আজঃ মঙ্গলবার ১১ নভেম্বর, ২০২৫

বোয়ালখালীতে বসতঘরে বিষধর ১১টি সাপ উদ্ধার

এস মনির চৌধুরী রানা

চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে এক বসতঘরের পাকা মেঝের নিচে মিলেছে সাপের ২৭টি ডিমের খোসা। গত এক সপ্তাহে এ ঘর থেকে একের পর এক পাওয়া গেছে ১১টি পদ্মগোখরোর বাচ্চা। উপজেলার পশ্চিম গোমদণ্ডী ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ডের হাফেজ আহমেদের বাড়িতে এ সাপের উপদ্রব দেখা দিয়েছে।

পরিবারের সদস্য শওকত হোসাইন বলেন, গত এক সপ্তাহে অন্তত ১১টি পদ্মগোখরো সাপের ছানা পাওয়া গেছে ঘরে।
এনিয়ে ওঝা বৈদ্য কোনো কিছুই বাদ রাখিনি। তারা মাটি পড়া, বালি পড়া অনেক কিছুই দিয়েছে। শেষতক ঘরের পাকা মেঝে ভেঙেছে। মেঝের নিচ থেকে ২৭টি ডিমের খোসা মিলেছে। এনিয়ে আতঙ্কে রয়েছি।

ওয়াইল্ড লাইফ অ্যান্ড স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্য আমির হোসাইন শাওন বলেন, বড় সাপ সাধারণত ডিম দিয়ে চলে যায়। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ৫০-৭০ দিনের মধ্যে বাচ্চা ফুটে নিজ থেকে বের হয়ে যায়। ওঝা বৈদ্যের বালি পড়া মাটি পড়া ও সাপের হাড় মানসিক প্রশান্তি দিলেও এসব মূলত কাজ করে না। গত সোমবার (৬ অক্টোবর) বাড়িটিতে গিয়ে বড় একটা সাপের খোলস পেয়েছি। মেঝের নিচে ফাঁপা জায়গা রয়েছে। ফলে সাপটিকে রেসকিউ করা সম্ভব হয়নি।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সকালে খবর পেয়ে উপজেলার চরণদ্বীপ ইউনিয়নের ১ নাম্বার ওয়ার্ডের শেখ পাড়া জফুর মেম্বার বাড়ির হাঁস-মুরগির ঘর থেকে একটি পদ্মগোখরো সাপ উদ্ধার করেন আমির হোসাইন শাওন।শাওন জানান, বসতঘরের সাথে লাগোয়া ছিলো হাঁস-মুরগির ঘর। সেখানে ৩টি হাঁস ছিলো। সাপটি হাঁসের দুটো ডিম খেয়ে ফেলেছে এবং একটি হাঁস মেরে ফেলেছে। সাপটির বয়স প্রায় ৭-৮ বছর হবে। প্রায় ৬ ফুট লম্বা সাপটি উদ্ধার করে জঙ্গলে অবমুক্ত করা হয়েছে। মানুষের আগ্রাসনের ফলে নিরাপদ বাসস্থান হারাচ্ছে সাপ। ফলে যত্রতত্র দেখা মিলছে সাপের।

শাওনের দাবি, এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ভণ্ডরা মানুষকে মাটি পড়া, বালি পড়া ও সাপের হাড় দিয়ে বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

পল্লবীতে ‘সখী বাহিনী’র পতন: কুখ্যাত ডাকাত সখী হোসেনসহ পাঁচজন আটক, স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়।

রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকায় অবশেষে পর্দা নামলো দীর্ঘদিনের আতঙ্ক ‘সখী বাহিনী’র। ভয়ঙ্কর অপরাধচক্রটির মূল হোতা সখী হোসেনসহ পাঁচ সদস্যকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার গভীর রাতে মিল্লাত ক্যাম্প এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযানে যায় পল্লবী থানা পুলিশ। অভিযানের একপর্যায়ে সখী বাহিনীর সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে ধাওয়া করে পাঁচজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, চাবি কাটার সরঞ্জাম ও মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—সখী হোসেন, চক্রের মূল হোতা; যার নামে একাধিক ডাকাতি, অস্ত্র ও মাদক মামলা রয়েছে।২,সাবির হোসেন সজিব (২৪), রূপনগর থানার মাদক মামলার আসামি।৩.রাজু ওরফে বাদল,
৪.জুয়েল,৫.আসিফ হোসেন।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এই চক্রটি পল্লবী, রূপনগর ও মিরপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। সখী নিজেকে স্থানীয় ‘ডন’ হিসেবে পরিচয় দিত এবং ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করতো।

পল্লবী থানার এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। পুলিশের ধারণা, তাদের পেছনে আরও বড় নেটওয়ার্ক সক্রিয় ছিল।স্থানীয়দের ভাষায়, “রাতের বেলা ঘর থেকে বের হওয়া দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠেছিল। সখী বাহিনী ধরা পড়ার পর এলাকায় এখন শান্তি ফিরেছে।”
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের পলাতক সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পল্লবীতে মাদকবিরোধী অভিযানে সংবাদ সংগ্রহকালে অসুস্থ সাংবাদিক এস. এম. রফিক

রাজধানীর পল্লবী থানায় চলমান মাদকবিরোধী অভিযানের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সাংবাদিক এস. এম. রফিক। থানার ১১ নম্বর সেকশনে অভিযান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অভিযান চলার সময় হঠাৎ মাথা ঘোরা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন সাংবাদিক এস. এম. রফিক। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। পরে উপস্থিত পুলিশ সদস্য ও সহকর্মী সাংবাদিকরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে কাছের একটি ফার্মেসিতে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
চিকিৎসকরা জানান, অতিরিক্ত ধোঁয়া ও ক্লান্তির কারণে তিনি সাময়িকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ওষুধ গ্রহণের পর শারীরিকভাবে অনেকটাই সুস্থ আছেন।
পল্লবী থানার অফিসার তদন্ত (ওসি) বলেন,
সম্প্রতি পল্লবী থানা এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। গত এক সপ্তাহের ধারাবাহিক অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী এবং উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ