আজঃ মঙ্গলবার ১৭ জুন, ২০২৫

চট্টগ্রামে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে তড়িতাহতে ২ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম মহানগরে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে তড়িতাহতে (বিদ্যুৎস্পৃষ্ট) দুই জনের মৃত্য হয়েছে। রোববার দুপুরে নগরের জিইসি এলাকায় এম এম আলী রোডের বশর ভিলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে শনিবার দিবাগত রাতের বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তারা মারা গেছেন বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।

নিহতরা হলেন, মিরসরাই উপজেলার পূর্ব গোল মগরা এলাকার নুর জাহানের ছেলে তৈয়ব (৪৫) এবং কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাবিরপাড়া এলাকার হুমায়ুনের ছেলে রবিউল (১৪)।
চকবাজার থানার ওসি জাহিদুল কবির জানান, শনিবার রাতের বৃষ্টিতে ওই ভবনের নিচে পানি জমে যায়। ওই পানিতে দুইজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। উদ্ধার করে তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ২ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাদের মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে। স্বজনরা এলে হস্তান্তর করা হবে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আ.লীগ ক্ষমতায় আসলে সংবাদপত্রের উপর কালোছায়া নেমে আসে।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৬ জুন বাকশালের জনক শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি চারটি মিডিয়া ছাড়া সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন শত শত সংবাদকর্মী বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেছে।

তাদের সাথে আমিও চাকরি হারিয়েছিলাম। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে, ততবার সংবাদপত্রের উপর কালো ছায়া নেমে এসেছে। বিগত ১৬ বছর হাসিনা সরকার সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যমের নামে নিজেদের সেবাদাস তৈরি করেছিল। ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের পর গণমাধ্যম যে স্বাধীনতা ভোগ করছে তা নজিরবিহীন।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা মানে এই নয় যে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা বিঘ্নিত করা। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র ও গণমাধ্যম কর্মীরা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক সুরক্ষা এবং সাধারণ মানুষের মতপ্রকাশের অধিকারকে নিশ্চিত করার পক্ষেই কাজ করবে।

সোমবার সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিএমইউজের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দিনকালের চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুলের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ্ইউনিয়ন-সিএমইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, বাসসের বিশেষ প্রতিনিধি মিয়া মোহাম্মদ আরিফ, সিনিয়র সাংবাদিক ওয়াহিদ জামান, কামরুল হুদা, আমার দেশের ব্যুরো প্রধান সোহাগ কুমার বিশ্বাস, বিজনেস বাংলাদেশ ব্যুরো চীফ জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিনের স্টাফ রিপোর্টার ইমরান এমি, রূপালি বাংলাদেশের ব্যুরো প্রধান জালাল উদ্দীন সাগর, পূর্বদেশের স্টাফ ফটোগ্রাফার তালুকদার প্রমুখ।

আরও ২০০টি ছোট প্রকল্প নেয়া হচ্ছে :চসিক মেয়র

সামনে আরও ২০০টি ছোট প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। সোমবার দুপুরে আগ্রাবাদের হোটেল এমব্রোশিয়ার বিপরীতে বিদ্যুৎ ভবনের সামনের অংশে প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে গিয়ে এ কথা বলেন।

পরিদর্শনকালে মেয়র বলেন, ১৯৯৮ সালে নির্মিত এই বক্স কালভার্টটি তৎকালীন সরকারের অপরিকল্পিত প্রকল্প ছিল, যেখানে ভবিষ্যতে পরিষ্কার-পরিচর্যার কোনো ব্যবস্থাই রাখা হয়নি। ফলে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে এটি অব্যবহৃত এবং বন্ধ অবস্থায় ছিল। আমরা এখন লালমিয়া ছড়া, নাসিরখালসহ পুরো নেটওয়ার্ক খনন ও সংস্কারে হাত দিয়েছি।

মেয়র জানান, ইতোমধ্যে ১৭টি স্ল্যাবের মধ্যে ৭টি উন্মুক্ত করে পরিষ্কারের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ১০টির কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পের প্রায় ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ শেষ হতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, এ বছর ১৯০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হলেও জলাবদ্ধতার মাত্রা আগের তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। মহান আল্লাহর রহমতে আমরা ইতিবাচক ফল দেখতে পাচ্ছি। সামনে আরও ২০০টি ছোট প্রকল্প হাতে নিচ্ছি, যার মাধ্যমে নগরের খাল-নালা পরিষ্কার অব্যাহত থাকবে।

ডা. শাহাদাত আরও জানান, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রকল্পে আগ্রাবাদের পুরনো বক্স কালভার্ট উন্মুক্ত করে খাল খননের কাজ চলছে। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত, কারণ এখানে বিষাক্ত গ্যাস ও গ্যাসলাইন রয়েছে। তাই ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেই কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৫০টির বেশি নালা ও খাল পরিষ্কারের কাজ চসিক সম্পন্ন করেছে। ১৬০০ কিলোমিটার নালার রক্ষণাবেক্ষণ নিয়মিতভাবে চলবে। তিনি সেনাবাহিনী, সিডিএ, বন্দর কর্তৃপক্ষ, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড, জেলা প্রশাসন, মেট্রোপলিটন পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সব সংস্থার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক কমান্ডার মো. এনামুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর নিয়াজ মোহাম্মদ খান, চসিক ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।

আলোচিত খবর

কালিয়াকৈরে ”হোপ ফর চিলড্রেন” এর উদ্যোগে বিনামূল্যে বীজ ও চারা বিতরণ

গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুর মডেল পাবলিক স্কুল মাঠে সোমবার সকালে
বিলিভার্স ইষ্টার্ন চার্চ কতৃক পরিচালিত হোপফর চিলড্রেনের উদ্যোগে ৭০ জন রেজিস্টার শিশুদের পরিবার ও উপকারভোগীদের মাঝে বিনামূল্যে বিভিন্ন প্রকারের বীজ, সার ও চারা বিতরণ করা হয়েছে।
বিলিভার্স ইস্টার্ন চার্চ এর ডিকন জয়দেব বর্মনের সভাপতিত্বে ও হোপ ফর চিলড্রেনের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর বাপ্পি খৃষ্টদাস এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হোপ ফর চিলড্রেন এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর সজীব ত্রিপুরা, বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল সিএস কো-অর্ডিনেটর তপানা ত্রিপুরা,উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন,বিশিষ্ট সমাজসেবক শাহ আলম হোসেন।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন হোপফর চিলড্রেন শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিয়ে কাজ করছে। কালামপুর গ্রামে রেজিস্ট্রার শিশু ও গরীব শিশুরা যাতে পুষ্টিকর খাবার পায় তার জন্য হোপ ফর চিলড্রেনের মাধ্যমে বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের জন্য বীজ বিতরন করা হয়েছে।
বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানের প্রশিক্ষণ প্রদান করে

আরও পড়ুন

সর্বশেষ