আজঃ সোমবার ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরের কাছ থেকে শতকোটি টাকা পৌরকর আদায় চসিকের।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম বন্দরের কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা পৌরকর আদায় করেছে সিটি করপোরেশন। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মুনিরুজ্জামান মেয়র শাহাদাত হোসেনের কাছে ১০০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন।১৬০ কোটি টাকা পৌরকর দাবি করে মেয়র শাহাদাত হোসেন দায়িত্ব নেওয়ার পর বারবার তাগাদা দিয়ে চসিকের ইতিহাসে এই প্রথম বন্দরের কাছ থেকে এ পরিমাণে পৌরকর আদায় করতে সক্ষম হয়েছে সংস্থাটি।

‘পাওনা’ আদায়ে দফায় দফায় তাগাদার পর পরিশোধযোগ্য পৌরকর নির্ধারণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ চসিকের সঙ্গে একটি ‘যৌথ পুনর্মূল্যায়ন কমিটি’ গঠন করে। তবে ওই কমিটি বকেয়া পৌরকর নির্ধারণের আগেই নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বন্দর চসিককে ১০০ কোটি টাকা দিল।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, প্রাথমিকভাবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সিটি করপোরেশনকে ১০০ কোটি টাকা দেওেয়া হয়েছে। আমরা এখনো যৌথ পুনর্মূল্যায়ন কমিটির প্রতিবেদন পাইনি। তারা যদি ১০০ কোটি টাকার কম পরিশোধযোগ্য পৌরকর নির্ধারণ করে, তাহলে বাকি টাকা আগামী অর্থবছরে সমন্বয় করা হবে। কমিটির কাজ চলছে। তারা শিগগিরই এ বিষয়ে তাদের মতামত দেবে।

চসিকের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করায় চসিকের বিদ্যমান আর্থিক সংকট কিছুটা লাঘব হবে।সূত্রমতে, ২০১৭ সালে চসিকের পঞ্চবার্ষিকী পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী বন্দরের কাছে ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা পৌরকর প্রস্তাব করা হয়। তবে ওই কর পুনর্মূল্যায়ন কার্যক্রম সেসময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় স্থগিত করে দিলে এ বিষয়ে আর এগোতে পারেনি চসিক। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর মন্ত্রণালয় আবার তাদের সিদ্ধান্ত আংশিক প্রত্যাহার করে নেয়। এতে ২০১৭ সালের পঞ্চবার্ষিকী পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পৌরকর আদায়ের পথ খুলে যায়।
২০২১ সালে রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর বন্দরকে ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা পৌরকর পরিশোধের জন্য চিঠি দেওয়া হয়। এ নিয়ে দেনদরবারের পর মেয়র রেজাউলের উপস্থিতিতে এক বৈঠকে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫০ কোটি টাকা পৌরকর নির্ধারণ হয়। বন্দর কর্তৃপক্ষ ১০ শতাংশ সারচার্জ মওকুফের সুবিধা গ্রহণ করে ৪০ কোটি টাকা পরিশোধ করে। এরপর ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ২০১৭ সালের পঞ্চবার্ষিকী পুনর্মূল্যায়ন অনুযায়ী পৌরকর আদায়ের বিষয়টির আর সুরাহা হয়নি।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। আত্মগোপনে চলে যান চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। অন্তবর্তী সরকার ১৯ আগস্ট তাকে অপসারণ করে। এর মধ্যে ১ অক্টোবর নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে দায়ের থাকা এক মামলার রায়ে বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করা হয়। ৫ নভেম্বর তিনি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন শুরু করেন।
শাহাদাত হোসেন মেয়রের দায়িত্ব নেয়ার পর ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে ফের ১৬০ কোটি টাকা হারে বন্দরের কাছ থেকে পৌরকর আদায়ে উদ্যোগী হন। একইসঙ্গে আগের মেয়রের পথ অনুসরণ করে বন্দরের কাছ থেকে তাদের আয়ের এক শতাংশও মাশুল হিসেবে দাবি করেন। বন্দরের পণ্য নিয়ে চলা ভারি যানবাহনগুলোর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য এ মাশুল দাবি করা হয়।
সূত্রমতে, প্রথম দফায় নভেম্বরেই চসিক বন্দরের কাছ থেকে এক শতাংশ মাশুল দাবি করে চিঠি দেন। কিন্তু আইনে না থাকার কথা বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ এতে সাড়া দেয়নি। এরপর গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা পৌরকর দাবি করে বন্দর চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
এক মাস পেরিয়ে গেলেও এ বিষয়ে সাড়া না পেয়ে চসিকের প্রধান নির্বাহী নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেন। এতে নির্ধারিত পৌরকর পরিশোধে বন্দরকে নির্দেশনা দিতে অনুরোধ করা হয়। মন্ত্রণালয় থেকে ‘ইতিবাচক সাড়া’ পেয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বন্দর কর্তৃপক্ষকে আবারও চিঠি দিয়ে ১৬০ কোটি ১৬ লাখ ৪১ হাজার টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সিটি করপোরেশনের দাবির বিষয়টি খতিয়ে দেখতে অভ্যন্তরীণ চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। বন্দর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলমকে কমিটির প্রধান করা হয়। এছাড়া চসিকের সঙ্গে যৌথ একটি পুনর্মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়।

এর মধ্যেই সম্প্রতি চসিককে ১০০ কোটি টাকা পরিশোধের নির্দেশনা দিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় নৌপরিহন মন্ত্রণালয়। গত ৬ এপ্রিল নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নজরুল ইসলাম আজাদের সই করা চিঠিতে জয়েন্ট সার্ভে কমিটির রিপোর্টের সুপারিশের ভিত্তিতে কম-বেশি সমন্বয়ের শর্তে আপাতত ১০০ কোটি টাকা চসিককে দেওয়ার জন্য বন্দরকে বলা হয়।

১০০ কোটি টাকা পৌরকর আদায়ের পর চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ইতিহাসে এই প্রথম এত বিপুল পরিমাণে পৌরকর বন্দর পরিশোধ করল। এই পৌরকর আদায়ে আগের মেয়ররা অনেক চেষ্টা করলেও পারেননি। আমরা সেটা আদায় করেছি। এই পৌরকর আমাদের কাজের গতি বাড়াবে। নগরীর সামগ্রিক উন্নয়ন ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় আর্থিক সক্ষমতার ঘাটতি আছে। পৌরকর নিয়মিত পেলে সেই ঘাটতি মেটানো সহজ হয়।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

দেশ বদলাতে থ্রি জিরো থিওরি আদর্শ মডেল: চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার

চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন বলেছেন, দেশ বদলাতে তথা পৃথিবী বদলাতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর থ্রি জিরো থিওরি একটি আদর্শ মডেল। এ মডেল অনুসরণ করে আমাদের তরুণ সমাজ কাজ করলে দেশে যেমন ক্ষুধা এবং বেকারত্ব দূর হবে, তেমনি মানবজাতি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকবে।
কমিশনার রোববার চট্টগ্রামের জেলা তথ্য অফিস

আয়োজনে চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সব কথা বলেন।বিভাগীয় কমিশনার বলেন, আজকের বিশ্বে তরুণদের জন্য সম্ভাবনা ও সুযোগের ক্ষেত্র দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে শুধু চাকরির পিছনে ছুটে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের যোগ্যতা, সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উদ্যোক্তা হতে হবে।

সভপতির বক্তব্যে মোঃ বোরহান উদ্দীন বলেন, যুবক-যুবতীদের নিজেরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার এবং পরিবারের লোকদেরকে ভোট দিতে উৎসাহিত করেন। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে নির্বাচন উৎসব হবে। এই উৎসবে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ আশা করে সরকার। এজন্য নির্বাচনী পরিবেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভয়হীন করার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জেলা তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোঃ বোরহান উদ্দীন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আবুল বাশার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, চট্টগ্রামের সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী, সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এস এম গিয়াসউদ্দিন বাবর, আব্দুল বারী প্রমূখ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন । যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণরত প্রায় ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী এবং প্রিন্ট ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপারের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা

ঠাকুরগাঁওয়ে নবাগত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেনের সাথে স্থানীয় সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৭ ডিসেম্বর রবিবার দুপুর ১২টায় জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।এসময় পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন বলেন, মিডিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম। মানুষের বাকস্বাধীনতা একমাত্র মিডিয়ার মাধ্যমেই রক্ষা করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষের সেবা করাই আমার প্রথম কাজ। মাদক সব অপরাধের মূল উৎস। তাই যেকোনো মূল্যে সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। এসময় যানজট, মাদকমুক্ত করতে ও বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন পুলিশ সুপার।


এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) খোদাদাদ হোসেন,সহকারী পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল স্নেহাশীষ কুমার দাস, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লুৎফর রহমান মিঠু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান তানু সহ জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,গত ২৯ নভেম্বর বেলাল হোসেন ঠাকুরগাঁওয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ