আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

দারুননাজাতের তরুণ শিক্ষাবিদের আল-আজহারে প্রথম স্থান অর্জন।

লেখক ও কলামিস্ট, শিক্ষার্থী, আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়,কায়রো,মিশরি

বাংলাদেশের আকাশে সাফল্যের যে নক্ষত্রেরা ঝলমল করে, তাঁদের কাতারে যুক্ত হলো আরেক উজ্জ্বল নাম—মুহাম্মাদ শিহাব উদ্দীন আজহারী। মেধা, শ্রম ও অদম্য স্বপ্নের সমন্বয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এক অনন্য দৃষ্টান্ত। কায়রোর প্রাচীনতম ও বিশ্বখ্যাত বিদ্যাপীঠ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উসুলুদ্দীন অনুষদের হাদিস বিভাগ থেকে পিএইচডি তামহীদিতে প্রথম স্থান অর্জন করে তিনি শুধু নিজেকে নয়, সমগ্র জাতিকে করেছেন গর্বিত।

শিহাব উদ্দীনের শিক্ষাযাত্রা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশের মাটিতে, যেখানে শৈশব থেকেই তিনি মেধা ও নিষ্ঠার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২০১২ সালের দাখিল ও ২০১৪ সালের আলিম পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসায় উচ্চশিক্ষা অর্জন করেন তিনি। পরে কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফাযিল এবং বাংলাদেশ আরবি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কামিল সম্পন্ন করে ইসলামী জ্ঞানের ভাণ্ডারে নিজেকে সমৃদ্ধ করেন। প্রতিটি ধাপে ছিল তাঁর সাফল্যের পদচিহ্ন, প্রতিটি স্তরে ছিল বিশ্বমঞ্চে নিজেকে গড়ে তোলার প্রস্তুতি।

২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ সরকারের মনোনীত স্কলারশিপ নিয়ে তাঁর যাত্রা শুরু হয় আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। ভাষা শিক্ষা কোর্স শেষে ২০১৭ সালে তিনি ভর্তি হন উসুলুদ্দীন অনুষদে। শুরু হয় দীর্ঘ সাধনা আর কঠোর পরিশ্রমের অধ্যায়। ২০২১ সালে সফলভাবে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর ২০২১/২২ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্সে ভর্তি হয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৮৩ শতাংশ নম্বর অর্জন করেন, যা এ প্লাসের সমতুল্য। এক বছরের ব্যবধানে ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর তাঁর এমফিল থিসিস সম্পন্ন করে তিনি পান সর্বোচ্চ গ্রেড মুমতাজ বা এক্সেলেন্ট। আর সর্বশেষ ২০২৫ সালে তাঁর অধ্যবসায়ের শীর্ষ ফসল মিলল—৯ সেপ্টেম্বর ঘোষিত ফলাফলে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদিস বিভাগে পিএইচডি তামহীদির ফাইনাল পরীক্ষায় তিনি ৮৫.২২ শতাংশ নম্বর (A+) পেয়ে ডিপার্টমেন্টে প্রথম স্থান অর্জন করেন।

শিহাব উদ্দীনের কৃতিত্ব কেবল পাঠ্যপুস্তক ও পরীক্ষার খাতায় সীমাবদ্ধ নয়। তিনি প্রবাসী শিক্ষার্থীদের জন্যও হয়ে উঠেছেন এক নির্ভরতার ঠিকানা। বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশনের উপদেষ্টা হিসেবে টানা তিন বছর দায়িত্ব পালন করে তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে প্রজ্ঞা, নেতৃত্ব ও দায়বদ্ধতা দিয়ে একটি প্রজন্মকে এগিয়ে নেওয়া যায়। তাঁর দিকনির্দেশনায় সংগঠনটি হয়ে উঠেছে প্রবাসী শিক্ষার্থীদের ঐক্য, সহযোগিতা ও আত্মপ্রত্যয়ের উজ্জ্বল প্রতীক।

এছাড়া ২০২০ সালের জুন মাসে তাঁর হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয় মারকায সওতুল ইসলাম, যা আজ বাংলাদেশের অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থীর জন্য বিদেশে উচ্চশিক্ষার নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে। তাঁর প্রচেষ্টা ও অদম্য সাধনায় এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৭ জন শিক্ষার্থী আল-আজহার, মদিনা, কিং আব্দুল আজিজ, তাবুক, ইমাম মুহাম্মাদ বিন সাউদ, আল-কাসিমিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও ইরাকের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ স্কলারশিপ পেয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় আল-মদিনা অ্যাপ্লিকেশনস-এর মতো সহযোগী প্রতিষ্ঠানও তিনি গড়ে তুলেছেন, যা দিন দিন হয়ে উঠছে আগ্রহী তরুণদের আশার আলো।

মুহাম্মাদ শিহাব উদ্দীনের এই সাফল্য নিছক ব্যক্তিগত নয়, বরং বাংলাদেশের জন্য এক বিরল গৌরব। তিনি প্রমাণ করেছেন—অদম্য ইচ্ছাশক্তি, অধ্যবসায় আর নৈতিক দৃঢ়তার মাধ্যমে একজন তরুণ শুধু বিশ্বমানের শিক্ষাঙ্গনে আলো ছড়াতে পারে না, বরং প্রজন্মের জন্য প্রেরণার আলোকবর্তিকাও হয়ে উঠতে পারে। তাঁর এই অর্জন বাংলাদেশের নামকে যেমন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উজ্জ্বল করেছে, তেমনি নতুন প্রজন্মকে দেখিয়েছে স্বপ্ন দেখার নতুন দিগন্ত।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

আমিরাতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সংবর্ধনা আলোচনা সভা

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বিডিওস) দুবাই ও উত্তর আমিরাতের উদ্যোগে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মানকে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শারজাহের হুদাইবিয়া রেস্তোরায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ সভাপতি প্রকৌশলী কাউছার শফি। সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ূমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিবির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেকুল ভূইয়া, সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী খন্দকার মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম খান ও সদস্য প্রকৌশলী মাহে আলম।

অনুষ্ঠানে ভিডিও কলে ভার্চুয়াল সংযুক্ত ছিলেন আইডিইবি কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী কবির উদ্দিন ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যুগ্ন সম্পাদক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ও পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, প্রকৌশলী আব্দুল বাকের, প্রকৌশলী এস এম করিম উদ্দিন, প্রকৌশলী মাইনুর রহমান, প্রকৌশলী সাজ্জাদুর রহমান, প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম সোহেল, প্রকৌশলী শাহিনুর আলম, প্রকৌশলী সুমন ও প্রকৌশলী সাকিলা চৌধুরী লুনা সহ আরো অনেকে।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে আমিরাতে বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশী প্রকৌশলী আমিরাতের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন।

সংবর্ধনা শেষে আলোচনা সভায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দুবাইয়ের নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের জন্য সংবর্ধিত অতিথিকে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এছাড়া আমিরাতের সকল প্রকৌশলীদের একসাথে মিলেমিশে বাংলাদেশের সুনাম কুড়াতে ভূমিকা পালন করার আহবান জানানো হয়।

আমিরাতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সংবর্ধনা আলোচনা সভা।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (বিডিওস) দুবাই ও উত্তর আমিরাতের উদ্যোগে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিবি) এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মানকে সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শারজাহের হুদাইবিয়া রেস্তোরায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সহ সভাপতি প্রকৌশলী কাউছার শফি। সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ূমের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিবির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সোলায়মান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী শেকুল ভূইয়া, সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী খন্দকার মিজানুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম খান ও সদস্য প্রকৌশলী মাহে আলম।

অনুষ্ঠানে ভিডিও কলে ভার্চুয়াল সংযুক্ত ছিলেন আইডিইবি কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক প্রকৌশলী কবির উদ্দিন ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির যুগ্ন সম্পাদক প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম ও পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান।

উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী আতিকুর রহমান, প্রকৌশলী আব্দুল বাকের, প্রকৌশলী এস এম করিম উদ্দিন, প্রকৌশলী মাইনুর রহমান, প্রকৌশলী সাজ্জাদুর রহমান, প্রকৌশলী শরিফুল ইসলাম সোহেল, প্রকৌশলী শাহিনুর আলম, প্রকৌশলী সুমন ও প্রকৌশলী সাকিলা চৌধুরী লুনা সহ আরো অনেকে। বক্তারা বলেন, বর্তমানে আমিরাতে বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রায় দুই হাজার বাংলাদেশী প্রকৌশলী আমিরাতের বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছেন।

সংবর্ধনা শেষে আলোচনা সভায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ওয়েলফেয়ার সোসাইটির দুবাইয়ের নতুন আহবায়ক কমিটি গঠনের জন্য সংবর্ধিত অতিথিকে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়। এছাড়া আমিরাতের সকল প্রকৌশলীদের একসাথে মিলেমিশে বাংলাদেশের সুনাম কুড়াতে ভূমিকা পালন করার আহবান জানানো হয়।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ