আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

৬৫ তম জন্মদিনে প্রকাশিত হলো কবি কায়সার আহমেদ দুলালের ৩ টি অনন্য কাব্যগ্রন্থ ।

রিপন শান

দক্ষিণ বাংলার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিক্ষাবিদ , সাংবাদিক, কবি কায়সার আহমেদ দুলালের আজ ৬৫ তম জন্মদিন । দিনটির সৌরভকে ধারণ করে দেশের নান্দনিক প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাধুর্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে কবির আরো ৩ টি কাব্যগ্রন্থ- মন ফির যায় মাটির কাছে, মনের গহীনে লুকানো জীবন এবং গাঁয়ের ছড়া । নানাবিধ লোকজ উপাদান ও বিচিত্র বিষয়ে ভরপুর আকর্ষণীয় প্রচ্ছদের বই তিনটি পাঠক মহলে দারুন সাড়া ফেলবে বলে বিশ্বাস করেন কবির ভক্তসমাজ ।

চরফ্যাসন সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ, জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সভাপতি বহুমাত্রিক লেখক গবেষক সাংবাদিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি কায়সার আহমেদ দুলাল মাটিবর্তি মানুষের জীবনবোধ, গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের অনিমিখ চেতনা ও সমকালীন সাহিত্য সংস্কৃতির মানবতাবাদী আদর্শে উজ্জীবিত একজন সাদামনের মানুষ । কবি কায়সার আহমেদ দুলাল ১৯৬০ সালের ৯ জুলাই দ্বীপজেলা ভোলার উপকূলীয় জনপদ চরফ্যাসন উপজেলার আমিনাবাদ গ্রামের এক শিক্ষামনস্ক পরিবারে জন্মগ্রহন করেন । সরকারি প্রাইমারি স্কুলের ছাত্রপ্রিয় সাবেক শিক্ষক পিতা আব্দুস সোবহান মিয়া ও গৃহিণী মাতা হালিমা খাতুনের আদরের ‘দুলাল’ বাবার একান্ত আগ্রহে বাংলা সাহিত্যে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ।
তিনি ১৯৮৭ সালে চরফ্যাসন সরকারি কলেজে বাংলা বিষয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন। ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ছিলেন কায়সার আহমেদ দুলাল । ১৯৯১ সালে জননেতা অধ্যক্ষ এম এম নজরুল ইসলাম (সাবেক এমপি) সাপ্তাহিক উপকূল পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করলে তিনি সেখানে সম্পাদক হিসেবে যোগদান করেন এবং দীর্ঘদিন সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবনে কবি আহসান হাবীব, কবি সুফিয়া কামাল, কবি শামসুর রাহমান, কবি আসাদ চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী , কবি নাসির আহমেদসহ দেশবরেণ্য লেখক সাহিত্যিকদের নিবিড় সান্নিধ্য পেয়েছেন তিনি । তাঁর রকমারি স্বাদ ও গন্ধের বই- পথের পান্ডুলিপি, পলিমাটির পদবাচ্য, করোনাবন্দির জবানবন্দি, উপকূল সম্পাদকীয় এবং চরফ্যাসনে মুক্তিযুদ্ধে’র মোড়ক উন্মোচন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ। কোরক মুক্তির যন্ত্রণা, হৃদয়ের জলছাপ, আশার অরুণ আলো, বিষন্ন পাথর কবি কায়সার আহমেদ দুলাল রচিত অনন্য কাব্যগ্রন্থ।
কায়সার আহমেদ দুলাল চরফ্যাসন প্রেসক্লাবের একটানা পাঁচবছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সভাপতি। ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সিনিয়র উপদেষ্টা। তিনি ওসমানগঞ্জ আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব কলেজ এবং বেগম রহিমা ইসলাম কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ছিলেন । কায়সার আহমেদ দুলাল সাহিত্য সংস্কৃতিতে নিরন্তর অবদানের জন্য লালমোহন মিডিয়া ক্লাব পুরস্কার ২০২০ ভূষিত হয়েছেন । কবি ও নাট্যকার কায়সার আহমেদ দুলাল বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের অধিভুক্ত নাট্য সংগঠন মালঞ্চ নাট্যম চরফ্যাসনের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮৪ সালে তিনি মালঞ্চ নাট্যম প্রতিষ্ঠা করেন । একই বছর তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ভোরের পাখি সাহিত্য আসর । তাঁর জন্মগ্রাম আমিনাবাদ থেকে সাহিত্য সংগঠনটির শুভযাত্রা । সেসময় তাঁর সম্পাদনায় ভোরের পাখি শীর্ষক সাহিত্য ম্যাগাজিন নিয়মিত প্রকাশ হতো । তাঁর রচিত ‘ঝড় ও জীবন’ , ‘ লাল সূর্যের নীচে’ , ‘বেড়ির পাড়ের মানুষ ‘ মালঞ্চ নাট্যম কর্তৃক একাধিকবার মঞ্চায়িত হয় ।
চরফ্যাসন সরকারি কলেজের অধ্যাপনা থেকে অধ্যক্ষ জীবনে আধুনিক মননশীল ও যুগোপযোগী শিক্ষাবিস্তারে অধ্যক্ষ কায়সার আহমেদ দুলালের অবদান উপকূলীয় জনজীবনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ।

জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার সভাপতি কবি কায়সার আহমেদ দুলালকে ৬৫ তম জন্মদিনে হিজল বরুণ কদমের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন- জাতীয় কবিতা পরিষদ ভোলার উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান কবি নাসির আহমেদ, উপদেষ্টা কবি হাসান মাহমুদ, কবি শাহ মতিন টিপু, কবি আনজামুল আলম মুনীর, সহ-সভাপতি কবি দিলরুবা জ্যাসমিন, কবি মিলি বসাক, কবি ফিরোজ মাহমুদ, কবি মহিউদ্দিন মহিন, সাধারণ সম্পাদক কবি রিপন শান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি আল মনির, কবি গাজী তাহের লিটন , সাংগঠনিক সম্পাদক কবি নীহার মোশারফ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবি জুলফিকার আলী, নির্বাহী সদস্য কবি ইমরান মাঝি,কবি ফারজানা স্নিগ্ধা, সঞ্চিতা দেবনাথ, নজরুল ইসলাম জামাল প্রমুখ ।
ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সিনিয়র উপদেষ্টা বিশিষ্ট সাংবাদিক শিক্ষাবিদ কায়সার আহমেদ দুলালকে লালগোলাপ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন-দৈনিক বাংলা খবর সম্পাদক কিরণ শর্মা, দৈনিক মাতৃজগত সম্পাদক খান সেলিম রহমান, দৈনিক অমৃতালোক সম্পাদক আহাদ চৌধুরী তুহিন, দৈনিক বাংলাদেশ বাণীর সম্পাদক আযাদ আলাউদ্দিন, ভোলা দক্ষিণ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম আকাশ, হেলাল উদ্দিন নয়ন, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম রণি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসিব ইশতিয়াক আহমদ,মিজান পাটোয়ারী, সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মোর্শেদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এসএম মামুন হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইস্রাফিল নাঈম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক নুরুল্লাহ আরিফ,নির্বাহী সদস্য মোঃ রাকিব হোসেন, আখতার হোসেন শাকিল , সদস্য মনির আসলামী, তামীম সাদী মান্নান , ইলিয়াস সানি প্রমুখ ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

চুয়ান্নটি বছর

স্বাধীনতার চুয়ান্নটি বছর চলেছে একই নীতিতে!
সত্যিই এবার পরিবর্তন প্রয়োজন।
স্বপ্ন আর আশা,
এই নিয়ে দেশের মানুষের বেঁচে থাকা।

কেহ দেশের শান্তি ফেরাতে দিয়েছেন প্রাণ,
কেহ আবার সব ভুলে গিয়ে নিজের সুবিধা আর আসন পাওয়া নিয়ে ব্যস্ততা,
আর এক শ্রেণীর মানুষের নেই ঘুম!

সুন্দর স্বপ্নময় দেশ গড়তে,
সর্ব প্রথম আইন,
বিচার ব্যবস্থা আর প্রশাসনের সঠিক উন্নয়ন প্রয়োজন। এই তিনটি যেন কারো ব্যক্তিগত কারো সম্পত্তি না হয়।

বিগত চুয়ান্ন বছর পর আবারও দেশ ও দেশের মানুষের নতুন অধ্যায়!
যেন বিগত দিন, মাস, বছর পর বছর আর নয়,
সর্বত্র হোক বিরাজমান সত্য ও সততার আগমন।

রঙের দেখা

একেক পাখির একেক রং,
ফুলের সুগন্ধে মন ছুঁয়ে রয়!
নীল আকাশে সাদা মেঘের ক্ষণে ক্ষণে মেলা হয়।

হরেক রঙের মানুষের দেখা,
ভিন্ন ভিন্ন দেশে। ভাষাও আবার ভিন্ন হয়,
আবহাওয়াও ভিন্ন রুপে।

একই দেশের মানুষ মোরা ভিন্ন ভিন্ন ভবের।
আচার- আচরণও হয় ভিন্ন!

চাওয়া পাওয়ার হিসেব মেলাতে জীবনে সকলেই চিন্তিত! হয়তো প্রকাশ ভঙ্গি ভিন্ন।

সকাল সন্ধ্যা! কতো স্মৃতি আর অনুভূতি আসে বারে বারে এ মনে!
মনের অজান্তেই কথা হয়,
চুপিচুপি একাকী নিরজনে!

ফুলদানিতে কতো ফুল রাখি,
আস্তে আস্তে শুকিয়ে,
নয় তো ঝড়ে যায়!
চেনা চেনা কতো মানুষও আবার,
দুঃসময়ে দূরে সরে চলে যায়!

দুনিয়ায় আসা হয় একা,
একা চলে যেতে হয়!
এর বিকল্পও নেই,
তবুও মানুষের সাথে মানুষের অবিচার অবক্ষয়!

দুনিয়ায় কতো কিছু,
কতো রঙে ভরা,
শুধু রক্তের একটিই রঙ!
মানুষ, দেশ, জাতি যেমনই হোক, সকলের রক্তের রঙ লাল।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ