আজঃ সোমবার ১০ নভেম্বর, ২০২৫

ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্যে সবাইকে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি বলেছেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের প্রেরণায় উদজ্জীবিত হয়ে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এর ধানের শীষের পক্ষে আগামী নির্বাচনে গণজোয়ার সৃষ্টির লক্ষ্যে সবাইকে ঐকবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, কেউ দলের উর্ধ্বে নয়। জাতীর এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৭৫ সালের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে এদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র বিন্দুতে আসেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরউত্তম।

তিনি আজ ৪ নভেম্বর (মঙ্গলবার) বিকাল ৪ টায় ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থীদেরকে জয়যুক্ত করতে জাতীয়তাবাদী যুবদলের প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ।


জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচন এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের নির্বাচন। ১৯৭৫ সালের সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে জাতীর ক্রান্তিলগ্নে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া যেমন এ জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন, তেমনি আমাদের বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও দেশ রক্ষার ভূমিকায় অবর্তীর্ণ। ব্যক্তিগত কোন্দল রেষারেষি বাদ দিয়ে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষে কাজ করতে হবে।

প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সি: সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, মিয়া মো: হারুন, জসিমুল ইসলাম কিশোর, অরূপ বড়–য়া সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল পারভেজ, রাশেদুল হাসান লেবু, সাবেক সহ সধারণ সম্পাদক ওসমান গণি সিকদার, মুজিবুর রহমান রাসেল, সাবেক সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য মহিউদ্দিন মুকুল, সাবেক সহ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহির, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, মিজানুর রহমান দুলাল, সাবেক সদস্য শাবাব ইয়াজদানি, কলিম উল্লাহ, থানা যুবদলের মনজুর আলম মঞ্জু, শওকত খান রাজু, সাইফুল ইসলাম রুবেল, সাদ্দাম হোসেন, ইকরাম সিদ্দিকী, নিজাম উদ্দিন, জানে আলম, রাজিব, সোহেল আরমান, সেলিম, রাসেল, ওয়ার্ড যুবদলের মো: হাসান, রিয়াদ, অভি, আনোয়ার হোসেন, তারেক রহমান, ইমতিয়াজ রহমান, আলাউদ্দিন আলো, শাকিল, রফিক, ইমন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

শেয়ার করুন-

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin

আরও খবর

রায়পুরায় ১০০০ ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

নরসিংদীর রায়পুরায় অভিযানে ১ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় মাহমুদাবাদ লিজা জর্দা কোম্পানির সামনে থেকে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের করিমগঞ্জ এলাকার ওবায়েদ উল্লাহর ছেলে সৌরভ মিয়াকে (২৬) ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটক আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মাদক, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।

আওয়ামী লীগের এমপিরা লুটেপুটে খেয়েছে,মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেনি-আশরাফ উদ্দিন বকুল।

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ সম্পাদক ও আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল বলেছেন, আওয়ামীলীগ যা করেছে আমরা তার বিপরীত করবো। তারা চরাঞ্চলে ঝগড়া লাগিয়েছে, বিভিন্ন ভাবে টাকা পয়সা নিয়েছে, তারা যেসকল অপকর্ম করেছে আমরা সেটা করবো না। চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র উদ্যোগে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আশরাফ উদ্দিন বকুল আরও বলেন, ১৭ বছরের নিপিড়ন নির্যাতনের পরে সুযোগ এসেছে আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মা বোনদের সাথে নিয়ে নির্বাচনের দিন ধানের শীষকে বিজয়ী করার। আওয়ামীলীগের এমপিরা সাতবার নির্বাচিত হয়েও লুটেপুটে খেয়েছে কিন্তু মানুষের ভাগ্য বা রাস্তার কোনো উন্নয়ন করেনি এমনকি এলাকায় কোনো শিল্প কারখানা করেনি। এসময় তিনি বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখার জন্য আহ্বান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার, চর আড়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদা জামান, রায়পুরা পৌর বিএনপি সভাপতি ইদ্রিস আলী মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পলাশ, চর আড়ালিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী মেম্বার, সিনিয়র সহ সম্পাদক কেবল সরকার সহ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

আলোচিত খবর

আরব আমিরাতে ভিসা সংকটে বড় হুমকির মুখে বাংলাদেশি শ্রমবাজার।

মধ্যপ্রাচ্যের  অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজার সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিসা জটিলতায় চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন বাংলাদেশি কর্মীরা। নতুন ভিসা ইস্যু বন্ধ থাকা এবং অভ্যন্তরীণ ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন প্রবাসীরা। কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালালেও কবে ভিসা উন্মুক্ত হবে— সে বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানাতে পারছে না বাংলাদেশ মিশন। বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে আমিরাত সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর।

ভিসা জটিলতা শ্রমবাজারের জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রভাব পড়ছে প্রবাসীদের কর্মসংস্থান, আয়-রোজগার এবং দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশি কর্মীদের বিরুদ্ধে ভিসার মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে বসবাস, লিঙ্গ পরিবর্তন, সনদ জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগ ওঠায় ভিসা নীতিতে কড়াকড়ি করেছে আমিরাত সরকার। এতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন বাংলাদেশিরা।

এদিকে দুবাইয়ে স্কিল ভিসা চালু থাকলেও সেখানেও কঠোর শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন সনদ ছাড়া বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না। সনদকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সত্যায়ন, পরে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের যাচাই এবং শেষে আমিরাতের বৈদেশিক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হচ্ছে। দীর্ঘ ও জটিল এ প্রক্রিয়ায় হতাশ কর্মপ্রত্যাশীরা।

বাংলাদেশ মিশনের তথ্যানুসারে, স্কিল ভিসায় সনদ জালিয়াতি ঠেকাতে তিন মাস আগে চালু করা হয়েছিল বারকোড ব্যবস্থা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিও জাল করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে ইউএই সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। রাষ্ট্রদূতের মতে, বাংলাদেশিদের মানসিকতা না বদলালে ভিসা সংকট নিরসন সম্ভব নয়।

আবুধাবি বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেন, “গত সাত মাস ধরে ভিসা ইস্যুতে চেষ্টা চালিয়েও কোনো অগ্রগতি হয়নি।কবে হবে সেটিও অনিশ্চিত। আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি, তবে বিষয়টি পুরোপুরি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। ”

 

জনশক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিসা পরিবর্তনের জটিলতা দ্রুত সমাধান না হলে অনেক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফিরে যেতে হতে পারে। অনেকেই জানেন না, ভিসা বাতিল হলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীদের মানসিক চাপ বাড়ছে। বিশেষ করে বর্তমানে যারা আমিরাতে অবস্থান করছেন, তারা পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তায়।

বাংলাদেশি প্রবাসী সংগঠকরা মনে করেন, এ অচলাবস্থা কাটাতে সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি প্রবাসীদেরও ভিসা নীতিমালা মেনে চলা জরুরি। নইলে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ শ্রমবাজারে বাংলাদেশ বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ