আজঃ শুক্রবার ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

সারাদেশ এখন আমার জন্য কারাগার : মোজাম্মেল।

এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রাম

 

কারা নির্যাতনের ৭ বছর আজ। তৎকালীন ফ্যাসিষ্ট সরকারের আশির্বাদপুষ্ট সড়ক মাফিয়াদের দেওয়া মিথ্যা গায়েবি মামলায় কারা নির্যাতন শেষ হলেও ঐ মিথ্যা গায়েবি মামলার ঘানি টানছি এখনো….

আমার অপরাধ আমি এ দেশের লক্ষ -কোটি শোষিত, অধিকার বঞ্চিত,নির্যাতিত, নিপিড়ীত যাত্রী সাধারণের পক্ষে কথা বলি। তাদের সুযোগ সুবিধার আদায়ে রাজপথে সোচ্চার ও প্রতিবাদী।

গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য, যাত্রী হয়রানী, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, চাঁদাবাজী, সড়ক দুর্ঘটনা ও অন্যায় ও অগ্রহণযোগ্য কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিগত দুই যুগ ধরে আপোষহীন আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সোচ্চার । ফলে কালের প্রবাহে বিভিন্ন সময়ে বারবার কতিপয় দুর্নীতিবাজ পরিবহন মালিক -শ্রমিক, দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও আমলাদের রোষানলে পড়তে হয়েছে আমাকে।

তারা সুযোগ বুঝে সময়ে সময়ে সরকারের মন্ত্রী, সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের ক্ষেপিয়ে তুলেছেন আমার বিরুদ্ধে। এরই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে আমাকে বিগত ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাতের আধাঁরে দেশজুড়ে আলোচিত চাঞ্চল্যকর এক মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বাদীবিহীন কথিত এক গায়েবি চাদাঁবাজীর মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় আমাকে। আমার নাম ও ঠিকানা বিহীন এই মামলাটি যে দিন দায়ের হয় ঐ দিন গভীর রাতে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়ের বাসা থেকে আমাকে গ্রেফতার করে। জামিনে বেরিয়ে আসার পরে জানতে পারি মিরপুর থানার পুলিশ আমার মামলা হওয়ার কয়েকদিন আগে থেকেই আমার এলাকায় ঘুরছে আমার সন্ধানে। আমি যখন জেলে ছিলাম তখনই এ গায়েবি মামলায় আমাকে হেনস্তার বিষয়গুলো আপনার যারা সচেতন তারা নিশ্চয়ই পত্র পত্রিকা ও টিভি মিডিয়ার যাবতীয় ঘটনা প্রবাহ জেনেছেন,দেখেছেন।

আপনারা যারা ভুক্তভোগী তারা নিশ্চয়ই জানেন, দেশের যাত্রী হয়রানী, ভাড়া নৈরাজ্য, পরিবহনে বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা, সড়ক দুর্ঘটনায় অজশ্র প্রানহানী যখন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাড়িঁয়েছিল। যখন যাত্রীসাধারণের অধিকার নিয়ে কথা বলার কেউ ছিল না, যখন যাত্রীস্বার্থ ভুলুন্ঠিত হচ্ছিল, ইচ্ছেমত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছিল, যাত্রীসাধারণকে কথায় কথায় অপমানিত করা হতো, এক কথায় দেশের যাত্রীসাধারণ গুটিকতেক অসাধু পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছিল, ঠিক তখনই সময়ের দাবীর প্রেক্ষিতে আজ থেকে দু’যুগ পূর্বে দেশের যাত্রীসাধারণের অধিকার প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার নিয়ে আমি ও আমার কয়েকজন বন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে তুলেছিলাম প্রতিবাদী সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এই সংগঠনের দীর্ঘ দুই যুগের আন্দোলন সংগ্রামে দেশের পরিবহনে শৃঙ্খলা ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে ক্ষমতাসীন দলের নির্বাচনী অঙ্গীকারসহ সরকারের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী মহল থেকে ও বিভিন্ন সময়ে একাধিক নির্দেশনা এসেছে।

কিন্তু একটি কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠী দেশের গণমানুষের আন্দোলনকে থামিয়ে দিতে বিভিন্ন সময়ে হামলা, হুমকি ও নানাভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আন্দোলনটি থামিয়ে দিতে অপচেষ্টা চালাই। এতে ব্যর্থ হয়ে কথিত বাদীবিহীন গায়েবি চাদাঁবাজীর মামলা মিরপুর থানায় দায়ের করে ঠিকানাবিহীন ঐ মামলায় ০৫ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে নারায়ণগঞ্জের সানারপাড়ের বাসা থেকে আমাকে গ্রেফতার করে ।

সেই দিন এই মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যামে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে উঠে। পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালত ১০ সেপ্টেম্বর আমাকে জামিনে মুক্তি দিলেও পুলিশ কাফরুল থানার অস্ত্র ও বিষ্ফোরক আইনের দায়ের করা অপর মামলায় আমাকে গ্রেফতারের অপচেষ্টা চালাই । বিজ্ঞ আদালত মামলাটি খারিজ করে দিলে আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় ১৩ সেপ্টেম্বর রাত ০৮ ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার থেকে আমি মুক্তি লাভ করি । আজো এই মামলার ঘানি টানতে হচ্ছে আমাকে।

কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করলেও এখন যেন পুরো বাংলাদেশটায় আমার কারাগার। স্বাধীন দেশে আমরা যেন পরাধীন নাগরিক!

ষড়যন্ত্রকারীরা আজো থামেনি। কেবল তাদের চরিত্র বদল হয়েছে। তারা নানাভাবে কখনো আমার চরিত্রে কালিমা লেপনের, কখনো আমাকে দুর্নীতিবাজ সাজাবার, কখনো আমাকে কোটি কোটি মালিক সাজাবার অপচেষ্টায় লিপ্ত।

তবে দেশের নির্যাতিত, নিপীডিত,অধিকার বঞ্চিত দিশেহারা সাধারণ মানুষের এই আন্দোলনটিকে আমি পবিত্র ইবাদত মনে করি। তাই মহান আল্লাহর রহমত ও গায়েবি সাহায্য সাথে রয়েছে । তাই এসব যড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

মশা নিধনে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহার শুরু চসিকের।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন প্রথমবারের মতো মশা নিয়ন্ত্রণে আমেরিকান প্রযুক্তির লার্ভিসাইড বিটিআই ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করেছে। সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশক্রমে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মোঃ শরফুল ইসলাম মাহি, কীটতত্ত্ববিদ রাশেদ চৌধুরী এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মশা নিয়ন্ত্রণে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর আগে গত ২৬ মার্চ নগরীর ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ডের সৈয়দ শাহ রোডের সামনের খালে পরীক্ষামূলকভাবে বিটিআই লার্ভিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। অর্জিত অভিজ্ঞতার আলোকে আজ থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ে বিটিআই প্রয়োগ শুরু করল চসিক।

চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ফগিং, লার্ভিসাইড ছিটানো, নালা–নর্দমা পরিষ্কার, আবর্জনা অপসারণ এবং জনসচেতনতা কার্যক্রম আরও জোরদার করা হয়েছে। নতুন প্রজন্মের আমেরিকান প্রযুক্তির বিটিআই ব্যবহারে মশার লার্ভা ধ্বংসে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

বিটিআই হলো একটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ব্যাকটেরিয়াভিত্তিক লার্ভিসাইড, যা বিশেষভাবে মশা, ব্ল্যাক ফ্লাই ও ফাঙ্গাস গ্ন্যাটের লার্ভা দমনে ব্যবহৃত হয়। এটি পানিতে প্রয়োগ করার পর লার্ভা খাদ্যের সঙ্গে বিটিআই গ্রহণ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার উৎপাদিত ক্রিস্টাল প্রোটিন টক্সিন লার্ভার পরিপাকতন্ত্রে কার্যকর হয়ে তাদের দ্রুত নিধন ঘটায়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিটিআই মানুষের শরীর, গৃহপালিত প্রাণী, মাছসহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব প্রাণীর জন্য ক্ষতিকর নয়; এমনকি উদ্ভিদ ও জলজ বাস্তুতন্ত্রেও কোনো বিষাক্ত প্রভাব ফেলে না। বিশ্বজুড়ে ডেঙ্গু, জিকা ও চিকুনগুনিয়ার মতো বাহক–বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে এটি একটি নিরাপদ ও বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সমাধান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

অধস্তন আদালতও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন।

অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের সহায়ক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করণের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগ। ৩০ নভেম্বর চট্টগ্রাম ই ফ্যামিলি কোর্ট উদ্বোধন করতে এলে আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লাএর সাথে বিচার বিভাগীয় কর্মচারী এসোসিয়েশন,

চট্টগ্রাম বিভাগ ও চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎকালে তাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান।তারা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয় এর ন্যায় পদ -পদবী পরিবর্তন ও বেতন স্কেল নির্ধারণের ও দাবি জানান।নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ বিচার বিভাগ আইনের ধারক ও বাহক।
Pp

কিন্তু অধস্তন আদালতের কর্মকর্তাও কর্মচারীগন বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। তাই বৈষম্য দূরীকরণের জোর দাবি জানান।আইন সচিব অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা জজ মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন, মহানগর দায়রা জজমোঃ হাসানুুল ইসলামও চট্টগ্রামের সকল স্তরের বিচারক মন্ডলী।উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এনামুল হক আকন্দ ।বিচার বিভাগীয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন পারভেজ, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোহাং শামসুল হক, , চট্টগ্রাম জজশীপ কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ