আজঃ শনিবার ২৬ এপ্রিল, ২০২৫

যৌতুক বন্ধে ইমাম-খতিবদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে :ধর্ম উপদেষ্টা।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

: ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, যৌতুক বন্ধে ইমাম-খতিবদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। বিভিন্ন ফোরামে ইমাম-খতিবদের কথা বলার যে সুযোগ রয়েছে সেটা কাজে লাগাতে হবে। শনিবার সকালে চট্টগ্রামের এলজিইডি ভবনের কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী মিলনায়তনে মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রারদের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার ফোরামের উদ্যোগে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে কনের স্থায়ী ঠিকানার কাজী কর্তৃক বিবাহ ও তালাক নিবন্ধন আইন প্রণয়ন এবং বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার কমিশন কর্তৃক বিবাহ নিবন্ধন ফী তিনভাগে ভাগ করার বিষয়ে এ মতবিনিময় সভা আয়োজন করে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, যৌতুক দেওয়া-নেওয়া অপরাধ। যৌতুক সমাজের অভিশাপ। এরূপ শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুনে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে না। যৌতুক নিরুৎসাহিত করতে ইমাম-খতিবদেরকে কথা বলতে হবে। খতিব, ইমাম কিংবা কাজীদের নানা ফোরামে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। এই সুযোগকে যৌতুক বন্ধে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বাল্যবিবাহ রোধে নিকাহ রেজিস্ট্রার ফোরামের দাবীসমূহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরবেন বলে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, বিবাহ নিবন্ধনের সময় কাজী ও সহকারীরা অনেক সময় সরকারি বিধান না মেনে অতিরিক্ত ফি আদায় করে। এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে এবং ফি আদায়ের রশিদ দিতে হবে। তিনি নিকাহ রেজিস্ট্রারদের সরকারি বিধি মোতাবেক ফি আদায়ের অনুরোধ করেন। এছাড়া, উপদেষ্টা বাংলাদেশ মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রার ফোরামকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখার অনুরোধ জানান।

চট্টগ্রাম যুগ যুগ ধরে অবহেলিত উল্লেখ করে ড. খালিদ বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিবছর এই সড়কে দুর্ঘটনায় অনেক মানুষ মারা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে এই সড়কে খুবই দুঃখজনক একটি ঘটনা ঘটেছে। এটা নিয়ে বিভিন্ন ¯’ানে মানববন্ধন হ”েছ। তিনি এই সড়কের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যা”েছন বলে জানান। এছাড়া, অল্পদিনের মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক ছয় লেনে উন্নীত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ফোরামের সভাপতি কাজী ছৈয়দ মুহাম্মদ আবু ছাঈদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাসান আলীসহ ফোরামের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রদান করেন।

এ সভায় ফোরামের নেতৃবৃন্দ বাল্যবিবাহ বন্ধে কনের স্থায়ী ঠিকানায় কাজী অফিসে বিবাহ নিবন্ধন, বিবাহ নিবন্ধন ফি তিনভাগে ভাগ করার সুপারিশ বাতিল এবং বিবাহ নিবন্ধনে বরের বয়স ২০ ও কনের বয়স ১৬ করাসহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। এ অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্তরের নিকাহ রেজিস্ট্রাররা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে দুঘন্টা বিক্ষোভ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের।

চট্টগ্রাম নগরীতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সড়ক অবরোধ করে প্রায় দুঘন্টা বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে নগরীর দুই নম্বর গেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে যানবাহন আটকে দেওয়ায় সড়কের উভয়পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভের কারণে সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। পরে সরে গেলেন শিক্ষার্থীরা, দুঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিন দুপুর আড়াইটার দিকে যানবাহন চালকদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সড়ক ছাড়তে বাধ্য হন। এরপর শিক্ষার্থীরা দুই নম্বর গেটের বিপ্লব উদ্যানে গিয়ে অবস্থান নেন।ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগবিধি সংশোধন,ব্যবহারিক ক্লাসের প্রশিক্ষক পদের নাম ‘ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর’ না করাসহ ছয় দফা দাবিতে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, শ্যামলী, এমআইটিসহ বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রায় দু শতাধিক শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচিতে যোগ দেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘নন টেক, মুক্ত করো, কারিগরি পথ খুলো, ২৪ আমার অহঙ্কার, কারিগরি আন্দোলন আমার অহঙ্কার, মামা এখন মাস্টার, মামার বাড়ির আবদার, এক,দুই, তিন, চার, কারিগরিতে দুর্নীতি ছাড়’- সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন।চলতি বছরের ২০ মার্চও একই দাবিতে বিভিন্ন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা আড়াই ঘণ্টা সড়ক ও রেললাইন অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলেন।

ছাত্রদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো— জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অতি শিগগিরই স্থাপন করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির আবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা অনতিবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে সড়ক অবরোধ করেছিল। পুলিশ তাদের সড়ক ছাড়ার জন্য অনুরোধ করলেও তারা সেটা মানছিল না। দুই ঘণ্টা পর তারা সড়ক ছেড়েছেন। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
এদিকে দুই ঘণ্টা পর নগরের গুরুত্বপূর্ণ দুই নম্বর গেট এলাকা থেকে সরে গেছেন শিক্ষার্থীরা। এতে স্বাভাবিক হয়েছে ওই এলাকার যান চলাচল। তীব্র যানজটের কারণে সাধারণ মানুষের রোষানলে পড়ে শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেয়।

এনায়েতপুর ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত।

হাটহাজারী থানার এনায়েতপুর ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের ৩১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রায় একশত প্রতিযোগি অংশ গ্রহন করেন। অনুষ্ঠান সংসদের সভাপতি বিধান বনিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শুভাশীষ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রজধাম রমণী মোহন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পম্পা বসু, ব্রজধাম স্মৃতি সংসদের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক পংকজ মিত্র উজ্জ্বল, পুতুল দে, তাপস দে, সুমিত্র সেন রাজু, বিকাশ চৌধুরী, বিকাশ বণিক, তুষার দে, সুকান্ত ভৌমিক। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, এই সংসদ শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি অনুভব, একটি স্মৃতি, এবং আমাদের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। যখন এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয়েছিল, তখন কিছু স্বপ্নবান মানুষ এই বিশ্বাসে এগিয়ে এসেছিলেন যে, ব্রজধামের স্মৃতি ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হবে, নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দিতে হবে।

আজ আমরা গর্বের সাথে বলতে পারি, ব্রজধাম স্মৃতি সংসদ তার সেই আদর্শ ও লক্ষ্য থেকে এক চুলও সরে আসেনি। নাটক, সংগীত, আবৃত্তি, লোকজ সংস্কৃতি সবকিছুতেই আমাদের সংসদ অসাধারণ ভূমিকা রেখে চলেছে। এই পথচলা সহজ ছিল না, তবে সদস্যদের নিষ্ঠা, ভালোবাসা ও একাগ্রতার ফলে আজ আমরা এই অবস্থানে পৌঁছেছি। আমরা চাই, আগামী দিনগুলোতে আমাদের এই সাংস্কৃতিক পরিবার আরও বিস্তৃত হোক, আরও প্রাণবন্ত হোক। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তুষার সেন, কাজল দে, নিলয় দে, মুন্না চৌধুরী, প্রণাম দে, সুকান্ত ভৌমিক, অন্তু পাল, নিশু পাল, অন্তু সেন, প্রান্ত চৌধুরী, শান্ত চৌধুরী, অন্তু চৌধুরী, লিংকন দে, মুগ্ধ দাশ, সিপ্ত দে, বাবু দে, অর্নব বনিক, প্রশান্ত মজুমদার, বিজন শীল, অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বেতার ও টেলিভিশন শিল্পী তুর্না দে তৃষা, তৃষা চৌধুরী, রিমু চৌধুরী, শান্তনা দে, স্বীকৃতি বনিক, দিয়া দে, শ্রেয়া মজুমদার প্রমূখ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ