আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

রাজশাহীর ওয়াসার বড় প্রকল্প গ্রহন প্রসংনীয়

মো: গোলাম কিবরিয়া রাজশাহীর জেলা প্রতিনিধি

 

রাজশাহীর ওয়াসার বড় প্রকল্প গ্রহণ করেছেন, সেইটা অনেক প্রশংসনীয় ।পদ্মার পানি পরিশোধনের মাধ্যমে জেলার মানুষের জন্য সুপেয় পানি নিশ্চিত করতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে রাজশাহী ওয়াসা।চিনের হুনান কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে রাজশাহী ওয়াসা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে গোদাগাড়ী উপজেলার সারাংপুর এলাকায় পানি পরিশোধনাগার নির্মাণকাজ চলমান। ইতোমধ্যে কাজের ২০ শতাংশ শেষ হয়েছে।রাজশাহী ওয়াসা সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট’ শীর্ষক প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে প্রতিদিন ২০ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে।

রাজশাহী ওয়াসা’র প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক পারভেজ মামুদ বলেন, পরিশোধিত পানি ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রধান পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো হবে।এরই মধ্যে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়কের পাশে ২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।এ বিষয়ে রাজশাহী ওয়াসা এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সব মিলিয়ে এই পানি পরিশোধন প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো- ২০২৭ সালের মধ্যে রাজশাহী শহর ও এর আশপাশের এলাকায় নিরাপদ ও নিরবচ্ছিন্ন সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা।এ প্রকল্পের মাধ্যমে পদ্মা নদী থেকে পানি তুলে তা পরিশোধনের জন্য একটি আধুনিক পানি পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে বাসাবাড়িতে ব্যবহারের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ করা যায়।

পানি সরবরাহ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৪ হাজার ৬২ কোটি টাকার এই প্রকল্পটির মেয়াদ ৪০ বছর। যার লক্ষ্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পানি সহজে সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া।প্রকৌশলী মামুদ বলেন, রাজশাহী শহর ও এর পার্শ্ববর্তী পৌরসভার সকল বাসিন্দাকে বিশুদ্ধ পানির আওতায় আনাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

তিনি জানান, প্রকল্পটি বর্তমান পানির ঘাটতি পূরণে সহায়তা করবে ও বাড়তে থাকা জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে পর্যাপ্ত পানির জোগান নিশ্চিত করবে।
এটি পদ্মার পানি থেকে ক্ষতিকর ও দূষিত উপাদান দূর করবে, যাতে তা নিরাপদভাবে পান করা যায়।
পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ও কার্যকর একটি পানি সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের আওতায় নগরীর পুরোনো পাইপলাইন ও হাইড্র্যান্টগুলো (আগুন নেভানো পানির নল) মেরামত ও আধুনিকায়নের ব্যবস্থাও রয়েছে। সেইসঙ্গে সবার কাছে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক একটি পানি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যও রয়েছে।

তিনি বলেন, এখন রাজশাহী শহরে দিনে প্রায় ১৩ কোটি লিটার পানির চাহিদা রয়েছে এবং এর মধ্যে ৯৮ কোটি ৩ লাখ ৭ হাজার লিটার পানি পাম্প দিয়ে মাটির নীচ থেকে তুলে নেওয়া হয়। আর ৯০ লাখ লিটার পানি আসে নদী থেকে। মোট পানি সরবরাহ হচ্ছে ১০৭ কোটি ৪ লাখ লিটার, যা চাহিদার তুলনায় কিছুটা কম।

রাজশাহী ওয়াসা একসঙ্গে ১১০টি পাম্প ও ৮৫৯ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন ৬ লাখ ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে ১০ কোটি ৭০ লাখ লিটার পানি সরবরাহ করছে।
সরকারি তথ্য উদ্ধৃত করে রাজশাহী ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল আলম সরকার বলেছেন, প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে শহরে আর কোনো পানির ঘাটতি থাকবে না।
তিনি বলেন, শহরের পানির চাহিদা মেটানোর পর নওহাটা ও কাটাখালী পৌরসভায়ও সুপেয় পানি সরবরাহ করা সম্ভব হবে। রাজশাহী ওয়াসা সব সময়ই সেবা কার্যক্রমে সততা বজায় রাখার চেষ্টা করছে, বিশেষ করে পানির সরবরাহে যাতে গ্রাহকরা সর্বোচ্চ সুবিধা পান।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরো বলেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সব অংশীজনের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে একটি টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলাই তাদের লক্ষ্য।সব মিলিয়ে, প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে ভূগর্ভস্থ পানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ পানির সরবরাহ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা রাখবে।তিনি আরও জানান, রাজশাহী শহর এলাকায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা সংস্কার’ নামে একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে, যার মাধ্যমে অস্থায়ী সময়ে নিরাপদ পানি সরবরাহ করে জনগণের জীবনমান উন্নত করা হবে। আগামীতে রাজশাহীর জনগণ এই সুফল পাবেন

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পদক্ষেপ বাংলাদেশ এর বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত ।

পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর আয়োজন, কর্মসূচী ব্যতিক্রম ও বৈচিত্র্যময়। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকার পরিবাগস্থ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের উন্মুক্ত মঞ্চে জাতীয় সংগঠন ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘বিজয় মাসের প্রথম প্রভাত’ শীর্ষক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ১ ডিসেম্বর ২০২৫, সোমবার সকাল ৭টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সাংস্কৃতিক পর্ব—দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে : শিল্পবৃত্ত, পদক্ষেপ বাংলাদেশ। দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করে : কথা আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র, শিল্পবৃত্ত, ঢাকা স্বরকল্পন, মুক্তধারা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র। একক আবৃত্তি করেন : মীর বরকত, নায়লা তারান্নুম চৌধুরী কাকলি। কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন : গোবিন্দলাল সরকার, মো: তাজুল ইসলাম, খাইরুল আলম।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন আবৃত্তিশিল্পী মীর বরকত, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জেবুন্নেসা জেবা, উদয়ন স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক সবিতা সাহা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পদক্ষেপ বাংলাদেশ-এর সভাপতি বাদল চৌধুরী। স্বাগব বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল্লাহ সাঈদ। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মতিয়ারা মুক্তা।

ঘোষণাপত্রে বলা হয়- বহু ত্যাগ, সংগ্রাম আর প্রত্যাশার ফসল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এ শুধু পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীত বদল নয়, খোল-নলচে সব পাল্টে নতুন এক আদর্শকে রাষ্ট্র ও সমাজ জীবনে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্নের নবযাত্রা। এই স্বপ্নের প্রধান এবং একমাত্র উপজীব্য মানুষ। মানুষের কল্যাণ, মানুষের মুক্তি, মানুষের মর্যাদা এবং মানুষের স্বাধীন ভূমিই শেষ কথা। কত মাতা, কত ভগ্নি, কত জানা-অজানা নারী তাঁর সম্ভ্রম হারিয়েছে শুধু এই মানুষকে মানুষের মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করার জন্য। মানুষ কল্পনাবিলাসী কিন্তু নিজেতো সে কাল্পনিক নয়Ñএ ভূমিতেই তার সৃষ্টি, বেড়ে ওঠা, ভালো-মন্দের স্বাদ নেয়া, অতঃপর ভূমিতেই মিলিয়ে যাওয়া। এ ভূমির প্রতি তার প্রচ- ভালোবাসা।

মাতৃক্রোড়ে যেমনিভাবে শিশু বেড়ে ওঠে; একইভাবে কাদা-মাটি গায়ে মেখে আলো-বাতাসে অবগাহন করে এই ভূমিকেই মাতৃক্রোড় ভেবে একদিন চিরবিদায় নেয় প্রতিটি মানবশিশু। জন্ম আর মৃত্যুতে যে ভূমিকে কখনো আলাদা করা যায় নাÑতারই অমার্যাদা করবে ভিনদেশী তস্কর! তা কি করে মেনে নেয় ধুলো-বালি গায়ে মেখে বেড়ে ওঠা এ জনপদের মানুষেরা। এ ভূমিরই সাহসী-ত্যাগী- পোড়খাওয়া এক নামÑশেখ মুজিব। মাটি আর মানুষের সাথে ছিলো যাঁর আজন্ম সখ্য, ভিনদেশী হায়েনার হিংস্র থাবায় বারবার ক্ষতবিক্ষত হয়েছে তাঁর হৃদপি-; তবুও ভূমি আর মানুষের স্বাধীনতায় অবিচল থেকেছেন তিনি।

তাঁরই অঙ্গুলী হেলনে সাড়ে সাত কোটি মানুষ পরিণত হয়েছে এক একজন নেতাজী সুভাষ বসু, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, তিতুমীর, বাঘাযতিন, লক্ষ্মীবাই, ভগৎসিং, রফিক, শফিক, সালাম, জব্বার, সালাউদ্দিন, বরকত, আসাদ, মনুমিয়া’য়। এ গাঙ্গেয় বদ্বীপের তেরোশত নদীর জোয়ার আর পাখিদের কলতানে উচ্চারিত হয়েছে ভিনদেশী হায়েনার বিনাশ- ধ্বনি। লাঙলের ফলা থেকে তৈরি উর্বর মাটির প্রতিটি চাকা পরিণত হয়েছে শত্রুবিনাশী আনবিক বোমায়। বাঁশঝাড় উজাড় করে তৈরি হয়েছে চকচকে বেয়নেট।

নিঃশঙ্ক চিত্তে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার অগ্নিপুরুষ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সঞ্চারিত হয়েছে সাড়ে সাত কোটি মানুষের প্রতিটি রক্ত কণিকায়Ñবিজয় অর্জিত হয়েছে মানুষের সংগ্রাম আর আত্মদানের। বিজয় মাসের সূচনালগ্নে আমরা নতুন করে উদ্দীপ্ত হতে চাইÑমাটি আর মানুষের কল্যাণ কামনায়। আমরা বিনাশ চাই সেই নরপশুদের যারা মাটির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ভিনদেশী হায়েনাদের সঙ্গী হয়েছিলো মনুষত্বের বিনাশ সাধনে। সেই সাথে চাই আজকের এই দিনটিকে ‘মুক্তিযোদ্ধা দিবস’-এর সরকারি স্বীকৃতি। মাটি আর মানুষের জয় হোক, জয় হোক শুভ চিন্তা আর আদর্শের।

ঠাকুরগাঁওয়ে মির্জা পরিবারের দানে গড়ে উঠছে এতিম শিশু ও নারীর ক্ষমতায়ন কেন্দ্র 

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পরিবারের দান করা জমিতে এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে ও নারীর স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য গড়ে উঠছে মির্জা রুহুল আমিন এন্ড ফাতেমা মেমোরিয়াল কমপ্লেক্স। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের আদর্শ কলোনিতে কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ চলছে। 

 আর কমপ্লেক্সটি বাসমাহ ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে শত শত এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার পাওয়ার ঠিকানা হিসেবে পরিণত হবে। যেখানে এতিম শিশুরা খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা সহ গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অধিকারগুলো বিনামূল্যে নিশ্চিৎ হবে। নারীদের স্কিল ডেভলপমেন্টে কাজ করবে। 

গত এক বছর যাবৎ এ কমপ্লেক্সটির কাজ শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চার ভাগের তিন ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে শতাধিক এতিম শিশুকে নিয়ে কমপ্লেক্সটিতে প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব তথ্য নিশ্চিৎ করেছেন  কমপ্লেক্সে দায়িত্বে থাকা  বাসমাহ অরফানস হোম এর এডুকেশন ইনচার্জ আহম্মেদ আমিন।

তিনি আরও জানান, এই কমপ্লেক্সে বাসমাহ অরফানস হোম, বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টার এবং বাসমাহ ওমেন্স এন্ড স্কিল ডেভলপমেন্ট সেন্টার হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। বৃহস্পতিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ। এক কক্ষে চলছিলো একটি দোয়ার আয়োজন। জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা ও দেশের মঙ্গল কামনায় মির্জা পরিবারের উদ্যোগে এতিম শিশুদের নিয়ে এ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। 

ঠাকুরগাঁওয়ে এতিম শিশুদের মৌলিক অধিকার  ও নারীদের ডেভলপমেন্টের জন্য এমন একটি উদ্যোগকে বাস্তবায়নের পেছনের ব্যপারে জানতে চাইলে অরফান হোম এর এডুকেশন ইনচার্জ বলেন, আমাদের বাসমাহ ঠাকুরগাঁও সহ সারা দেশে পাঁচটি শাখা আছে। নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁর একটি শাখাতে মির্জা ফখরুল ইসলামের পরিবারের সদস্যগণ পরিদর্শন করেন।  আমাদের কার্যক্রেম তাদের ভালো লাগে এবং এতিম শিশুদের জন্য এমন উদ্যোগ ঠাকুরগাঁওয়ে বাস্তবায়নের জন্য তারা উৎসাহ প্রকাশ করেন এবং ৭৫ শতক জমি এতিমদের জন্য দান করেন৷ এই কর্মকর্তা বলেন বাসমাহ’র  সমস্ত পক্রিয়া মেনেই এটি গড়ে উঠছে।

বাসমাহর সিইও মীর সাখাওয়াত হোসাইন এর বরাতে প্রতিষ্ঠানটির এডুকেশন ইনচার্জ আরও বলেন  বাসমাহ ফাউন্ডেশনের তত্ত্ববধানে সারা দেশ জুড়ে সেবামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে ।বাসমাহ স্কুল এন্ড কালচারাল সেন্টার,বাসমাহ ওরফান্স হোম,বাসমাহ উইমমেন্স স্কিল এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার।এ ছাড়াও শীতকালীন শীত বস্ত্র বিতরণ,কুরবানি প্রোগ্রাম,ইফতার প্রোগ্রাম পরিচালিত হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ