মামলায় দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন একটি আদালত। একই রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ সিরাজাম মুনীরার আদালত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের মামলায় এসব আদেশ দেন। দণ্ডিত দুজন হলেন, মো. ফরহাদ (৩২) ও সেলিম মনির (৩৭)। তাদের দুজনেরই বাড়ি ভোলা জেলায়।

অন্যদিকে, একই আদেশে লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ জানান, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত স্বামী ফরহাদ ও তার মামা সেলিম মনিরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একই রায়ে আদালত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অন্যদিকে, লাশ গুম করার অভিযোগে প্রত্যেক আসামিকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডসহ অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। তিনি আরও জানান, রায়ের সময় দুই আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, খুনের শিকার জেসমিন বেগমের সঙ্গে আসামি মো. ফরহাদের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তারা ছয় লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করেন। জেসমিন ও ফরহাদ দুজনেরই আগে সংসার ছিল। আগের স্বামী ভরণ-পোষণ না দেওয়ায় জেসমিন তার দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। চান্দগাঁও এলাকার মার্ক ফ্যাশন ওয়্যার লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় তিনি সিনিয়র অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। অন্যদিকে, জেসমিনের স্বামী ফরহাদ ছিলেন দিনমজুর। ভোলায় তার স্ত্রী থাকলেও সেটা গোপন রেখে তিনি জেসমিনকে বিয়ে করেছিলেন। তবে তারা আলাদা থাকতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকবার ঝগড়াও হয়েছিল। পরে ফরহাদ তার মামা সেলিম মনিরের সঙ্গে জেসমিনকে খুন করার পরিকল্পনা করেন।

২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর ফরহাদ জেসমিনের মোবাইলে কল দিয়ে নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় দেখা করতে বলেন। পরে সেখান থেকে তারা একে খান এলাকার গ্যাসলাইন পাহাড়ে যান। সেখানেই মামা সেলিম মনিরের সহায়তায় জেসমিনকে গলা টিপে খুন করেন ফরহাদ। এরপর পাহাড়ের ঝোপের মধ্যে লাশ ফেলে তারা চলে যান। ২ অক্টোবর পুলিশ জেসমিনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জেসমিনের ছোট ভাই বাদী হয়ে আকবরশাহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নারায়নগঞ্জ থেকে ফরহাদ ও চটগ্রাম থেকে সেলিম মনিরকে গ্রেফতার করে।

মামলার তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৭ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত এ রায় দিয়েছেন।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ