আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ছাত্রদলের সাবেক নেতা আলহাজ্ব নাহিদুজ্জান নিশাদ

নাহিদুজ্জামান নিশাদের রক্তে বিএনপির রাজনীতি মিশে আছে৷

সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধ ঃ

৩১ দফা প্রচারে ও সাংগঠনিক উন্নয়নে ব্যস্ত

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

 

  1. গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ৮নং জুমারবাড়ি ইউনিয়নের বগারভিটা গ্রামের ঐতিহ্যবাহী ও প্রভাবশালী মন্ডলের পরিবারের পুর্বপুরুষ ছিলেন পীর মোহাম্মদ মন্ডল। তিনি মৃত্যু বরণ করলে পুত্র ফরিদ মন্ডল, ফরিদ মন্ডল মৃত্য বরণ করলে পুত্র নুর হোসেন মন্ডল, নুর হোসেন মন্ডল মৃত্য বরণ করলে পুত্র আব্দুল লতিফ মন্ডল, আব্দুল লতিফ মন্ডল মৃত্য বরণ করলে পুত্র আব্দুল্লাহ মন্ডল থাকেন । এই আব্দুল্লাহ মন্ডলের পুত্র আলহাজ্ব নাহিদুজ্জান নিশাদ মন্ডল।
    পিতার হাত ধতে আলহাজ্ব নাহিদুজ্জান নিশাদের পিতা আব্দুল্লাহ মন্ডল বগুড়া শহরে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন৷ তিনি বগুড়া শহরে বিএনপি’র রাজনীতি করতেন। তিনি বগুড়া শহর বিএনপি’র সহ-সভাপতি ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি ছিলেন। তিনি বগুড়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন।তিনি প্রভাবশালী পরিবহন নেতাও ছিলেন। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায় ব্যপক সাফল্য লাভ করেন৷
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ গত  ১ ডিসেম্বর ১৯৭৬  জন্ম গ্রহণ করেন৷ তাঁর রক্তে পৈত্রিক সুত্রে জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারা প্রবাহমান থাকে৷ তাই তিনি লেখাপড়ার পাশাপাশি ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন৷ তিনি ১৯৯৪ খ্রি: সনে বগুড়া শহর ছাত্রদলের সেউজগাড়ি আঞ্চলিক কমিটির সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করেন৷ তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন৷
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ ১৯৯৭ খ্রিঃ সনে বগুড়া শহরের এক বিশিষ্ট শিল্পপতির কন্যাকে বিবাহ করেন৷ তাঁর স্ত্রীও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী৷ নিশাদ দম্পতির ঘরে এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে৷ তাঁদের কন্যা ডাক্তার এবং বড় ছেলে আমেরিকায় এরিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত৷ তাঁদের ছোট ছেলেও ছাত্র৷
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জান নিশাদের একমাত্র বোন বর্তমানে স্বামীর সাথে আমেরিকা প্রবাসি। এই বোনের স্বামী মেজর (অব:) মো: রাসেল পি,এস,সি, স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এস,এস,এফ) এর সদস্য হিসেবে ২০০১ খ্রি: সনে বি এন পি সরকার গঠন করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন । সেই কারণে পরবর্তীতে আওয়ামী সরকারের চরম বৈষম্যের শিকার হয়ে চাকরি ছেড়ে প্রবাস জীবন বেছে নিতে বাধ্য হন।
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ ২০০১  প্রথম হজ্ব ব্রত পালন করেন৷ এরপরে আরো ৪ বার হজ্বব্রত ও ৭/৮ বার ওমরা পালন করেন।
    মোঃ নাহিদুজ্জামান নিশাদ পিতার হাত ধরে ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন৷ তিনি যে ব্যবসায় হাত দিয়েছেন, সেখানেই সাফল্য পেয়েছেন৷ বর্তমানে তিনি নানা ধরণের ব্যবসা ও শিল্পকারখানার মালিক৷ তিনি একটি স্থানীয় সংবাদপত্রের সম্পাদক ও প্রকাশক।
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদের পিতা মৃত্য বরণ করলে বিএনপি’র বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সেসময়ে তাঁদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত প্রার্থনা করেন ও পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা জানান। সেসময় তিনি এই পরিবারের রাজনৈতিক অবিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রতিশ্রুতি দেন।
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ ২০০৫  বগুড়া চেম্বার এন্ড কমার্সের ডিরেক্টর পদে নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে শুধু মাত্র জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে জড়িত থাকার কারনে তাঁর জন্য চেম্বার ভবনের দরজা বন্ধ হয়ে যায়৷
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক জীবনে দারুণ সফলতা পেলেও তার মনের মধ্যে নিজ এলাকার মানুষের জন্য ছিল অফুরন্ত ভালোবাসা৷ তাই তিনি সময় পেলেই ছুটে যান সাঘাটা ফুলছড়িতে৷ তিনি চেনা-অচেনা মানুষের খোজ খবর রাখতেন৷ তিনি বিএনপি’র নেতা কর্মিদের পাশে থাকতেন৷
    ২০১৮  সনের নির্বাচনের পর ২০২১ সনের দিকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের নির্মম নির্যাতন পুনরায় শুরু হলে মুক্তিকামী বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের বহু নেতা কর্মী আটক হতে থাকে৷ নিশাদ এই সময় সাঘাটা ফুলছড়ি সহ গাইবান্ধার আটক নেতা কর্মীদের জেল খানার পিসিতে অর্থ জমা, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো ও জামিনের ব্যবস্থা করতে থাকেন। এই তালিকায় ওয়ার্ড থেকে শুরু করে জেলা কমিটিরও নেতা কর্মি আছে। দলের দুর্দিনে নেতা কর্মিদের নিকট যখন ১ টাকা ১ লক্ষ টাকার সমান মনে হতো তখন তিনি বলতে গেলে একাই এই সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন । বিএনপি’র প্রতি ভালোবাসায় তাঁকে নেতা কর্মির প্রতি এমন দায়িত্ববান করেছিল। প্রতিদানে সাঘাটা ফুলছড়ি সহ গাইবান্ধা জেলার বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীও তাঁকে আপন করে নিয়েছে।
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ বগুড়া শহরে একটি রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেল স্থাপন করেন৷ এখানে তাঁর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল কেন্দ্র হতে আগত বিএনপি’র নেতা কর্মীদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করা৷ ফ্যাসিস্ট শাসকের তাবেদার প্রশাসনের ভয়ে বগুড়ায় আগত কেন্দ্রীয় নেতা সহ অন্যান নেতা কর্মীদের যখন অনেকেই আবাসন দিতো না তখন নিশাদের হোটেল হোটেল ছিল অন্যতম ভরসা। বিএনপি নেতা কর্মিদের আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য তাঁকে হেনস্তা হতে হয়েছে বারবার।
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদের রক্তে বিএনপির রাজনীতি মিশে আছে৷ তাই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক জনাব রহমানের দেওয়া দায়িত্ব (সহ-সভাপতি, গাইবান্ধা জেলা বিএনপি) নিষ্ঠার সাথে পালন করে সাঘাটা ফুলছড়ির আপামর জনতা ও বিএনপির উন্নয়নে সার্বক্ষণিক কাজ করে চলেছেন৷ তিনি দীর্ঘকাল ধরে দাদার হাতে প্রতিষ্ঠিত জুমারবাড়ি দারুল হাদিস সালাফিয়া ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ করছেন। তিনি সাঘাটা ফুলছড়ি এলাকায় কয়েকটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তিনি অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও উপশানালয়ের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জান নিশাদ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী শাসন উচ্ছেদের আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ৫ আগষ্ট পূর্ববর্তী উত্তাল দিনগুলোতে বগুড়ার রাজপথে দলীয় নেতা কর্মি সহ জনতার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে স্বৈরাচারের পতন তরান্বিত করেছেন । তাঁর এই আন্দোলন সংগ্রামের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বহুল প্রচারিত হয়েছে।
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জান নিশাদ ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে বিএনপি’র একজন কর্মি হিসেবে সাঘাটা ফুলছড়িতে কাজে আত্ন নিয়োগ করেন। কিন্তু বিএনপির রাজনীনিতে তাঁর অবদান, ত্যাগ, দুর্দিনে নেতা কর্মির পাশে দাঁড়ানো ও দলের প্রতি আনুগত্য ইত্যাদি দেখে সাঘাটা ফুলছড়ি সহ গাইবান্ধা জেলা বিএনপির ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সুপারিশে এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নিজস্ব অনুসন্ধানে যোগ্য প্রমাণ হওয়ার মাধ্যমে গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতির পদ লাভ করেন। এই সময়ে বিএনপিতে সদস্য পদ প্রদান স্থগিত থাকলেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান নিজে নিশাদকে এই সম্মানিত রাজনৈতিক পদ প্রদান করেন।
    সাঘাটা ফুলছড়ি ঘুরে দেখা গেছে আলহাজ্ব নাহিদুজ্জান নিশাদ সাঘাটা ফুলছড়ি বিএনপির মধ্যে প্রাণের সঞ্চার করেছেন।
    বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতা কর্মি এবং সাধারণ ভোটার দের সাথে কথা বলে জানা গেছে যে, আলহাজ্ব নাহিদুজ্জান নিশাদকে ধানের শীষের প্রার্থী করা হলে তিনি ইতিহাস গড়ে এই আসনটিতে জয় লাভ করবেন, যা অন্যদের দিয়ে সম্ভব হবে না।
    আলহাজ্ব নাহিদুজ্জান নিশাদের সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, তিনি দীর্ঘ সময় ধরে সাঘাটা ফুলছড়ির মানুষের জন্য কাজ করছেন। বর্তমানে সাঘাটা ফুলছড়ি বিএনপির নেতা কর্মীগণ তার সাথে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান প্রণীত ৩১ দফা প্রচারে ও সাংগঠনিক উন্নয়নে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাঁর প্রতি দলীয় নেতা কর্মি ও সাধারণ ভোটার যে আস্থা ও বিশ্বাস রাখেন তাতে করে ধানের শীষ প্রতিকের মাধ্যমে জয় লাভ করে তিনি গাইবান্ধা-৫ আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে পারবেন।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

বোয়ালখালীতে বিলুপ্ত পথে কালোজিরা ধানের আবাদ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বোয়ালখালীতে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে কৃষকের ঐতিহ্যবাহী কালোজিরা ধানের আবাদ। এক সময় কৃষকরা বিভিন্ন ধানের পাশাপাশি এই কালো জিরা ধানের চাষও করত। অন্যান্য ধানের চেয়ে খরচ বেশি ও ফলন কম হওয়ায় কালো জিরা ধান চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষকরা। ফলে এই কালো জিরা ধানের জায়গা দখল করে নিয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান। আধুনিক উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বীজের অভাবেও এই ঐতিহ্যবাহী ধানের আবাদ হ্রাস পাচ্ছে বলে জানান উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা জানান । তবে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা কিংবা প্রদর্শনী পাওয়া গেলে ধীরে ধীরে বিলুপ্তির পথ থেকে উত্তরনের সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তারা।

বুধবার বিকেলে বোয়ালখালীর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, আমন মৌসুমে সর্বত্রই চাষ হয়েছে বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল ধানের। কালো জিরা ধানের চাষ একে বারেই নেই বললেই চলে। হাতে গুনা কয়েকজনে এই চাষ করেছে তাও সীমিত আকারে। তবে সুখের কথা, বিচ্ছিন্নভাবে কম পরিমাণে হলেও বিলুপ্তপ্রায় কালোজিরা ধানের চাষ করেছেন সারোয়াতলীর কৃষক নুরুল আলম , করলডেঙ্গার কৃষক কাওসার, পোপাদিয়া কৃষক আনোয়ার।

তিনি বলেন, একসময় প্রতিটি কৃষক পরিবারের ঐতিহ্য ছিলো সুগন্ধিযুক্ত কালোজিরা, বিন্নী, কাশিয়াবিন্নি, সরুসহ নানান জাতের ধান। এ ধান কাটার সময়কে ঘিরে গ্রাম বাংলা মেতে উঠত নবান্নের উৎসবে। এ চিকন চাল দিয়ে পিঠা-পুলি, পোলাও, বিরিয়ানি, খিচুড়ি, ক্ষির, পায়েস, ফিরনি ও জর্দাসহ আরও সুস্বাদু মুখরোচক নানা ধরনের খাবার তৈরী করে খাওয়ানো হতো পাড়া প্রতিবেশীদের । আবহমান বাংলার ঐতিহ্য অনুযায়ী শ্বশুরবাড়িতে জামাই এলে জামাই পাতে সুগন্ধিযুক্ত চিকন চালের ভাত দিয়ে আপ্যায়ন করা হতো। বর্ণাঢ্য পরিবার থেকে শুরু করে নিন্ম মধ্যবিত্ত হলে ও একবেলা অবশ্যই এই চালের ভাত রান্না করা হতো। সেইসব এখন অতীত দিনের স্মৃতি। ক্রমবর্ধমান খাদ্যের চাহিদা মেটাতে সারাদেশ থেকেই হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতিবান্ধব এ সমস্ত জাতের দেশি ধান।

কৃষকরা জানান , কালোজিরা ধানের ফলন হয় কম। কানিপ্রতি অন্য জাতের ধান যেখানে ৮০ থেকে সর্বোচ্চ ১০০ আড়ি উৎপাদন হয় সেখানে এ জাতের ফলন হয় সর্বোচ্চ ৩০ আড়ি পর্যন্ত। তবে বাজারে দাম দ্বিগুণ পাওয়া যায়। প্রতি কেজি চাল ৮০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি করা যায় । লাভের কথা মাথায় রেখে কৃষকেরা আমন ধানে বেশি আগ্রহী হলে ও এখন ও গ্রামের গৃহস্থ পরিবারের কাছে এ ধানের কদর সবসময়ই রয়েছে। আর তাছাড়া হাট বাজারে এখন আর এই চাল পাওয়া যায় না। এখন প্রায় বিলুপ্তের পথে ঐতিহ্যবাহী এসব সুগন্ধি ধান।

উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, গত ৫ বছর পূর্বে বোয়ালখালীতে ২৫ হেক্টর কৃষি জমিতে কালোজিরা ধান চাষ হতো। বর্তমানে ৫ হেক্টর জমিতে এ ধানের চাষ করেছেন কৃষকেরা। স্থানীয়ভাবে ‘কালোজিরা ধানের আবাদ কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে কৃষি অফিসার মো. শাহানুর ইসলাম বলেন, বর্তমানে আমন ধানের অনেক উচ্চ ফলনশীল জাত রয়েছে, যে গুলোর ফলন অনেক বেশী এবং রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ কম। অন্যান্য উচ্চ ফলনশীল জাতের তুলনায় কালোজিরা ধানের ফলন কম হয়। ফলন কম হলেও বাজারে এর দাম বেশি থাকে, খরচ বেশি হওয়ার কারণে কৃষকরা এ চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন।

বোয়ালখালীর ভারাম্বা খালে গিলে খাচ্ছে সড়ক বসতবাড়ি

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

বোয়ালখালীতে ক্রমাগত ভাঙনে ভারাম্বা খাল গিলে খাচ্ছে সড়ক ও বসতবাড়ি। উপজেলার ৮ নং শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে কর্ণফুলী নদীতে মিশে যাওয়া এ খালটি ১০নং আহল্লা করলডেঙ্গা ইউনিয়নের বৈদ্যানী খাল থেকে নেমে আসে। খালের উভয় পাশে অবস্থিত চৌধুরী পাড়া, বড়ুয়া পাড়া, জলদাসপাড়া, শান্তিবাজার, কুলালপাড়া ও সৈয়দ আমির পাড়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র পথ এখন ভাঙনের আতঙ্কে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, খালের পশ্চিমপাশের বড়ুয়া পাড়া, চৌধুরী পাড়া সড়কটি প্রায় দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ প্রতিদিন প্রায় হাজার মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করেন এ সড়কে। খালের ভাঙনে কাঁচা সড়কের বড় অংশ বিলীন হয়ে যাচ্ছে। বর্ষায় দুর্ভোগ আর ও প্রকট হয়।

শুধু কাঁচা সড়ক নয়, খালের পূর্ব পাশের পাকা সড়কটিও কয়েক জায়গায় ভেঙে পড়েছে,বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। ঝুঁকিতে রয়েছে কবরস্থান, মসজিদ, মন্দিরসহ ধর্মাবলম্বীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। বড়ুয়া ও জলদাসপাড়ার বেশ কয়েকটি বাড়ি ইতোমধ্যে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা পলাশ বড়ুয়া, ননা বড়ুয়া, মিলন বড়ুয়া এবং জলদাসপাড়ার রাখাল দাশ ও রসনা দাশ জানান, বাড়িঘর খালের ভাঙনে শেষ হয়ে যাচ্ছে। পথে ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়। সরকার দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বহু মানুষ গৃহহীন হবে। কালিছড়ি মন্দির এলাকার রতন মাস্টার বলেন, ‘দেড় কিলোমিটার সড়কটি পাকা হলে ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি কমবে।

শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাসান চৌধুরী বলেন, ‘শ্রীপুর চৌধুরী পাড়া, জলদাসপাড়া, পশ্চিম জৈষ্ঠপুরা বড়ুয়া পাড়া, দক্ষিণ কুড়াল পাড়ার অর্ধেক অনেক জায়গাই খালের ভাঙনে বিলীন হয়েছে। রসনা বড়ুয়া, শিবু বড়ুয়া ও কালিছড়ি মায়ের মন্দির পুরোপুরি নদীগর্ভে চলে গেছে। গত বছর সৈয়দ আমির পাড়ার সড়ক সংস্কারের সময় গাইড ওয়াল ভেঙে পড়ে। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে ২১০ মিটার এলাকায় ব্লক বসানো হয়। এখনো ৭০০ মিটার অংশ ভাঙন ঝুঁকিতে আছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুন্নবী চৌধুরী বলেন, খালের দুই পাশের ভাঙনরোধ ও সড়ক পাকাকরণ এখন জরুরি। ইতিমধ্যে অনেকের বাড়িঘর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ভাঙনে পড়েছে। তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানান।

উপজেলা সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক জানান, ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লকের কাজ চলমান রয়েছে। ব্লকের কাজ শেষ হলে শান্তি বাজার থেকে আমির পাড়া ৭০০ মিটার পর্যন্ত সড়কের কাজ শুরু হবে।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ