আজঃ মঙ্গলবার ৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে পরিবার পরিকল্পনা সেবা বেগবান করতে হবে।

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) শারমিন জাহান বলেছেন, পরিকল্পিত জনসংখ্যা উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অন্যতম হাতিয়ার। সীমিত সম্পদের মধ্যে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বত্র সচেতনতা তৈরী জরুরী। সুস্থ-সবল জীবন গড়তে হলে কৈশোরে গর্ভধারণ থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত জনসংখ্যার বিস্ফোরণ ঠেকাতে সরকার পরিবার-পরিকল্পনা কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করতে সময়োপযোগী উদ্যোগ নিয়েছেন।

প্রাপ্ত বয়সে অনেকে সন্তান নিতে অনীহা প্রকাশ করে, আবার কেউ কেউ দু’য়ের অধিক সন্তান নেয়-এ বিষয়টি নজরে আনা প্রয়োজন। ছেলে হোক আর মেয়ে হোক, দু’টি সন্তানের বেশী নয়, একটি হলে ভালো হয়। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে সাম্যের ভিত্তিতে পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে হবে। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস ১১ জুলাই উপলক্ষে সোমবার সকাল ১১টায় নগরীর আগ্রাবাদস্থ চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় কর্তৃক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল-‘ন্যায্য ও সম্ভাবনাময় বিশ্বে পছন্দের পরিবার গড়তে প্রয়োজন তারুণ্যের ক্ষমতায়ন’।

সভার শুরুতে বেলুন উড়িয়ে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবায় বিভাগীয় পর্যায়ে বান্দরবানে রুমা উপজেলা পরিষদ ও জেলা পর্যায়ে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলা পরিষদ শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার গ্রহণ করেন।আলোচনা সভায় অন্যান্য অতিথিবৃন্দরা বলেন, নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর বিকল্প নেই। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বাড়াতে বর্তমান সরকার নানাবিধ প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির ব্যবহারে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারী-বেসরকারী চাকুরিতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের অংশগ্রহণের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এজন্য জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে পরিণত করতে হবে।

পাশাপাশি সুস্থ ও সবল জাতি গঠনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনায় সচেতনতা বাড়াতে নিরলসভাবে কাজ করার কারণে মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে।

বক্তারা বলেন, নারীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের সকলকে আন্তরিক হতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা সেবা আরও বেগবান করতে অবকাঠামো উন্নয়ন ও আধুনিকায়নসহ লজিস্টিক সাপোর্ট বৃদ্ধি করতে হবে। নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে।
নিরাপদ প্রসবসেবা, প্রসব পরবর্তী সেবা সমূহ আরও গতিশীল করতে হবে। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগে জনবল ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন, যন্ত্রপাতি সংকট সত্ত্বেও সেবার মান বৃদ্ধি পেয়েছে।

এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে সাধারণ সেবা গ্রহীতাদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতসহ প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারীর হার বৃদ্ধি করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে নিরাপদ সেবা দেয়ার জন্য কিভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারি সে ব্যাপারে পলিসি নিতে হবে। মানসম্মত পরিবার পরিকল্পনা সেবা নিশ্চিত করা গেলে সফলতা অবশ্যই আসবে।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা সেবা, প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারী ও অন্যান্য সেবার বিশেষ অবদানের জন্য বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে ১০ ক্যাটাগরিতে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মোট ২০ জন কর্মী ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা স্মারক-ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।

পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক আবু সালেহ মোঃ ফোরকান উদ্দীনের সভাপতিত্বে, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক লিকসন চৌধুরী ও ডা. সোমা চৌধুরীর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক বেগম সাহান ওয়াজ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, রাউজান উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিসান বিন মাজেদ, পিডিবি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কে এম এম মামুনুর বাশরী, জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের সাবেক উপ-পরিচালক সুব্রত কুমার চৌধুরী, ডা. উ খ্যে উইন, এম এম এরশাদ।

বক্তব্য রাখেন পরিবার পরিকল্পনা চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (সিসি) ডা. শামীমা হাসনাত, সহকারী পরিচালক (পোর্ট ক্লিয়ারেন্স) লোকমান হোসাইন ও অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা’র সিনিয়র পরিচালক স্বপ্না তালুকদার।
অনুষ্ঠানে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, অসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মমতা, এফপিএবি, মেরীস্টোপস, বিএভিএস, ঘাসফুল, ইমেজ, ছায়াপথ, আর.এইচ.স্টেপ, বোয়ালখালী মা ও শিশু কল্যাণ সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

 

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বোয়ালখালীর বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসা পরিদর্শন।

বোয়ালখালী গোমদণ্ডী পাইলট উচ্চ মডেল বিদ্যালয় ও শাকপুরা দারুচ্ছন্নাত কামিল মাদ্রাসা পরিদর্শন বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান ফারুক এ সময় সাথে ছিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সালমা ইসলাম।

পরিদর্শনকালে একাডেমিক কার্যক্রম, চলমান বার্ষিক পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ এবং সার্বিক শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি।

শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও সৃজনশীলতার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন । বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাস আর ও পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব করে গড়ে তোলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনী কেন্দ্র সমূহ সরেজমিনে ঘুরে দেখে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছি, যাতে শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা যায়।

শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং স্থানীয় সবার আন্তরিক সহযোগিতায় উন্নত, সুন্দর ও সমৃদ্ধ বোয়ালখালী গড়ে উঠবে এই প্রত্যাশা ও প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।

বোয়ালখালীতে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে ৩২ টি চেক বিতরণ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের উদ্যোগে বোয়ালখালীতে ৩২ টি বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠানে চেক বিতরণ করা হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় শাকপুরা প্রজ্ঞাবংশ বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ উপলক্ষে এক সভা বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাষ্টি রূবেল বড়ুয়া হৃদয় এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি পল্টু কান্তি বড়ুয়া ও সমাজকর্মী রাজীব বড়ুয়ার উপস্থাপনায় এতে আশির্বাদক ছিলেন- শাকপুরা সার্বজনীন তপোবন বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত বসুমিত্র মহাস্থবির, ভদন্ত বিপস্সী মহাথের, ভদন্ত পরমানন্দ মহাস্থবির, ভদন্ত দীপানন্দ থেরো। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন -চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আজিজুল হক চেয়ারম্যান,

জেলার সদস্য মোঃ শওকত আলম, বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী ইছহাক চৌধুরী, সাবেক সদস্য সচিব হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপি সাবেক আহবায়ক শহীদুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক প্রচার সম্পাদক সরোয়ার আলমগীর, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, শওকত আলী চেয়ারম্যান, আবদুল আওয়াল মঞ্জু, শাকপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আজম খান, পৌরসভা বিএনপি নেতা হাজী আবু আকতার, বোয়ালখালী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মোঃ ইকবাল হোসেন, প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী, শ্রমিক দল নেতা মোঃ মোঃ ইলিয়াসসহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ,

বোয়ালখালী সম্মিলিত বৌদ্ধ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জয়সেন বড়ুয়া, বাংলাদেশ বৌদ্ধ ঐক্য ফাউন্ডেশন বোয়ালখালী উপজেলা শাখার সভাপতি বিকাশ বড়ুয়া, বৈদ্যপাড়া পঞ্চরত্ন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি দেশপ্রিয় বড়ুয়া, প্রদীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বৌদ্ধ ঐক্য ফ্রন্ট মহানগর-জেলা ও উপজেলা শাখার নেতা কমল জ্যোতি বড়ুয়া,তাপস বড়ুয়া , সুমন বড়ুয়া, রনি বড়ুয়া চৌধুরী, বিপ্লব বড়ুয়া, প্রকৌশলী দিক্ষিত বড়ুয়া, অর্ণব বড়ুয়া,সুমন বড়ুয়া ছোটন বড়ুয়া,পিপলু বড়ুয়া সহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার/ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন- বাংলাদেশ সম্প্রতির মেলবন্ধ, এদেশে সকল ধর্মের সহবস্থান ছিল -আছে- থাকবে। তাই ধর্মীয় সৌহার্দ্য বজায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। এরিই ধারাবাহিকতায় আসন্ন সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট আমাকে নির্বাচিত করুন আমি আপনাদের সকলের আশির্বাদ প্রার্থী। তিনি এসময় বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের ট্রাস্টি রূবেল বড়ুয়ার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন এখন সরকারী টাকা দপ্তরে গিয়ে আনতে হয়না, রূবেল বড়ুয়াই সরকারী টাকা নিয়ে আপনাদের নিকট হাজির। তার এ কর্মযজ্ঞকে আপনাদের আশির্বাদে রাখতে হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ