আজঃ শনিবার ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫

ইপিজেড থানা ৩৯ ওয়ার্ড বিএনপি- অঙ্গ সংগঠনে উদ্যোগে ছাত্র -জনতার বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি ও সমাবেশ সম্পন্ন।

মোঃ মোসলেহ উদ্দিন হার, চট্টগ্রাম :

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

 

বিগত বছরের ৩৬ জুলাই দোসর হাসিনা সরকার পতনের ১ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ইপিজেড -৩৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ছাত্র -জনতার বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল ও সমাবেশ ৫ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে ইপিজেড মোড় থেকে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি সভাপতি সরফরাজ কাদের রাসেলের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজয় মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম – ১১ এর সম্ভাব্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির উপদেষ্টা সদস্য ইসরাফিল খসরু।

এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ইপিজেড থানা কমিটির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক -মোঃ জাবেদ আনসারী, সহ- সভাপতি মোঃ শাহজাহান,ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আশরাফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক -মোঃ মুজিবুর রহমান, মোঃ আলমগীর এছাড়াও মোঃ আলী সাজু, মোঃ শরীফ, মিজানুর রহমান পারুল, মোঃ রাশেদুল আলম,আর জে রাসেল, মোঃ হোসেন টিটু,যুবদলের হোসেনী মোবারক রিয়াদ,এজে এম সোহেল, মোঃ আনিসুর রহমান, ছাত্রদলের আকিব জাভেদ, সাজ্জাদ হোসেন রুপি, মোঃ সম্রাট, স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউসুফ সুমন,সাইফুল আলম, শ্রমিক দলের ইফতেখার চৌধুরী, কৃষক দলের সাহেদ আলী, মাসুদ হোসেন রনি, তাঁতীদলের জাহেদ আনসারী,রফিকুল ইসলাম টিটু প্রমুখ।

বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা দেশের উন্নয়নের নামে লুটপাট সহ গুম-খুন,হত্যা নির্যাতন এবং অবৈধ দখল, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদের মুখে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হন, তার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে হাজার হাজার ছাত্র জনতার বর্ণাঢ্য বিজয় মিছিল করে জয়োৎসব পালন করে।
পরিশেষে মুক্ত মঞ্চে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইসরাফিল খসরু ও সাবেক কাউন্সিলর সরফরাজ কাদের রাসেল।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

ওসমান হাদির ওপর হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।আহত ওসমান হাদীর সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এছাড়া চিকিৎসা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে তদারকি করার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন।


একই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ও ব্যাপক তদন্ত চালিয়ে হামলায় জড়িত সবাইকে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।

নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের প্রার্থী ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান নির্বাচনী প্রচারণাকালে ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। দুপুরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন,নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়। এর আগে, গত নভেম্বর মাসে দেশি-বিদেশি ৩০টি নম্বর থেকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি পেয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন হাদি। ১৪ নভেম্বর ফেসবুকে একটি পোস্টে তিনি জানিয়েছিলেন, তাকে হত্যা, তার বাড়িতে আগুনসহ তার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ওসমান হাদি ইতিমধ্যে তার ভেড়িফাইড ফেইস বুকে লিখেছিলেন, গত তিন ঘণ্টায় আমার নম্বরে আওয়ামী লীগের খুনিরা অন্তত ৩০টা বিদেশি নম্বর থেকে কল ও টেক্সট করেছে। যার সামারি হলো- আমাকে সর্বক্ষণ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। তারা আমার বাড়িতে আগুন দেবে। আমার মা, বোন ও স্ত্রীকে ধর্ষণ করবে এবং আমাকে হত্যা করবে।

আজ শুক্রবার ১২ ডিসেম্বর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।জুলাই ঐক্যের অন্যতম সংগঠক ইস্রাফিল ফরায়েজী জানিয়েছেন-নির্বাচনী প্রচারণাকালে তাকে গুলি করা হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

সোশ্যাল শেয়ার কার্ড

এই কার্ডটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ